ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ইদ্দতের মধ্যে মহিলা গর্ভবর্তী হলে, উক্ত মহিলার ইদ্দত তখনই শেষ হবে যখন তার সন্তান ভুমিষ্ট হবে।
فَإِذَا حَبِلَتْ فِي الْعِدَّةِ تَنْقَضِي بِوَضْعِهِ سَوَاءٌ كَانَ مِنْ الْمُطَلِّقِ، أَوْ مِنْ زِنًا، أَوْ مِنْ نِكَاحٍ فَاسِدٍ ……. قَالَ فِي النَّهْرِ: وَفِي الْخُلَاصَةِ: وَكُلُّ مَنْ حَمَلَتْ فِي عِدَّتِهَا فَعِدَّتُهَا أَنْ تَضَعَ حَمْلَهَا، وَفِي الْمُتَوَفَّى عَنْهَا زَوْجُهَا إذَا حَمَلَتْ بَعْدَ مَوْتِ الزَّوْجِ فَعِدَّتُهَا بِالشَّهْرِ اهـ وَقَدْ مَرَّ عَنْ الْبَدَائِعِ. اهـ. (رد المحتار: 3/ 519، 520)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)এভাবে ইদ্দত চলাকালীন জেনার মাধ্যমে গর্ভবতী হওয়ার পর দিন হায়েয দ্বারা ইদ্দত পালন পূর্বক প্রথম স্বামীর সাথে বিবাহ শুদ্ধ হবে না। বরং সন্তান প্রস্রাব হওয়ার পরই ইদ্দত শেষ হবে। এবং তখন প্রথম স্বামীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে হবে।
(২) যেহেতু তিন হায়েজ পূর্ণ হয়নি এবং এরই মধ্যে মহিলা গর্ভবতী হয়ে গেছে।কাজেই বুঝা গেল মহিলা এখনো ইদ্দতে আছে।তাই সন্তান প্রস্রব হওয়ার পরই দ্বিতীয় স্বামীর তালাকের ইদ্দত শেষ হবে।
(৩)তাদের বিবাহ শুদ্ধ হয়নি।সন্তান ভুমিষ্ট হওয়ার পর তারা আবার বিয়ে করে নিবেন। উক্ত সন্তান দ্বিতীয় স্বামীর বলে বিবেচিত হবে যদি সে মেনে নেয় নতুবা এই সন্তান যিনার সন্তান হিসেবে বিবেচিত হবে। (শেষ)
বর্তমান প্রশ্নের উত্তর
(১)তিন হায়েজ পূর্ণ হওয়ার আগে গর্ভবতী হওয়ায় এখন সন্তান প্রস্রবের দ্বারা ইদ্দত পালন করতে হবে। বর্তমান ইদ্দত দ্বিতীয় স্বামীর। সুতরাং দ্বিতীয় স্বামীর উপর খাবার দাবার ওয়াজিব হবে। এবং সন্তানের নসব দ্বিতীয় স্বামী থেকে প্রমাণিত হবে।
(২) প্রথম স্বামী তাকে বিয়ে করার সহিহ পদ্ধতি হল,সন্তান ভুমিষ্ট হওয়ার পর প্রথম স্বামী বিয়ে করবে।
(৩)দ্বিতীয় স্বামীর সাথে ৪-৫ মাস যাবৎ দেখা-সাক্ষাৎ নেই এরপরও তার ইদ্দতে থাকাকালীন প্রথম স্বামীর দ্বারা বাচ্চা পেটে আসায়,উক্ত বাচ্ছা দ্বিতীয় স্বামীর বলে প্রমাণিত হবে। কেননা স্ত্রী এখনো দ্বিতীয় স্বামীর ইদ্দতে রয়েছে।
(৪)প্রথম স্বামী এবং স্ত্রীর দুইজনে স্বীকারোক্তি করে যে এটা তাদের সন্তান , তাদের স্বীকারোক্তির কারণে সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর উক্ত সন্তান যিনার সন্তান বলে বিবেচিত হবে। তার নসব মা থেকে হবে।