আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
97 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (7 points)
reopened by
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শায়খ
আশা করি ভালো আছেন
৪ বছর আগে আল্লাহ পাক সম্পর্কে বাজে বাজে চিন্তা আসতো আসার কারণে আমি ভিষণ চিন্তিত হয়ে যেতাম এবং মনে করতাম আমি মনে হয় কাফের হয়ে গেছি আর বারবার তওবা করতাম তার পরও মনে অনেক খারাপ কথা আসতো অনেক চিন্তিত হয়ে যেতাম আর মনে হত আল্লাহ পাক আমাকে ক্ষমা করবে না ( আল্লাহ পাক মাফ করুক)এবং একা একা সবসময়ই বলতাম আল্লাহ পাক মহান এবং একক তার কোনো শরিক নাই আমি আল্লাহর গোলাম  সবসময়ই চিন্তাই থাকতাম এসবের কারণে নিজেকে মেরে ফেলতে ইচ্ছে করতো  তারপর ডাক্তার দেখালাম ডাক্তার বললো আমি মানসিক রোগী অনেক ঔষধ খেলাম ঘুমের কারণে কিছুই করতে পারতাম না তারপর হুজুররা কিছু আমল দিলো আমল করে অনেকটাই ভালো ছিলাম তারপর পাক নাপাক নিয়ে ওয়াসওয়াসা আসে ভিষণ খারাপ লাগতো নামাজের আগে থেকে ওজু করতাম নামাজ শেষ হয়ে যেতো আমার ওয়াসওয়াসার কারণে ওজু শেষ হতো না এই ওয়াসওয়াসাটা অনেক দিন ছিলো পরে এটা শেষ হয়ে অন্য যেমন কোনো কথা বললে মনে হত আমার ঈমান চলে গেছে বারবার চিন্তিত হয়ে যেতাম পরে এই ওয়াসওয়াসা গিয়ে ছোট সময় কারো হক মেরে খেয়ে ছিলাম কিনা এই ওয়াসওয়াসা আসতো আমি নিজেকে শেষ করে দিতে চাইতাম
পরে অনেকদিন ভালো ছিলাম গত বছর রাসুল সা: সম্পর্কে বাজে বাজে চিন্তা আসতো অনেক মনে করতাম আমি কাফের হয়ে গেছি আমি নাহবেমীর জামাতে পড়তাম ওইখানে মা লা বুদ্দা কিতাব আমাদেরকে ক্লাস করানো হত ওইখানে একটা মাসআলা পড়েছিলাম কেউ যদি রাসুলুল্লাহ সাঃ কে গালি দেয় তাকে হত্যা করা ওয়াজিব তার তওবা কবুল হবে না
আমার মনে মনে যেহেতু রাসুলুল্লাহ সাঃ সম্মন্ধে কুচিন্তা আসতো আমি নিজে থেকে কখনোই এসব চিন্তা আনতাম না মনে মনে অনেক খারাপ কথা আসতো তাই মনে করতাম আমার তওবা মনে হয় আল্লাহ পাক ক্ষমা করবেন না ( আল্লাহ পাক ক্ষমা করুক) এই চিন্তায় মাথা সবসময়ই ব্যাথা করতো বুক ব্যাথা করতো
এক ভাই বললো কেউ যদি একা একাও তালাক বলে তাহলেও তার তালাক হবে যেহেতু কিছু দিন পর আমি বিবাহ করবো তাই
তারপর মার্চ মাসের ১০ তারিখে আমার যখন বিবাহ হয় তখন মনে মনে বারবার তালাকের কথা আসতে থাকে বিবাহের পর দোয়া করা হয় সেই দোয়াতেও তালাকের ওয়াসওয়াসা আসতেই থাকে মনে হতো মনে হয় তালাক হয়ে গেছে তারপর জানলাম মনে মনে তালাক দিলে তালাক হবে না
আবার শুনলাম কেউ ঈমান হারা হয়ে গেলে তার বিবাহটাও নষ্ট হয়ে যায় তখন আবার আল্লাহ পাক এবং রাসূল সাঃ সম্মন্ধে খারাপ চিন্তা মাথায় বেশির ভাগ সময়ই আসে আমি তারাবির নামাজ পরাইতাম ওইখানেও আমার ওয়াসওয়াসা আসতো যার কারণে কয়েকদিন লুকমা খেয়েছি
তার পর বারবার তালাকের ওয়াসওয়াসা আমাকে খেয়ে নিচ্ছে
খুব চিন্তিত হয়ে যায় মন বলতো তালাক দিলাম আর মুখে বাধা দিতাম যে না আমি তালাক দিছি না
এরকম বারবার বলতাম
একদিন আমার স্ত্রীর সাথে ভালো কথা বলতেছিলাম পরে মনে ওয়াসওয়াসা আসে তারপর বলতে চাইছিলাম যে এই কারণে তালাক দিয়েছি না কিন্তু কোনো কারণে মুখের ঝরতা থাকায় না শব্দটা বলতে পারি নাই দিয়েছি পর্যন্ত মুখ দিয়ে বের হইছে এবং সাথে সাথে বলে ফেলি এই কারণে তালাক দিয়েছি না
যখন পড়তে বসি মন বলে তালাক দিয়ে পড়তাছি আমি বলি না তালাক দিয়ে পড়তাছি না আমি তালাক দেই নাই  খুব টেনশনে আছি কি করণীয় কিছুই ভালো লাগে না মনে হয় মরে যায় আমি আমার স্ত্রীর সাথে সবসময়ই থাকতে চাই এসব কিছু হুজুরের কাছে জানাইছি ময়মনসিংহের এক বড় মাদ্রাসার মুহতামিমের কাছে তিনি বলছেন আমি ওয়াসওয়াসার রুগী
শায়খ কি করণীয়
দয়া করে প্রশ্নের উত্তর দিলে খুব উপকৃত হতাম আমার কি তালাক হবে এই দুনিয়া আমার কাছে ভালোলাগে না
শায়খ যা বললাম আল্লাহর কসম সব সত্যি বলেছি

1 Answer

+1 vote
by (680,240 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


উকবাহ ইবনু আ’মির রাযি. বলেন,

لاَ يَجُوزُ طَلاَقُ الْمُوَسْوِسِ

‘ওয়াসওয়াসা সম্পন্ন (সন্দেহের বাতিকগ্রস্ত) ব্যক্তির তালাক কার্যকর হয় না।’ 
(সহিহ বুখারী, অধ্যায় ৬৮)

চার মাযহাব সম্ভলিত সর্ববৃহৎ ফেকহি গ্রন্থ "আল-মাওসুআতুল ফেকহিয়্যা"গ্রন্থে লিপিবদ্ধ রয়েছে যে,
نَقَل ابْنُ عَابِدِينَ عَنِ اللَّيْثِ: فِي مَسْأَلَةِ طَلاَقِ الْمُوَسْوَسِ  أَنَّهُ لاَ يَجُوزُ طَلاَقُ  الْمُوَسْوَسِ  ، قَال: يَعْنِي الْمَغْلُوبَ فِي عَقْلِهِ
وَنَقَل ابْنُ الْقَيِّمِ: إِنَّ الْمُطْلِّقَ إِنْ كَانَ زَائِل الْعَقْل بِجُنُونٍ أَوْ إِغْمَاءٍ أَوْ وَسْوَسَةٍ لاَ يَقَعُ طَلاَقُهُ،  قَال: وَهَذَا الْمَخْلَصُ مُجْمَعٌ عَلَيْهِ بَيْنَ عُلَمَ ـ اءِ الأُْمَّةِ

- رِدَّةُ الْمُوَسْوَسِ: 
٢١ - إِنْ تَكَلَّمَ الْمُوَسْوَسُ  بِكَلاَمٍ يَقْتَضِي الرِّدَّةَ لَمْ يَكُنْ فِي حَقِّهِ رِدَّةٌ. صَرَّحَ بِذَلِكَ الْحَنَفِيَّةُ، يَعْنُونَ الْمَغْلُوبَ فِي عَقْلِهِ
ইবনে আবেদিন শামী রাহ বর্ণনা করেন,ওয়াসওয়াসা গ্রস্থ ব্যক্তি -যার বিবেকবুদ্ধি লোপ পেতে বসেছে-তার তালাক গ্রহণযোগ্য নয়।
ইবনুল কাইয়িম রাহ বলেন, যদি তালাক প্রদানকারী ব্যক্তি ওয়াসওয়াসা,বেহুশি বা পাগলাটের দরুণ বিবেকবুদ্ধি লোপ পেতে থাকে, তাহলে তার তালাক গ্রহণযোগ্য হবে না। এর উপর সমস্ত উলামাদের ঐক্যমত রয়েছে।
(আল-মাওসু'আতুল ফেকহিয়্যাতুল কোয়েতিয়্যাহ-৪৩/১৫৬)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/835

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নের বিবরন মতে কোনো তালাক হয়নি। আপনার ঈমান চলে যায়নি। আপনি নিশ্চিন্ত মনে সংসার ও স্বাভাবিক জীবন যাপন চালিয়ে যান,কোনো সমস্যা নেই।

আরো জানুনঃ- 
https://ifatwa.info/54169

ওয়াসওয়াসা থেকে মুক্তির আমল গুলি জানুনঃ- 
https://ifatwa.info/64968

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। 

বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না । 

এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন। 

আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। 

আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (7 points)
যদিও একজন বলেছে যে আমি ওয়াসওয়াসার রুগী তারপরও শয়তানে বারবার মনে ওয়াসওয়াসা দেই যে তুই ওয়াসওয়াসার রুগী না 
শায়খ আমার জন্য শরিয়তে কোনো ছাড় আছে আমি কি সত্যিই ওয়াসওয়াসার রুগী 
আমি অনেক পেরেশানি তে আছি

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...