আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
95 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (50 points)

আসসালামু আলাইকুম হুজুর। আমার প্রশ্ন ওয়াসওয়াসা কেন্দ্রিক নাম বরং মাসআলা কেন্দ্রিক। তাই উত্তরগুলো দিলে উপকৃত হবো।
 

১.১) গায়েবী ডাক কাকে বলে? 


 

১.২) গায়েবী ডাক দেয়া ব্যক্তি কি কাফের বা মুশরিক হয়ে যায়? 

 

১.৩) অভ্যাসগত ভাবে কেউ গায়েবী ডাক দিয়ে দিলে সেক্ষেত্র কি হুকুম?

 শুধু (১) নং গুলো কুরআন হাদিসের আলোকে আলোচনা করলে উপকৃত হব


 

২) অনলাইনে কোন পোস্ট বা পরিচিত কারো মেসেজ দেখে আমি অনেক সময় একটা রিয়েকশন দেই। যেমনঃ ধ্যাত ব্যাটা এগুলো কি লেখে বা এ ভাই তর কথায় তো ভুল। এ ধরনের কথা অপরপক্ষ শুনতে বা জানতে পারে না। এগুলো কি গায়েবী ডাক? 


 

৩) আমার নিজে নিজে কথা বলার অভ্যাস আছে। আমি অনেক সময় মনে মনে আবার কখনো বা হালকা শব্দ করে কথা বলে থাকি। এখন এক্ষেত্রে আমি যদি কোনো ঘটনা নিয়ে নিজে নিজে চিন্তা করতে থাকি বা কথা বলতে থাকি। আমরা সাধারণত অন্য যেকোন মানুষের সাথে কথা বলার সময় যে রকম ভাবে বলি মানে তারা আমাদের সম্পর্কে যা হয় তা বলে যে সম্বোধন করি যেমনঃ কোনো বন্ধুর সাথে কথা বলতে গিয়ে ভাই বলে সম্মোধন করে ফেলি অনেক সময়। অবশ্য এখানে সে তো আমার সামনে নাই আমি তো নিজে নিজে চিন্তা করছি একটা ঘটনা সম্পর্কে। এগুলো কি গায়েবী ডাক?


 

জাযাকাল্লাহু খাইরান 


 

1 Answer

0 votes
by (561,180 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


(১.১)
غَائِب ج غَيَب ، غُيَّب ، غُيَّاب [غيب]
[গা'ইব] শব্দের অর্থঃ-
অনুপস্থিত
অদৃশ্য
লুক্কায়িত
অস্তমিত
(ব্যাকরণে) প্রথমপুরুষ
নামপুরুষ
third person

আর ডাক মানে কাউকে ডাকাডাকি করা,আহবান করা ইত্যাদি। 

সুতরাং গায়েবী ডাক বলতে অদৃশ্য হতে আসা ডাক বুঝায়।  যেমন আসমান থেকে আওয়াজ আসা শোনা,বাতাসের মাঝ হতে আওয়াজ আসা শোনা ইত্যাদি। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، - وَاللَّفْظُ لأَبِي بَكْرٍ - قَالاَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ وَهْبِ بْنِ كَيْسَانَ، عَنْ عُبَيْدِ بْنِ عُمَيْرٍ، اللَّيْثِيِّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " بَيْنَا رَجُلٌ بِفَلاَةٍ مِنَ الأَرْضِ فَسَمِعَ صَوْتًا فِي سَحَابَةٍ اسْقِ حَدِيقَةَ فُلاَنٍ . فَتَنَحَّى ذَلِكَ السَّحَابُ فَأَفْرَغَ مَاءَهُ فِي حَرَّةٍ فَإِذَا شَرْجَةٌ مِنْ تِلْكَ الشِّرَاجِ قَدِ اسْتَوْعَبَتْ ذَلِكَ الْمَاءَ كُلَّهُ فَتَتَبَّعَ الْمَاءَ فَإِذَا رَجُلٌ قَائِمٌ فِي حَدِيقَتِهِ يُحَوِّلُ الْمَاءَ بِمِسْحَاتِهِ فَقَالَ لَهُ يَا عَبْدَ اللَّهِ مَا اسْمُكَ قَالَ فُلاَنٌ . لِلاِسْمِ الَّذِي سَمِعَ فِي السَّحَابَةِ فَقَالَ لَهُ يَا عَبْدَ اللَّهِ لِمَ تَسْأَلُنِي عَنِ اسْمِي فَقَالَ إِنِّي سَمِعْتُ صَوْتًا فِي السَّحَابِ الَّذِي هَذَا مَاؤُهُ يَقُولُ اسْقِ حَدِيقَةَ فُلاَنٍ لاِسْمِكَ فَمَا تَصْنَعُ فِيهَا قَالَ أَمَّا إِذَا قُلْتَ هَذَا فَإِنِّي أَنْظُرُ إِلَى مَا يَخْرُجُ مِنْهَا فَأَتَصَدَّقُ بِثُلُثِهِ وَآكُلُ أَنَا وَعِيَالِي ثُلُثًا وَأَرُدُّ فِيهَا ثُلُثَهُ " .

আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা ও যুহায়র ইবনু হারব (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ একদা এক ব্যক্তি কোন এক জঙ্গলে ভ্রমণ করছিলেন। এমতাবস্থায় হঠাৎ মেঘখন্ড হতে তিনি এ আওয়াজ শুনতে পেলেন যে, অমুকের বাগানে পানি দাও। সঙ্গে সঙ্গে ঐ মেঘখন্ডটি একদিকে যেতে লাগল। অতঃপর এক প্রস্তর পূর্ণ ভূমিতে বারিপাত করল। ঐ স্থানের নালা সমূহের একটি নালা ঐ পানিতে সম্পূর্ণরূপে ভরে গেল। তখন সে লোকটি পানির অনুসরণ করে চলল। যেতে যেতে সে এক ব্যক্তিকে তার বাগানে দণ্ডায়মাল অবস্থায় কোদাল দিয়ে পানি ফিরাচ্ছে, দেখতে পেল। এ দেখে সে তাকে বলল, হে আল্লাহর বান্দা! তোমার নাম কি? সে বলল, আমার নাম অমুক, যা তুমি মেঘ খণ্ডের মাঝে শুনতে পেয়েছ।

অতঃপর বাগানের মালিক তাকে প্রশ্ন করল, হে আল্লাহর বান্দা! তুমি আমার নাম জিজ্ঞেস করলে কেন? জবাবে সে বলল, যে মেঘের এতে পানি, এর মাঝে আমি এ আওয়াজ শুনতে পেয়েছি, তোমার নাম নিয়ে বলছে যে, অমুকের বাগানে পানি দাও। অতঃপর বলল, তুমি এ (বাগানের ব্যাপারে) কি আমল কর? মালিক বলল, যেহেতু তুমি জিজ্ঞেস করছ, (তাই বলছি) আমি এ বাগানের উৎপাদিত ফসলের প্রতি লক্ষ্য করি। অতঃপর এর এক-তৃতীয়াংশ সাদাকা করি, এক তৃতীয়াংশ আমি ও আমার পরিবার পরিজন আহার করি এবং এক তৃতীয়াংশ এতে ফিরিয়ে দেই (চাষাবাদ ও বাগানের উন্নয়নের কাজে ব্যয় করি)।
(মুসলিম শরীফ ৫২০৩ ৫৬/ যুহুদ ও দুনিয়ার প্রতি আকর্ষণহীনতা সম্পর্কিত বর্ণনা (كتاب الزهد والرقائق ২৯৮৪, আহমাদ ৭৮৮১)

(১.২)

গায়েবী ডাক দেয়া ব্যক্তি কাফের বা মুশরিক হয়ে যায়না।

১.৩) অভ্যাসগত ভাবে কেউ গায়েবী ডাক দিয়ে দিলে

এক্ষেত্রে সে আসলে কিভাবে ডাকবে,বিষয়টি বিস্তারিত কমেন্ট বক্সে উল্লেখ করলে ভালো হতো।

(০২)
এগুলো গায়েবী ডাক নয়।

(০৩)
এগুলোও গায়েবী ডাক নয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...