আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
111 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম। আমি একজন মেয়ে এবং সরকারি চাকরিজীবি।আমার প্রশ্ন টা সুদ সম্পর্কে। আমার বাবা কিছু করেন না,আর আমার মা রিটায়ার্ড করেছেন।আমাদের একটি ৩ তলা বাড়ি আছে যেটা আমার বাবার নামে।কিন্তু সেই বাড়ি বানানোর খরচ প্রায় পুরোটায় আমার আম্মা বিভিন্ন জায়গা(ব্যাংক,এনজিও)  থেকে লোন করে দিয়েছেন।এখনো তাদের অনেক লোন বাকি যেটা পরিশোধ করা তাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না।বাড়ি আমার বাবা বিক্রয় করে না।আর যেহেতু সব লোন গুলো আমার মার নামে সব ধরনের তাগিদ বা অপমান তার ই সহ্য করতে হয়।এই অবস্থায় আমার বাবা মা আমাকে জোরাজোরি করছেন যেনো আমি সুদি ব্যাংক থেকে তাদের জন্য লোনের ব্যবস্থা করে দেই।তারা এখনও বিভিন্ন ব্যাংক এই লোন নিয়ে রেখেছেন।যেহেতু আমি সরকারি চাকরি করি তাই আমি একটু কম কিস্তিতে পাবো।তারা বাড়ি ভাড়া থেকে সেগুলো শোধ করবেন।আমার শুধু নাম টা ব্যবহার করবেন।আমি একদম ই রাজি না এবং আমার হাজবেন্ড ও রাজি হবে না।করে দিলে তার থেকে লুকিয়ে করতে হবে।এসব কারনে আমার সাথে আব্বা আম্মার সম্পর্ক খারাপ হয়ে যাচ্ছে।তাদের কথা আমি কেন তাদের হেল্প করছি না।হারাম হালাল এসব তাদেরকে বোঝানো যাচ্ছে না।এবস্থায় আমার কি করা উচিত?  জরুরত এর বেসিস এ কি এটা করা আমার জন্য সঠিক হবে? যেহেতু আমার আম্মা বিপদে আর আব্বা বাড়ি বিক্রি করছে না।আর উনি অলরেডি লোন এর মধ্যেই আছে।আমার নামে করলে উনি যাস্ট কিছুদিন সময় বেশি পাবে।আমার কি লোন নেয়া উচিত নাকি সম্পর্ক খারাপ হলেও না এর উপর অটল থাকা উচিত?  প্লিজ জানাবেন।জাযাকুমুল্লাহু খাইর।

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


সুদি গ্রহণ, সুদ প্রদান উভয়ই লানতপ্রাপ্ত গোনাহ। তাই এ ভিত্তিতে লোন নেওয়া,তা দিয়ে ব্যবসা করা,অন্যকে এ থেকে লোন দেওয়া জায়েজ নয়। হারাম। 

মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন  
الَّذِينَ يَأْكُلُونَ الرِّبَا لَا يَقُومُونَ إِلَّا كَمَا يَقُومُ الَّذِي يَتَخَبَّطُهُ الشَّيْطَانُ مِنَ الْمَسِّ ۚ ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمْ قَالُوا إِنَّمَا الْبَيْعُ مِثْلُ الرِّبَا ۗ وَأَحَلَّ اللَّهُ الْبَيْعَ وَحَرَّمَ الرِّبَا ۚ فَمَنْ جَاءَهُ مَوْعِظَةٌ مِنْ رَبِّهِ فَانْتَهَىٰ فَلَهُ مَا سَلَفَ وَأَمْرُهُ إِلَى اللَّهِ ۖ وَمَنْ عَادَ فَأُولَٰئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ ۖ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ [٢:٢٧٥

যারা সুদ খায়, তারা কিয়ামতে দন্ডায়মান হবে, যেভাবে দন্ডায়মান হয় ঐ ব্যক্তি, যাকে শয়তান আসর করে মোহাবিষ্ট করে দেয়। তাদের এ অবস্থার কারণ এই যে, তারা বলেছেঃ ক্রয়-বিক্রয় ও তো সুদ নেয়ারই মত! অথচ আল্লাহ তা’আলা ক্রয়-বিক্রয় বৈধ করেছেন এবং সুদ হারাম করেছেন। অতঃপর যার কাছে তার পালনকর্তার পক্ষ থেকে উপদেশ এসেছে এবং সে বিরত হয়েছে, পূর্বে যা হয়ে গেছে, তা তার। তার ব্যাপার আল্লাহর উপর নির্ভরশীল। আর যারা পুনরায় সুদ নেয়, তারাই দোযখে যাবে। তারা সেখানে চিরকাল অবস্থান করবে। {সূরা বাকারা-২৭৫}

হাদীস শরীফে এসেছে  
عبد الله بن مسعود عن أبيه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال لعن الله آكل الربا وموكله وشاهديه وكاتبه

হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাঃ এর পিতা থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-“যে সুদ খায়, যে সুদ খাওয়ায়, তার সাক্ষী যে হয়, আর দলিল যে লিখে তাদের সকলেরই উপর আল্লাহ তায়ালা অভিশাপ করেছেন। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং-৩৮০৯, মুসনাদে আবি ইয়ালা, হাদিস নং-৪৯৮১)
,
ব্যাংক লোন হারাম।কিন্তু ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে আসার পর সেই লোনকে পরিশোধ করার পর উক্ত লোন দিয়ে যা ক্ররিদ বা তৈরী করা হয়েছিলো,সেটা হালালই থাকছে।যদিও লোন গ্রহণ করা হারাম ও অবৈধ ছিলো।

ব্যাংক লোন সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুন 
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার জন্য সুদি লোন নেওয়া কোনোভাবেই জায়েজ নেই।
আপনি যেভাবেই হোক,লোন না নেওয়ার সিদ্ধান্তের উপর অটল থাকবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...