আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
175 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (13 points)
edited by
প্ৰিয় মুফতি সাহেব

আমার এক নিকট আত্মীয় কথিত দেওয়ানবাগি পীরের ভক্ত ছিল। সে কোন প্রকারের শিরক বা কুফর সম্পর্কিত কোন কাজ করে কিনা সেটা আমার স্পষ্ট জানা নেই। তবে সে একসময় নিজের ঘরের দেয়ালে এবং নিজের গলায় কথিত পীরের ছবি ঝুলিয়ে রাখতো। মাঝে মাঝে মানুষের হাতের রেখা দেখে ভাগ্য ভালো না খারাপ এই ধরনের কথাবার্তা বলত। এখন সে এইগুলো করে কিনা সেটা আমি জানি না। তবে সেই কথিত পীরের ছবিগুলো সরিয়ে ফেলেছে। এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে :

১) তার সম্পর্কে এখন আমার ধারণা কি হবে? যেহেতু একজন সাধারণ মুসলমানকে কাফের মনে করা একটি স্পর্শকাতর বিষয়।

২) তার ঈমান এবং বৈবাহিক সম্পর্ক ঠিক আছে কিনা সেটা অনুসন্ধান করে দেখা আমার জন্য জরুরী কিনা ?

৩) তারসাথে একই বাসায় থাকা যাবে কিনা যদি তার কোন প্রভাব আমার ওপর না পড়ে।

৪) যেহেতু তার বিষয়ে এবং তার স্ত্রীর ঈমান আকিদার বিষয়ে আমি শতভাগ শিউর না তাই সাধারণভাবে দাওয়াত দিবার পরেও সেই বিষয়গুলো (তাঁদের ঈমান, বৈবাহিক সম্পর্ক ঠিক আছে কিনা) নিয়ে বেশি ঘাঁটাঘাঁটি করা কতটুকু যুক্তিযুক্ত হবে?

 উপরোক্ত বিষয়গুলো নিয়ে আমি একটু মানসিকভাবে পেরেশানি এবং ওয়াসওয়াসার মধ্যে আছি। খুব দ্রুত বিষয়গুলো জানালে উপকৃত হব।

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত আবু বাকরা রাযি থেকে বর্ণিত,
عَنْ أَبِي بَكْرَةَ رضي الله عنه أَنَّ رَجُلًا ذُكِرَ عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَثْنَى عَلَيْهِ رَجُلٌ خَيْرًا ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : ( وَيْحَكَ قَطَعْتَ عُنُقَ صَاحِبِكَ - يَقُولُهُ مِرَارًا - إِنْ كَانَ أَحَدُكُمْ مَادِحًا لَا مَحَالَةَ فَلْيَقُلْ : أَحْسِبُ كَذَا وَكَذَا إِنْ كَانَ يُرَى أَنَّهُ كَذَلِكَ وَحَسِيبُهُ اللَّهُ ، وَلَا يُزَكِّي عَلَى اللَّهِ أَحَدًا )
একদিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এক লোকের ব্যাপারে আলোচনা হয়। তখন অন্য এক লোক বলল, হে আল্লাহর রসূল! অমুক অমুক কাজের বিষয়ে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পর তার চেয়ে উত্তম আর কোন লোক নেই। এ কথা শুনে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমার ধ্বংস হোক, তুমি তো তোমার সঙ্গীর গর্দান কেটে ফেলেছ। তিনি এ কথাটি বার বার বললেন। অতঃপর বললেন, তোমাদের কারো যদি তার ভাইয়ের প্রশংসা করতেই হয় তবে সে যেন বলে অমুকের ব্যাপারে আমার ধারণা যে, সে এমন (বাস্তবে হলেই এ কথাটি বলতে পারবে), তবে আল্লাহর সম্মুখে আমি কাউকে দোষমুক্ত ঘোষণা করছি না (অর্থাৎ আমি আল্লাহর সামনে কাউকে পবিত্র করতে পারি না)। (সহীহ মুসলিম-শামেলা:৩০০০,ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৭২৩১, ইসলামিক সেন্টার ৭২৮৪)(সহীহ বোখারী-৬০৬১)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) তার সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখবেন।

(২) তার ঈমান এবং বৈবাহিক সম্পর্ক ঠিক আছে কিনা? সেটা অনুসন্ধান করে দেখা আপনার জন্য জরুরী নয়।

(৩) তারসাথে একই বাসায় থাকা যাবে, যদি তার কোন প্রভাব আমার উপর না পড়ে।

(৪) যেহেতু তার বিষয়ে এবং তার স্ত্রীর ঈমান আকিদার বিষয়ে আপনি শতভাগ শিউর না, তাই সাধারণভাবে দাওয়াত দিবার পরেও সেই বিষয়গুলো (তাঁদের ঈমান, বৈবাহিক সম্পর্ক ঠিক আছে কিনা) নিয়ে কোনো প্রকার  ঘাঁটাঘাঁটি করা উচিৎ হবে না।

আল্লাহ তা'আলা বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اجْتَنِبُوا كَثِيرًا مِّنَ الظَّنِّ إِنَّ بَعْضَ الظَّنِّ إِثْمٌ ۖ وَلَا تَجَسَّسُوا وَلَا يَغْتَب بَّعْضُكُم بَعْضًا ۚ أَيُحِبُّ أَحَدُكُمْ أَن يَأْكُلَ لَحْمَ أَخِيهِ مَيْتًا فَكَرِهْتُمُوهُ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۚ إِنَّ اللَّهَ تَوَّابٌ رَّحِيمٌ
মুমিনগণ, তোমরা অনেক ধারণা থেকে বেঁচে থাক। নিশ্চয় কতক ধারণা গোনাহ। এবং গোপনীয় বিষয় সন্ধান করো না। তোমাদের কেউ যেন কারও পশ্চাতে নিন্দা না করে। তোমাদের কেউ কি তারা মৃত ভ্রাতার মাংস ভক্ষণ করা পছন্দ করবে? বস্তুতঃ তোমরা তো একে ঘৃণাই কর। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তওবা কবুলকারী, পরম দয়ালু।(সূরা হুজরাত-১২)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (583,410 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...