আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
123 views
in পবিত্রতা (Purity) by (26 points)
আমার একটি ছোচ বোন আছে। ২বছর বয়স। সে মাঝে মধ্যেই খেলতে খেলতে দাড়িয়ে প্রস্রাব করে দেয় ।

তো আমি তাকে বাথরুমে নিয়ে যাই এবং তার শরীরের নাপাকী পরিষ্কার না করে আগে হালকা ভিজিয়ে কোমর থেকে পর্যন্ত সাবান মাখাই। তারপর তাকে দাঁড় করিয়ে  কোমর থেকে পানি ঢেলে  সাবান ধুইয়ে দেই। কিন্তু সে যেহেতু দাঁড়ানো অবস্থায় ছিল তাই তার পায়ু ও গোপনাঙ্গে ঠিকমতো পানি পৌছেনি। তাই আমি তাকে বসিয়ে মগ দিয়ে পানির ঝাপটা দিয়ে ধুয়ে দেই । তারপর আবার তাকে দাঁড় করিয়ে কোমর থেকে পানি ঢেলে ধুইয়ে দেই।


এভাবে কী সে পবিত্র হয়েছে। নাকি তিনবার করে দাড়িয়ে আবার তিনবার করে বসিয়ে পানি দেওয়া লাগত । আমার শুচিবায়ু রোগ আছে। আমি এই চিন্তায় ঘুমাতে পারছি না।


আরেকটা প্রশ্ন। সে যদি গোসলের আগে আবার খেলতে খেলতে দাড়িয়ে  প্রস্রাব করে দেয়। তাহলে প্রথমে আলাদা করে নাপাকী  না ধুয়ে সরাসরি গোসল করার সময় শরীরের সব জায়গায় পানি পৌছালেই হবে নাকি কোনো নিয়ম অনুযায়ী পানি পৌছাতে হবে। মানে ধরুন আমি আগে তার গোপনাঙ্গ ধুয়ে তারপর পায়ে পানি দিলাম। এক্ষেত্রে তো তাকে বসিয়ে  ধোয়ানোর সময়  রানের নাপাকীর সাথে পানি মিশ্রিত হয়ে  চুইয়ে আবার গোপনাঙ্গে পরতে পারে। আমি খুব খুঁতখুঁতে । চিন্তায় থাকি সবসময় । দয়া করে বলুন আমি কী করব।

1 Answer

0 votes
by (676,360 points)
জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম


শরীয়তের বিধান মতে ছোট বাচ্চাদের প্রস্রাবও অপবিত্র এবং তা কাপড়ে/গায়ে লাগলে পবিত্র করা ব্যতিত নামাজ আদায় শুদ্ধ হবে না। 

হাদিস শরিফে এসেছে,

عَنْ عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ، أَنَّهَا قَالَتْ أُتِيَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ بِصَبِيٍّ، فَبَالَ عَلَى ثَوْبِهِ، فَدَعَا بِمَاءٍ فَأَتْبَعَهُ إِيَّاهُ

উম্মুল মু’মিনীন আয়শা রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল ﷺ-এর কাছে একটি শিশুকে আনা হল। শিশুটি তাঁর কাপড়ে পেশাব করে দিল। তিনি পানি আনালেন এবং এর ওপর ঢেলে দিলেন। (সহীহ বুখারী ২২২)

عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ـ رضى الله عنهما ـ عَنِ النَّبِيِّ ﷺ أَنَّهُ مَرَّ بِقَبْرَيْنِ يُعَذَّبَانِ فَقَالَ ” إِنَّهُمَا لَيُعَذَّبَانِ وَمَا يُعَذَّبَانِ فِي كَبِيرٍ أَمَّا أَحَدُهُمَا فَكَانَ لاَ يَسْتَتِرُ مِنَ الْبَوْلِ

ইবনু আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী ﷺ এমন দু’টি কবরের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন যে কবর দু’টির বাসিন্দাদের আযাব দেওয়া হচ্ছিল। তখন তিনি বললেন, এদের দু’জনকে আযাব দেওয়া হচ্ছে অথচ তাদের এমন গুনাহর জন্য আযাব দেওয়া হচ্ছে না যা থেকে বিরত থাকা দুঃরূহ ছিল। তাদের একজন পেশাবের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করত না আর অপরজন চোগলখুরী করে বেড়াত। (সহীহ বুখারী ১২৭২)

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত উভয় ছুরতেই সে পবিত্র হয়ে গিয়েছে।
কোনো সমস্যা নেই।
আপনি এহেন ওয়াসওয়াসাকে গুরুত্ব দিবেননা।    


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...