আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
93 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (19 points)
edited by
আস্সালামুআালাইকুম হুজুর,
যদি কোনো কোনো মেয়ে কোনো ছেলের সাথে কথা বলার সময় এরুপ বলে যে তোমার ঔ বন্ধুর সাথে ( ছেলেটির নাম উল্লেখ করে) আমার  বিয়ের ঘটকালি করো (মেয়েটি মনে মনে হয়ত বিয়ে দেওয়ার নিয়তেই বলেছিলো) যদিও মজা করে বলা এতে কি সেই ছেলে কোনো সময় তার বন্ধুকে উল্লেখিত মেয়েটির বিষয় এ বিয়ের জন্য কবুল বলালে কি তাদের বিয়ে হয়ে যাবে? এক্ষেত্রে কি মেয়েটির বিয়েতে মত দেয়া হয়ে গেল? { উক্ত কথাটি বলার সময় মেয়ের পাশে তার বোন ছিলো এবং ছেলেটির পাশে তার কিছু বন্ধু এবং  সেই বন্ধু যার সাথে বিয়ের ঘটকালি করার কথা বলা হয়েছে সেও হয়ত উপস্থিত ছিলো যদিও নিশ্চিত নয় যে সে উপস্থিত ছিলো কিনা যার সাথে ঘটকালির কথা বলা হয়েছিলো কারন কথোপকথন মোবাইল ফোনের ভিডিও কলের মাধ্যমে হয়েছিল। সেই ছেলেটির ( যার সাথে ঘটকালির কথা বলা হয়েছিলো) কোনো কথাও মেয়েটি শোনে নি}

এখন প্রশ্ন হলো -
১) উক্ত ঘটনার কোনো প্রেক্ষিতে কি ছেলেটির সাথে মেয়েটির বিয়ে হয়ে গেছে?

২) যাকে মেয়েটি বলেছিলে ঘটকালি করতে সে যদি পরবর্তিতে তার বন্ধুকে দিয়ে মেয়েটির ব্যাপারে কবুল বলায় এতে কি তাদের বিয়ে হয়ে যাবে?

৩) মেয়েটির কি বিয়েতে অনুমতি দেয়া হয়ে গেল?

৪) মেয়েটি কি অন্য কোথাও বিয়ে করতে পারবে না?
৫) পরবর্তিতে যকোনো সময় উক্ত ছেলেটি সেইদিন ভিডিও কলে কথা বলার সময় যারা উপস্থিত ছিলো তাদের সামনে রাজি হলে   বা বিয়ের জন্য মত দিলে কি তাদের বিয়ে হয়ে যাবে? যদিও  মেয়েটি পরবর্তিতে আর সেই ছেলেকে বিয়ের জন্য রাজি না থাকে?

৬) মেয়েটি যার সাথে কথা বলছিলো সেই ছেলেটিকে কি বিয়ের উকিল করা হয়ে গেল?

৭) বিয়ের ক্ষেত্রে মেয়ে অনুমতি বা কবুল বলার পর তখনি যদি ছেলে কবুল না বলে অন্য কোনো  সময় বলে তাহলে কি বিয়ে হয়ে যাবে?( উকিল দিয়ে বিয়ের ক্ষেত্রে)

৮) উক্ত ঘটনায় মেয়ের পাশে থাকা তার বোন আর ছেলেটির সাথে থাকা তার বন্ধুরা কি সাক্ষী হিসেবে সাব্যস্ত হবে?

৯) কাউকে বিয়ের জন্য উকিল করার পর মেয়েটি বিয়েতে রাজি না থেকে শুধু ছেলেটি কবুল বললে কি বিয়ে হয়ে যাবে? সেই একি ব্যক্তিদের সামনে যারা মেয়েটির উকিল নিযুক্ত করার  সময় উপস্থিত ছিলো |

১০) উকিল নিযুক্ত করার পর মেয়েটির কি বিয়ের জন্য কবুল বলার প্রয়োজন পরে না? শুধু ছেলেকে দিয়ে সাক্ষীদের উপস্থিতিতে কবুল  বলালে বিয়ে হয়ে যায়?

১১)উকিল বানানোর ক্ষেত্রে মেয়েটি উকিল নিযুক্ত করার পর যেকোনো সময়ই কি পাত্রর থেকে ইযাব-কবুল বলালে বিয়ে হয়ে যাবে?

1 Answer

0 votes
by (677,120 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


https://ifatwa.info/11771/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
ইসলামী শরীয়তে বিবাহ শুদ্ধ হবার জন্য কয়েকটি শর্ত রয়েছে। যথা-
বর ও কনেকে কিংবা তাদের প্রতিনিধিকে ইজাব তথা প্রস্তাবনা ও কবুল বলতে হয়।

উক্ত ইজাব ও কবুলটি বলতে হয় দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক মসলিম পুরুষ বা একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলার সামনে।

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

وَ اسۡتَشۡہِدُوۡا شَہِیۡدَیۡنِ مِنۡ رِّجَالِکُمۡ ۚ فَاِنۡ لَّمۡ یَکُوۡنَا رَجُلَیۡنِ فَرَجُلٌ وَّ امۡرَاَتٰنِ مِمَّنۡ تَرۡضَوۡنَ مِنَ الشُّہَدَآءِ اَنۡ تَضِلَّ اِحۡدٰىہُمَا فَتُذَکِّرَ اِحۡدٰىہُمَا الۡاُخۡرٰی

আর তোমরা তোমাদের পুরুষদের মধ্য হতে দু’জন সাক্ষী রাখ, অতঃপর যদি দু’জন পুরুষ না হয় তবে একজন পুরুষ ও দু’জন স্ত্রীলোক যাদেরকে তোমরা সাক্ষী হিসেবে পছন্দ কর, যাতে স্ত্রীলোকদের মধ্যে একজন ভুলে গেলে তাদের একজন অপরজনকে স্মরণ করিয়ে দেয়।
(সুরা বাকারা ২৮২)

হাদিস শরিফে এসেছে, 

لَا يَجُوزُ نِكَاحٌ، وَلَا طَلَاقٌ، وَلَا ارْتِجَاعٌ إِلَّا بِشَاهِدَيْنِ

‘রাসূল (সা.) বলেছেন, দুইজন সাক্ষী ছাড়া বিবাহ, তালাক ও ফিরিয়ে আনা বৈধ হবে না।’ [মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক, হাদিস: ১০২৫৪]

قوله صلى الله عليه وسلم : ( لا نكاح إلا بولي وشاهدي عدل ) رواه البيهقي من حديث عمران وعائشة ، وصححه الألباني في صحيح الجامع (7557) 

রাসুলুল্লাহ  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “অভিভাবক ও দুইজন সাক্ষী ছাড়া কোন বিবাহ নেই।” [তাবারানী কর্তৃক সংকলিত, সহীহ জামে (৭৫৫৮)]।

 নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী- “তোমরা বিয়ের বিষয়টি ঘোষণা কর।”[মুসনাদে আহমাদ এবং সহীহ জামে গ্রন্থে হাদিসটিকে ‘হাসান’ বলা হয়েছে (১০৭২)]
۔
ইজাব ও কবুলটি উভয় সাক্ষ্যি স্বকর্ণে শুনতে হবে।

উক্ত তিনটির কোন একটি শর্ত না পাওয়া গেলে ইসলামী শরীয়তে বিবাহ শুদ্ধ হয় না।

উপরোক্ত তিনটি শর্ত  পাওয়া গেলে বিবাহ হবে,অন্যথায় বিবাহ হবেনা।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,    
বিবাহ সহীহ হওয়ার জন্য শর্ত হল দু’জন আযাদ প্রাপ্ত বয়স্ক বিবেকবান দুই জন মুসলিম স্বাক্ষের সামনে পাত্র/পাত্রি প্রস্তাব দিবে আর অপরপক্ষে পাত্র/পাত্রি তা কবুল করবে। আর সাক্ষিগণ উভয়ের কথা সুষ্পষ্টভাবে শুনবে। 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,    
(০১)
আমাদের সমাজে বিয়ের ঘটকালি বলতে বিবাহের বিষয় নিয়ে আলোচনা করা বুঝায়।

বিবাহের উকিল বানানো বুঝায়না।

★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত ঘটনার কোনো প্রেক্ষিতে  ছেলেটির সাথে মেয়েটির বিয়ে হয়ে যায়নি।

(০২)
না,এতে তাদের বিয়ে হয়ে যাবেনা।

(০৩)
না,এতে অনুমতি দেয়া বুঝাবেনা।

(০৪)
মেয়েটি অন্যত্রে বিবাহ করতে পারবে।

(০৫)
না,এভাবে বিবাহ হয়ে যাবেনা।

(০৬)
না।

(০৭)
এক্ষেত্রে অন্য সেই সময়ে যদি মেয়ের পক্ষের উকিল ছেলেকে মেয়ের পক্ষ হতে প্রস্তাব পেশ করে,তাহলে বিবাহ হয়ে যাবে।

(০৮)
না,তারা সাক্ষী হিসেবে সাব্যস্ত হবেনা।

(০৯)
এক্ষেত্রে সেই মেয়ের উকিল যদি ছেলেকে প্রস্তাব দেয়,আর ছেলেটি সেই সাক্ষীদের সামনে কবুল বলে,তাহলে বিবাহ হয়ে যাবে।

(১০)
এক্ষেত্রে মেয়ের জন্য কবুল বলার আবশ্যকীয়তা থাকেনা।

(১১)
যেকোনো সময় সেই উকিল যদি ছেলেকে বিবাহের প্রস্তাব দেয়,আর ছেলেটি সেই সাক্ষীদের সামনে কবুল বলে,তাহলে বিবাহ হয়ে যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...