بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
মোবাইলে লিখিত কিংবা মৌখিক
তালাক প্রদান করলেও তালাক পতিত হয়ে যাবে। হাদিসে এসেছে,
عَنْ أَبِي
هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:
ثَلَاثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ، وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ: النِّكَاحُ، وَالطَّلَاقُ،
وَالرَّجْعَةُ
আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত।
তিনি বলেন, রাসূলূল্লাহ্
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ তিনটি এমন কাজ আছে,
যার জন্য চেষ্টা করা দরকার। যথাঃ বিবাহ,
তালাক এবং পরিত্যক্ত স্ত্রীকে পুনঃগ্রহণ
সম্পর্কে। (অর্থাৎ হাসি-ঠাট্টাচ্ছলে এরূপ কোনো করা যায় না।)। [তিরমিযী : হাদিস-1184]
অনুরূপভাবে মুখে দিলে যেমনিভাবে
তালাক হয় তেমনিভাবে তালাক লিখে পাঠালেও তালাক পতিত হয়। ফকিহগণ বলেন,
إن الكتابة
يقع بها الطلاق، ولو كان الكاتب قادرا على النطق، فكما أن للزوج أن يطلق زوجته
باللفظ، فله أن يكتب إليها الطلاق.
নিশ্চয় চিঠি (ম্যাসেজ) দ্বারাও
তালাক পতিত হয়। যদিও লেখক বলতে সক্ষম হয়। সুতরাং যেমনিভাবে স্বামী মুখে তালাক দিতে
পারে, তেমনিভাবে
লিখিতভাবেও দিতে পারে। (ফিকহুস সুন্নাহ ৩/১৬৫)
সুতরাং উক্ত মহিলার উপর তিন
তালাক পতিত হয়ে গেছে। এখন উক্ত মহিলা তার উক্ত স্বামীর সাথে ঘরসংসার করা আর বৈধ হবে
না। হ্যাঁ, ইদ্দত
শেষে যদি উক্ত মহিলার অন্যত্র বিয়ে হয়। সেখান থেকে কোনো কারণে তালাকপ্রাপ্তা হয় বা
তার স্বামীর মারা যায় তাহলে ইদ্দত পালন শেষে তাকে উক্ত স্বামী দ্বিতীয়বার বিয়ে করতে
পারবেন। এছাড়া আর কোন গত্যান্তর নেই। (কিতাবুন নাওয়াজেল-৯/৫২১-৫২৩)। আল্লাহ তাআলা বলেন,
فَإِن
طَلَّقَهَا فَلَا تَحِلُّ لَهُ مِن بَعْدُ حَتَّىٰ تَنكِحَ زَوْجًا غَيْرَهُ ۗ
فَإِن طَلَّقَهَا فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِمَا أَن يَتَرَاجَعَا إِن ظَنَّا أَن
يُقِيمَا حُدُودَ اللَّهِ
ۗ
তারপর যদি সে স্ত্রীকে (তৃতীয়বার)
তালাক দেয়া হয়, তবে
সে স্ত্রী যে পর্যন্ত তাকে ছাড়া অপর কোন স্বামীর সাথে বিয়ে করে না নেবে,
তার জন্য হালাল নয়। অতঃপর যদি দ্বিতীয়
স্বামী তালাক দিয়ে দেয়, তাহলে
তাদের উভয়ের জন্যই পরস্পরকে পুনরায় বিয়ে করাতে কোন পাপ নেই। যদি আল্লাহর হুকুম বজায়
রাখার ইচ্ছা থাকে। (সূরা বাকারা ২৩০)
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি
ভাই/বোন!
স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তালাক
উচ্চারণ বা ম্যাসেজ করার দ্বারাই
স্ত্রীর উপর তালাক পতিত হয়ে যায়।এজন্য তালাক শব্দটি স্ত্রীর নিজে শোনা যেমন জরুরী নয়,
তেমনি সংবাদ স্ত্রীর কাছে পৌছানোও জরুরী
নয়। এমনিতেই তালাক পতিত হয়ে যায়। এমনকি তালাক
পতিত হওয়ার জন্য সাক্ষী থাকাও জরুরী নয়। বাকি স্ত্রীকে জানিয়ে দেয়া জরুরী
যেন স্ত্রী ইদ্দত পালন করে স্বাধীন হয়ে যেতে পারে।
তিন
হায়েজ অতিক্রান্ত হলেই ইদ্দত শেষ হয়ে যাবে। তিনমাসের বেশি সময় অপেক্ষার কোনো
প্রয়োজনিয়তা নাই। ইদ্দত শেষে
অন্যত্র বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে কোন সমস্যা নেই।