আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
157 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (11 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ মুহতারাম শাইখ। প্রায় সময়েই ফেসবুকে বিভিন্নজনের লিখাতে একটি প্রবাদ লিখতে দেখা যায় :

"তুমি আমার জন্য খেজুর এনেছো কিন্তু এগুলোর বীচি ফেলো নি !"
.
বলা হয় যে, এটি একটি বিখ্যাত আরবী প্রবাদের অনুবাদ। আর এই প্রবাদটির উৎপত্তি হিসেবে হযরত আবু বকর রা: এবং হযরত উমার রা: সম্পর্কিত একটি কিসসা উল্লেখ করা হয়৷ আমার জানার বিষয় হলো, কিসসাটি সহীহ সূত্রে বর্ণিত কী না? (উল্লেখ্য, কিসসাটির সূত্র হিসেবে বলা হয়, এটি 'তারীখে দিমাশক' কিতাবের ৩০ নম্বর খন্ডের ৩২২ পৃষ্ঠায় এসেছে)। পূর্ণ ঘটনাটি নিচে দিলাম:
.
উমার বিন খাত্তাব (রাঃ)-কে কেউ একজন জানালো যে, আবু বকর ( রাঃ ) ফজরের সালাত শেষ করে মদীনার সীমানার দিকে যান; একটা ছোটো বাড়িতে বেশ কিছু সময় কাটান; তারপর নিজের ঘরে ফিরে আসেন।
আবু বকর ( রাঃ ) কী করতেন না করতেন তার সব খবরই উমার ( রাঃ ) রাখতেন; শুধুমাত্র এই বাড়িতে কী হতো- তা তাঁর অগোচরে ছিলো।
.
দিন যায়, কিন্তু খলীফা আবু বকর ( রাঃ ) এর ঐ বাড়িতে গমন বন্ধ হয় না। উমার ( রাঃ ) সিদ্ধান্ত নিলেন- ফজরের পর আবু বকর ( রাঃ ) ঐ বাড়িতে গিয়ে কী করেন, তা তিনি নিজের চোখে একবার দেখে আসবেন।
উমার ( রাঃ ) ঐ ঘরে গিয়ে দেখতে পেলেন- ওখানে একজন বৃদ্ধা বাস করেন। বৃদ্ধার কেউ নেই, তারউপর বৃদ্ধা অন্ধ। উমার ( রাঃ ) অত্যন্ত আশ্চর্যান্বিত হলেন। বৃদ্ধার সাথে আবু বকরের কী সম্পর্ক- তা জানার জন্য তিনি আগ্রহী হয়ে উঠলেন। উমার ( রাঃ ) বৃদ্ধাকে জিজ্ঞাসা করলেন,

" এই লোক আপনার বাড়িতে প্রতিদিন কী জন্য আসে? "

বৃদ্ধা জবাব দিলেন,
" আল্লাহর কসম ! আমার জানা নেই। সে প্রতিদিন আসে, তারপর আমার ঘর ঝাড়ু দেয়, সবকিছু পরিষ্কার করে, তারপর আমার জন্য খাবার তৈরি করে, তারপর কোনো কথা না বলেই চলে যায়। "
.
আবু বকর ( রাঃ ) এর মৃত্যুর পর আমীরুল মুমিনীন উমার ( রাঃ ) ও একইভাবে বৃদ্ধার সেবা করতে আরম্ভ করলেন। বৃদ্ধা কিছু একটা টের পেয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, " তোমার বন্ধু কি মারা গেছেন? "
উমার ( রাঃ ) অন্ধ বৃদ্ধার প্রশ্ন শুনে প্রচণ্ড অবাক হলেন। উমার ( রাঃ ) বৃদ্ধাকে জিজ্ঞাসা করলেন, " আপনি কীভাবে বুঝলেন? "

বৃদ্ধা জবাব দিলেন,
" তুমি আমার জন্য খেজুর এনেছো, কিন্তু খেজুরগুলোর বীচি ফেলো নি। " ( অথচ এই সামান্য বিষয়টাও তোমার বন্ধুর নজর এড়াতো না )
উমার ( রাঃ ) হাঁটু গেঁড়ে বসে পড়লেন। তাঁর চোখ অশ্রুতে পরিপূর্ণ হয়ে গেলো। আর এই অবস্থায় উমার ( রাঃ ) তাঁর বিখ্যাত উক্তিটি বললেন,
" হে আবু বকর ! আপনি পরবর্তী খলীফাদের কাজ অত্যন্ত কঠিন করে গেছেন। "
.
( আল্লাহ তাঁদের উপর রহম করুন )

[ তথ্যসূত্র : তারীখে দিমাশক ৩০/৩২২ ]

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


যে বর্ণনাটি হাদীস নয়,সেটিকে হাদীস বলার সুযোগ শরীয়তে নেই।
এক্ষেত্রে হাদীসে কঠোর বানী রয়েছে।
,
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন :

لا تَكْذِبُوا عَلَيَّ فَإِنَّهُ مَنْ كَذَبَ [يَكْذِبْ] عَلَيَّ فَلْيَلِجِ النَّارَ.

‘‘তোমরা আমার নামে মিথ্যা বলবে না; কারণ যে ব্যক্তি আমার নামে মিথ্যা বলবে তাকে জাহান্নামে যেতে হবে।’’
(বুখারী, আস-সহীহ ১/৫২ মুসলিম, আস-সহীহ ১/৯।)

যুবাইর ইবনুল আউয়াম (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন :

مَنْ كَذَبَ عَلَىَّ فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ

‘‘যে ব্যক্তি আমার নামে মিথ্যা বলবে তার আবাসস্থল জাহান্নাম।’’
(বুখারী, আস-সহীহ ১/৫২।)

সালামাহ ইবনুল আকওয়া (রা) বলেন: রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন :

مَنْ يَقُلْ عَلَىَّ مَا لَمْ أَقُلْ فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ

‘‘আমি যা বলি নি তা যে আমার নামে বলবে তার আবাসস্থল জাহান্নাম।’’
(বুখারী, আস-সহীহ ১/৫২।)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত বর্ণনাটি হাদীস গ্রন্থগুলোতে পাইনি। এটি তারিখে দিমাশক গ্রন্থে আছে।
এক্ষেত্রে অনেকেই বলেন যে এ ঘটনা বর্ণনাকারীদের মধ্যে দূর্বল রাবী রয়েছে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...