আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
218 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম আমি একটি হারাম সম্পর্কে আছি।আমার অনেক অনুতপ্ত ফিল হচ্ছে। আমি প্রথমে চেয়েছিলাম হারাম সম্পর্ক না করে হালাল করব বাসায় জানাব।কিন্তু ছেলে সাথে কথা বলার পর ছেলে বলে তাকে একবছর সময় দিতে।ছেলে সব কিছু গুছিয়ে পারিবারিক ভাবে বিয়ে করতে চাই ছেলে স্টুডেন্ট কোচিং করাই ।আমাদের সম্পর্ক ৪ মাস।আমাদের মাঝে কিছু ঝামেলা হয়েছে। যেমন -আমাদের কাবিন নিয়ে।চট্টগ্রাম আমার বাড়ি আর তার বাড়ি চাঁদপুর। একারণে কাবিন নিয়ে আমার আত্মীয় কিছু বলে যা তাকে বলি।এট কারণে ঝামেলা হয়।আমি ছেলে জন্য অনেক বিয়ে ঘর না করে দি। ভাল ভাল ঘর।কারন ছেলে কে বিয়ে নিয়ে আমি সিরিয়াস। এরপর আমার বিয়ে ঘর আসে তখন আব্বু কে বলা নিয়ে আমি ভয় পেয়ে যায়।কারণ আব্বু বয়স হয়সে এই ছেলে কে বিয়ে জন্য আব্বু কে প্রেসার দিলে আব্বু কিছু হবে ভেবে।ছেলেকে বলি আব্বু কে নরমালি বলব প্রেসার দিব না।।যার কারণে সমস্যা হয়।ছেলে বলে তুমি আমাকে বলছিলে ফাইট করবে আর এখন হাল ছেড়ে দিস।বিশ্বাস ভেঙে দিস।আমি ভয় পেয়ে এমন করসিলাম।এখন আমাদের মাঝে অনেক গভীর সম্পর্ক। ছেলে চাই আরও কিন্তু আমি না করি।।যার কারণে ছেলে আপসেট।ছেলে কে আমার সন্দেহ লাগে।ভাবি এই ছেলে সুবিধার কিনা।ছেলে তার বাসায় জানাইসে আমার কথা।ছেলে সংসার জিনিস কিনতেসে সামর্থ্য মত বিয়ে জন্য। আমি বুঝতিসিনা আমি কি করব।আমি াঅনেকের সাথে কথা বলসি আপু বলসে ছেলেকে অবসার্ব করতে মামা বলসে দুয়া করতে আল্লাহ কাছে।নামায শিখাই দিসে।মেম সাথে কথা বলসিলাম মেম কে বলসিলাম ছেলে একবার আমাকে বলসিলো তার বয়স যদি ২৮ হয় আর তার  একটাও প্রেমের সম্পর্ক না টিকে বাসায় বলবে বিয়ে দিতে তারপর ও নাহলে সে যে কারো সাথেই কেসুয়াল সব করবে।কারণ তার তখন শারীরিক চাহিদা থাকবে।এরকম নাকি প্রায় সবাই করে।মেম শুনে বলেছে এরকম যে বলে তার মরাল ভেলু কথায়।মেম আমাকে ভাবতে বলসে আমি জীবনে কি চাই।ছেলে কথা বাসায় আমার আম্মু জানে। ছেলে ভাল জানসে।ছেলে সাথে কথা বলসে ফোনে।এখন আমি ছেলেকে বিয়ে করব কিনা ভরসা পাচ্ছি না।অনেকে জেনে গেসে সম্পর্ক কথা।ছেলে বলসে ছেলে রাত দিন পরিশ্রম করতেসে।আমি বাসায় আব্বু কে বলব নাকি  এই সম্পর্ক ছেড়ে বাহিরে বিয়ে করব কিছুই বুঝতিসিনা।লাগতেছে পাপের শাস্তি।আমার বয়স সামনে ২২ হবে।আমি যখন সমপর্ক করসি তখন ভাবসি আল্লাহ মিলায় দিসে।শান্তি পাই অনেক।অনেক ইসি্তিখারা দুয়া করি তারপর সম্পর্ক আাগায়।য এখন সব অশান্তি লাগে।ভয় হয় ছেলে যদি ভাল হয় আর আমি তাকে ছেড়ে দি আমার আর বিয়ে না হলে।সুখী না হলে।দয়া করে আমি কি করব পরামর্শ দেন।ছেলে কোনমতেই চাই না আমি 1 বছর আাগে আব্বু কে তার কথা বলি।।ছেলে আর আমার মাঝেও মনোমালিন্য হচ্ছে। আমার আত্নীয় অনেক মানুষ জেনে গেসে।আমি কিভাবে বুজব এই ছেলেকে আমার বিয়ে করা উচিত। আমি হারাম সম্পর্ক করেও কষ্ট পাচ্ছি। হালাল করতে চাই।কিন্তু সে স্টুডেন্ট ইনকাম এক এক সময় এক এক রকম হয় কোচিং থেকে।যার কারণে আমার বাসায় ও রাজি হবে কিনা জানিনা।ছেলেকে সন্দেহ হয়।লাগে ছেলে সুবিধার না।খারাপ। কিনতু প্রমাণ নেই।আমি এই সম্পর্ক ইতি টানব নাকি বাহিরে বিয়ে করা আমার জন্য কল্যাণকর হবে কিনা বুঝতিসিনা।নাকি ছেলে কথা আব্বু কে জানাব

1 Answer

0 votes
by (586,710 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
 বিবাহ বহির্ভূত হারাম সম্পর্কে ইসলাম কখনো সমর্থন দেয় না।

বেগানা নারী-পুরুষ খালওয়াত তথা নির্জনে একাকী অবস্থান করতে পারবে না। হাদীসে একে নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হয়েছে.......
ﻻَ ﻳَﺨْﻠﻮﻥَّ ﺭَﺟُﻞٌ ﺑِﺎﻣْﺮَﺃﺓٍ ﺇِﻻَّ ﻭَﻣَﻌَﻬﺎ ﺫُﻭ ﻣَﺤْﺮَﻡ ) 
কোনো পুরুষ কোনো মহিলার সাথে মহিলার মাহরাম না থাকা অবস্থায় নির্জনে একাকী বসবাস করতে পারবে না।(সহীহ বুখারী-৫২৩৩;সহীহ মুসলিম-১৩৪১)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বিশেষ প্রয়োজন ব্যতীত কোনো পুরুষ মহিলার সাথে ইনবক্সে কথা বলতে পারবে না।

বেগানা গায়রে মাহরাম মহিলার হাতকে স্পর্শ না করতে কটুর হুশিয়ারী হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে .....
 ﻋﻦ ﻣَﻌْﻘِﻞَ ﺑْﻦَ ﻳَﺴَﺎﺭٍ
، ﻗﺎﻝ : ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ :
" ﻷَﻥْ ﻳُﻄْﻌَﻦَ ﻓِﻲ ﺭَﺃْﺱِ ﺃَﺣَﺪِﻛُﻢْ ﺑِﻤِﺨْﻴَﻂٍ ﻣِﻦْ
ﺣَﺪِﻳﺪٍ ﺧَﻴْﺮٌ ﻟَﻪُ ﻣِﻦْ ﺃَﻥْ ﻳَﻤَﺲَّ ﺍﻣْﺮَﺃَﺓً ﻻ ﺗَﺤِﻞُّ ﻟَﻪُ " .
)ﺃﺧﺮﺟﻪ ﺍﻟﻄﺒﺮﺍﻧﻲ ﻓﻲ " ﺍﻟﻜﺒﻴﺮ " ( /20 211 ـ 212 ) ﺭﻗﻢ ( 486 ، 487 ) ، ﻭﺍﻟﺮﻭﻳﺎﻧﻲ ﻓﻲ " ﻣﺴﻨﺪﻩ " ( /2 323 ) ﺭﻗﻢ ( 1283 ) ﻣﻦ ﻃﺮﻳﻖ ﺷﺪﺍﺩ ﺑﻦ ﺳﻌﻴﺪ ﺍﻟﺮﺍﺳﺒﻲ ، ﻗﺎﻝ : ﺳﻤﻌﺖُ ﻳﺰﻳﺪ ﺑﻦ ﻋﺒﺪﺍﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﺍﻟﺸﺨﻴﺮ ﻳﻘﻮﻝ : ﺳﻤﻌﺖُ ﻣﻌﻘﻞ ﺑﻦ ﻳﺴﺎﺭ ﻳﻘﻮﻝ : ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ : ﻓﺬﻛﺮﻩ(
তরজমাঃ- তোমাদের মাথায় লোহার সুই দ্বারা যখম করাই উত্তম হবে কোনো গায়রে মাহরাম মহিলার হাতকে স্পর্শ করা থেকে।
অন্যত্র বর্ণিত আছে....................
ﻋﺎﺋﺸﺔ ( ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ ) : ﻻ - ﻭﺍﻟﻠﻪ - ﻣﺎ ﻣﺴﺖ ﻳﺪ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ( ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ) ﻳﺪ ﺍﻣﺮﺃﺓ ﻗﻂ ﺇﻻ ﺍﻣﺮﺃﺓ ﻳﻤﻠﻜﻬﺎ . ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ ( 6674 ) ، ﻭﻣﺴﻠﻢ ( 3470 ) ، ﻭﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ ( 3228 ) ، ﻭﺍﺑﻦ ﻣﺎﺟﺔ ( 2866 ) ، ﻭﺃﺣﻤﺪ ( 23685 )
তরজমাঃ- আয়েশা রাঃ থেকে বর্ণিত তিনি বলেন:আল্লাহর ক্বসম!নবীজী সা:এর হাত কখনো কোনো বেগানা মহিলার হাতকে স্পর্শ করেনি।আরও অনেক সহীহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত আছে যে,গায়রে মাহরাম পুরুষ-মহিলার দেখা-সাক্ষ্যাৎ সম্পূর্ণ হারাম।
ﻣﺎ ﺧﻼ ﺭﺟﻞ ﺑﺎﻣﺮﺃﺓ ﺇﻻ ﻛﺎﻥ
ﺍﻟﺸﻴﻄﺎﻥ ﺛﺎﻟﺜﻬﻤﺎ " – ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ ( 2165 ) ﻭﺻﺤﺤﻪ ﺍﻷﻟﺒﺎﻧﻲ ( 1758
তরজমাঃ-কোনো পুরুষ যদি কোনো মহিলার সাথে নির্জনে একাকী বসবাস করে,তাহলে তাদের সাথে তৃতীয়জন আরেকজন হল শয়তান।অর্থাৎ শয়তান সর্বদাই তাদেরকে খারাপ কাজের দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে থাকে।প্রোফাইল পিকচারে প্রাণীর ছবি দেওয়া,পুরুষের হোক বা মহিলার হোক সর্বাবস্থায় হারাম।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক হারাম।তাছাড়া যেহেতু লোকটাকে সুবিধাজনক মনে হচ্ছে না, তাই এখনই হারাম সমাপর্ককে পরিত্যাগ করুন।অতীতের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চান।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (3 points)
ছেলে সাথে কথা বলসি।ছেলে বলতেসে বিয়ে ঘর আসলে তখন যাতে বাসায় জানাই।ছেলে পরিশ্রম করতেসে। গুছাইতেসে খাটনি করতেসে
by (3 points)
ছেলে মেধাবী। কোচিং থেকে ভাল ইনকাম করে।সংসার চালাই।কিন্ত কোচিং ইনকাম স্টেবল না।ছেলে সংসার জন্য সামর্থ্য অনুযয়ী জিনিস কিনতেসে।যাতে আমাদের সংসার বিয়ে ঠিক মত হয়।টাকা ইনকাম জন্য কষ্ট করতেসে।
by (586,710 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।
by (3 points)
আমি কি আমার বাসায় ছেলে কথা জানাব?আমার সন্দেহ করার রোগ আছে সম্ভবত।ছেলে ভাল হলে আমি কি করব?
by (586,710 points)
দেখেন আপনার কাছে ভালো ও মেধাবী মনে হলে আপনি বাসায় জানাতে পারেন। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...