আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
107 views
in সালাত(Prayer) by (10 points)
আসসালামু আলাইকুম।   শায়খ আপনার কাছে তিনটি প্রশ্ন রয়েছে।
এক হচ্ছে - মসজিদের ভিতরে কারো জন্য কি নির্দিষ্ট করে জায়গা রাখা যাবে..? সম্প্রতি আমাদের এলাকায় একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব  উচ্চ পর্যায়ের মন্ত্রী পর্যায়ের একজন লোক আমাদের এলাকার একজনের বাড়িতে দাওয়াত খাওয়ার জন্য এসেছে। দিনটি ছিল শুক্রবার। তিনি আসবে বলে মসজিদে ইমাম সাহেবের পিছনে আগে থেকেই একটি চেয়ার  বরাদ্দ করে রেখে দেওয়া হয়েছে। এখন উনার জন্য আগে থেকেই জায়গা রেখে দেওয়া মসজিদে ভিতরে এই কাজটি কি জায়েজ হয়েছে..?
দ্বিতীয় হচ্ছে - উনি আসতে বিলম্ব করায় জুমা এর জামাত প্রায় ১০-১৫ মিনিট দেরিতে শুরু করেছে।উনার জন্য অপেক্ষা করে, ১০ মিনিট পর উনি আসার পর নামাজের জামাত শুরু করেছে। এইখানে যে দশ মিনিট দেরি করা হলো এই কাজটি কি জায়েজ হয়েছে...?
তৃতীয় হচ্ছে - একজনের জন্য দেরি করে বাকি শতাধিক মুসল্লী কে প্রায় দুই থেকে তিনশ মানুষকে অপেক্ষা করানো কি ঠিক হয়েছে..?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


জামায়াতের নামাজ কাহারো জন্য অপেক্ষা করা উচিত নয়। তবে যদি বিষয়টি এমন হয় যে কিছুক্ষন দেড়ি করলে আরো কিছু মুছল্লি আসবে,সেক্ষেত্রে তাহা জায়েজ আছে 
তবে একজনের জন্য হলে মাকরুহ।
হ্যাঁ যদি ব্যাক্তি আলেম বা নেককার ব্যাক্তি হয়,অথবা খবীছ পর্যায়ের কেহ হয়,সেক্ষেত্রে তার জন্য দেড়ি করা মাকরুহ নয়।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

أن النبي صلى الله عليه وسلم، كان يخرج بعد النداء إلى المسجد، فإذا رأى أهل المسجد قليلا جلس حتى يرى منهم جماعة، ثم يصلي، وكان إذا خرج فرأى جماعة أقام الصلاة"۔
(کتاب الصلاۃ،باب الإمام يخرج فإن رأى الجماعة أقام الصلاة، وإلا جلس حتى يرى منهم جماعة إذا كان في الوقت سعة،ج:2،ص:31،رقم:2283،ط:دار الکتب العلمیہ)
সারমর্মঃ-
রাসুলুল্লাহ সাঃ আযানের পর মসজিদের দিকে বের হতেন।
যদি মসজিদে লোক সংখ্যা কম দেখতেন,সেক্ষেত্রে বসে যেতেন,অতঃপর লোকের জামাত হয়ে গেলে নামাজ শুরু করে দিতেন।

فتاوی شامی:
"ففي أذان البزازية: لو انتظر الإقامة ليدرك الناس الجماعة يجوز و لواحد بعد الاجتماع لا، إلا إذا كان داعرًا شريرًا اهـ"۔
(کتاب الصلاۃ،باب صفۃ الصلاۃ،ج:1،ص:495،ط:سعید)
সারমর্মঃ-
যদি ইকামত দেড়ি করা হয়,যাতে করে আরো মুছল্লি জামাত পায়,তাহলে তাহা জায়েজ আছে 
তবে একজনের জন্য হলে মাকরুহ।
হ্যাঁ যদি খবীছ পর্যায়ের কেহ হয়,সেক্ষেত্রে তার জন্য দেড়ি করা মাকরুহ নয়।

فتاوی شامی:
"فالحاصل أن التأخير القليل لإعانة أهل الخير غير مكروه."
(کتاب الصلاۃ،باب صفۃ الصلاۃ،ج:1،ص:495،ط:سعید)
সারমর্মঃ-
নেককারদের সাহায্য করার লক্ষ্যে সামান্য দেড়ি করব মাকরুহ নয়। 

আলেম এবং নেককার ব্যাক্তির জন্য কিছু সময় দেড়ি করা মাকরুহ নয়।
(ফাতাওয়ায়ে রহিমিয়্যাহ ৪/১৩৪)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত লোকটি যদি নেককার হয়,সেক্ষেত্রে তার জন্য সামান্য কিছু সময় দেড়ি করা মাকরুহ হবেনা।

যদি নেককার না হোন,সেক্ষেত্রে এটি মাকরুহ হয়েছে।

তবে তার জন্য আগে থেকেই জায়গা বরাদ্দ রাখা জায়েজ হয়নি।

বিস্তারিত জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 138 views
...