হায়েজের পর পবিত্রতার সময়কাল বিষয়ক প্রশ্ন

Question

আসসালামু আলাইকুম

আমার জেনারেলি পিরিয়ড একদম ফিক্সড ডেটেই হয় আলহামদুলিল্লাহ। মানে এই মাসের ২ তারিখ হলে পরের মাসেও ২ তারিখ। গত দুই মাস ধরে আয়রন ট্যাবলেট খাচ্ছি। এ কারণে দেখতেছি তিন /চারদিন/ পাঁচদিন আগে হচ্ছে।আয়রন ট্যাবলেট এখনও চলতেছে এবং এটার কারণে আমি অন্যজনেরও দেখেছি আগে আগে হয় বাট এইবার অনেক বেশি আগে এমন হয়নি কখনো।তো লাস্ট ৩০ শে জুলাই হয়েছিল এবং পবিত্র হই ৪ তারিখ। আজকে আবার ১৬ তারিখ মনে হচ্ছে হালকা একটু ব্লাড দেখা যাচ্ছে।

আমিতো জানি দুই পিরিয়ডের মধ্যবর্তী পবিত্রতার সময় ন্যূনতম ১৫ দিন। কিন্তু আমার তো টেনেটুনে ১২ দিন হয়েছে। আজকে ১২ তম দিন।তাহলে এখন হুকুম কি? এখনই যদি স্বাভাবিক অন্যান্য মাসের মত গতিতে ব্লিডিং শুরু হয়ে যায় তাহলেই বা হুকুম কি?
আবার আমি যদি ১৫ দিন পবিত্রতার দিন হিসেবে পূর্ণ করে 16 তম দিন থেকে হায়েজের হিসাব শুরু করি,, তাহলে তখন ৩ দিন কমপ্লিট হওয়ার আগেই হায়েজ সেরে যাবে। কারণ অভ্যাস পাঁচ দিন আর পবিত্রতার দিন পূর্ণ করতে ৪ দিন শেষ হয়ে যাবে। তাহলে ঐদিন গুলোও তো হায়েজ হলো না ৩ দিনের কম তাই জন্য। তাহলে এখন কি করনীয়

Answer 1

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-

আলহামদুলিল্লাহ!

واقل الطہر بین الحیضتین او النفاس والحیض خمسۃ عشر یومًا ولیالیھا اجماعًا۔

দুই হায়েজ বা নিফাস ও হায়েজের মধ্যে   

পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা সর্বসম্মতিক্রমে পনেরো দিন পনেরো রাত।(রদ্দুল মুহতার-১/২৮৫)

:ومن جملۃذٰلک الدم المتخلل فی اقل مدۃ الطھرولا یمکن معرفقہ ذٰلک الّا بعد معرفۃ اقل الطھرواقلہ خمسۃ عشر یوماً عندنا۔

পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমার মধ্যে

 দমে মুতাখাল্লিল এর বিধানের সারাংশ হলো পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা পনেরো দিন হিসেবে ধরে তার পরিচয় জানা যাবে। (তাতারখানিয়া-১/৩২১)

وأقل الطہر بین الحیضتین أو النفاس والحیض خمسة عشر یوماً ولیالیہا إجماعاً (درمختار: ۱/۴۷۷، ط: زکریا دیوبند) 

والناقص عن أقلہ والزائد علی أکثرہ أو أکثر النفاس أو علی العادة وجاوز أکثرہما ․․․․․․ استحاضة ۔ (المصدر السابق)

হায়েজের সর্বনিম্ন সীমার থেকে কম বা বেশি,নেফাসের 

সর্বোচ্চ সীমার থেকে বেশি ইস্তেহাজা।

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!

 দুই পিরিয়ডের মধ্যবর্তী পবিত্রতার সময় ন্যূনতম ১৫ দিন। যেহেতু আপনার টেনেটুনে ১২ দিন হয়েছে। আজকে ১২ তম দিন।তাই এখনকার রক্তস্রাব ইস্তেহাযা হিসেবে গণ্য হবে। ১৫ দিন পবিত্রতার দিন হিসেবে পূর্ণ করে ১৬ তম দিন থেকে রক্তস্রাবের যেহেতু ৩ দিন পূর্ণ হবে না।তাই সেটাও ইস্তেহাযা। নামায রোযা করতে হবে। বিস্তারিত- https://www.ifatwa.info/7474