ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
স্বামীর উপার্জন যদি হারাম থাকে বা স্বামী সম্পদের অধিকাংশ যদি হারাম থাকে,তাহলে স্ত্রীর জন্য উচিৎ নিজ মাল থাকলে সেই মাল থেকে খোরাকি গ্রহণ করা।তবে সে চাইলে স্বামীর মাল থেকেও খোরাকি নিতে পারবে।তবে এক্ষেত্রে না নেয়াই উত্তম।স্ত্রীর কোনো প্রকার মাল না থাকলে সে স্বামীর উক্ত সম্পত্তি থেকে প্রয়োজন পর্যন্ত খোরাকি নিতে পারবে।
রদ্দুল মুহতারে বর্ণিত রয়েছে,
وَفِي جَامِعِ الْجَوَامِعِ: اشْتَرَى الزَّوْجُ طَعَامًا أَوْ كِسْوَةً مِنْ مَالٍ خَبِيثٍ جَازَ لِلْمَرْأَةِ أَكْلُهُ وَلُبْسُهَا وَالْإِثْمُ عَلَى الزَّوْج ِتَتَارْخَانِيَّةٌ
যদি স্বামী সন্দেহজনক মাল দ্বারা খাদ্য বা কাপড় ক্রয় করে,তাহলে স্ত্রীর জন্য উক্ত খাদ্য এবং কাপড়-কে গ্রহণ করা জায়েয রয়েছে। গোনাহ অবশ্য স্বামীরই হবে।(তাতারখানিয়া)(রদ্দুল মুহতার-৬/১৯১) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/782
প্রশ্নকারী প্রিয় দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু আপনার বিয়ের বয়স হয়ে গেছে, তাই পরিবেশ ও পরিস্থিতি বিবেচনায় উক্ত ছেলেকে বিয়ে করতে পারবেন যদি সে আপনার পর্দা পুশিদার প্রতি যথেষ্ট খেয়াল রাখবে বলে জানায়। এবং বিয়ের পর ধীরে ধীরে তাকে হালাল পেশা গ্রহণ করানোর চেষ্টাকে অভ্যাহত রাখবেন। আল্লাহ আপনার সহায় হোক।আমীন।