আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
151 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (45 points)
edited by
আস সালামু আলাইকুম শায়েখ।
বৃহষ্পতিবার আমার বিবাহ ঠিক হয়েছে। এখন আমি নিকাহ নামাহ নিয়ে আপনাদের কিছু প্রশ্নের  উত্তর পড়েছি।  অনেকটা ধারনা পেয়েছি।

এখন গ্রামের মানুষ তারা এতো বোজেনা তারা তো নিকাহ নামাহ ১৮ তে হ্যা লিখে দিবে। এখন আপনারা বলেছেন যে ওখানে কিছু শর্ত লিখে যেমন স্বামী নিরুদ্দেশ , ভোরন পোষন দেয়না এগুেলা লিখে মুরব্বিদের সত্যায়ন করে দিলে।  স্ত্রী এক তালাকের অধিকার পাবে।
প্রশ্ন ১: যদি এটা করি তাহলে স্ত্রী যদি কখনও নিজে নিজে  নিজের উপর তালাক নেয় তাহলে কি সে এক তালাক নিতে পারবে।
প্রশ্ন 2:  এক তালাকের বেশি নিতে পারবে না তো । তিন তালাক নিতে পারবে না তো?

প্রশ্ন ৩: আমার বিবাহ হচ্ছে পারিবারিক ভাবে মেয়ের বয়স হয়নি বলে নিকাহ নামা লিখার পরে এগুলো রেজিস্ট্রি হবেনা শুধু নামমাত্র শো হিসেবে থাকবে।  2 বছর পরে যদি এটা বাদ দিয়ে আবার নিকাহ নামা নতুন ভাবে করে ১৮ নং এ হ্যা এর জায়গায় না লিখি এবং কোর্ট রেজিস্ট্রি করি। তাহলে কি তখন আবার স্ত্রী তালাকের অধিকার আগে এক তালাক পাচ্ছিলো সেটাই থাকবে নাকি নতুন নিকাহ নামা অনুসারে কোনো তালাকের অধিকার পাবেনা ।

প্রশ্ন 4: নিকাহনামা ১৮ তে যদি " হ্যা"  অথবা "না "কোনোটাই না  লিখে ।শুধু লিখে দেয় প্রচলিত নিয়ম। তাহলে স্ত্রী কি তালাকের অধিকার পাবে।


প্রশ্ন ৫: নিকাহনামা এর। 18 ও 19 নং কিছু লিখলাম ই না।  লেখা বাদ দিয়ে যদি রেজিস্ট্রি হয়। তখন স্ত্রী কয় তালাকের অধিকার পায়। এক তালাক নাকি তিন তালাক নাকি কোনো তালাক ই না

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) মুরুব্বীদের সমর্থনে স্ত্রী তালাকের মালিক হয় না। বরং স্বামী যদি স্বেচ্ছায় তার স্ত্রীকে তালাকের অধিকারী বানিয়ে দেয়,তাহলে তখনই স্ত্রী তালাকের মালিক হবে।

(২) স্বামী তার স্ত্রীকে এক তালাকের মালিক বানিয়ে দিলে স্ত্রী এক তালাক দিতে পারবে।আর একাধিক তালাকের মালিক বানিয়ে দিলে তখন স্ত্রী একাধিক তালাক দিতে পারবে।

(৩) কাবিন নামা আগে হোক বা পরে হোক, স্বামী স্বতঃ স্পূর্ত ভাবে স্ত্রীকে তালাকের অধিকার না দিলে স্ত্রী কখনো তালাকের অধীকারী হবে না।

(৪) নিকাহনামা ১৮ তে যদি " হ্যা"  অথবা "না "কোনোটাই না  লিখে ।শুধু লিখে দেয় প্রচলিত নিয়ম। তাহলে শুধুমাত্র এদ্বারা স্ত্রী তালাকের অধিকার পাবে না। লিখারও প্রয়োজনিয়তা নাই,বরং স্বামী তালাকের অধিকার দিয়ে দিলে স্ত্রী এমনিতেই তালাকে মালিক বনে যাবে।


(৫) নিকাহনামা এর। 18 ও 19 নং কিছু লিখা না হয়।  লেখা বাদ দিয়ে যদি রেজিস্ট্রি হয়। তাহলে তো স্ত্রী অধিকার পাবেই না।

বিঃদ্রঃ
আপনার ইসলামী জ্ঞান শূণ্যর কোঠায় মনে হচ্ছে।দয়াকরে ফরয পরিমাণ ইলম শিখার চেষ্টা করুন।আল্লাহ আপনাকে তাওফিক দান করুক।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...