জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
عَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: «لَا جُمُعَةَ وَلَا تَشْرِيقَ إِلَّا فِي مِصْرٍ جَامِعٍ»
হযরত আলী রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, শহর ছাড়া জুমআ ও ঈদের নামায নেই। [মুসনাদে ইবনুল জা’দ, হাদীস নং-২৯৯০, তাহাবী শরীফ, হাদীস নং-১১৫৪, মুসান্নাফ আব্দুর রাজ্জাক, হাদীস নং-৫১৭৫, মারিফাতুস সুনান ওয়াল আছার, হাদীস নং-৬৩৩০, সুনানুল কুবরা লিলবায়হাকী, হাদীস নং-২৬১৫, মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-৫০৬৪]
عَنْ حُذَيْفَةَ، قَالَ: «لَيْسَ عَلَى أَهْلِ الْقُرَى جُمُعَةٌ، إِنَّمَا الْجُمَعُ عَلَى أَهْلِ الْأَمْصَارِ، مِثْلِ الْمَدَائِنِ»
হযরত হুযাইফা রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, গ্রামে জুমআর নামায নেই। জুমআ হবে শহরে। যেমন মাদায়েন। [মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-৫০৬০]
জুম'আর নামাজ ওয়াজিব হওয়ার জন্য শহর বা উপশহর হতে হবে। গ্রামে বা জনমানবহীন বিয়াবানে জুমআর নামায শুদ্ধ হবে না।
গ্রাম বলতে এমন এলাকাকে বুঝায়, যেখানে রাষ্ট্রীয় কোন প্রতিনিধি, মানুষের নিত্তপ্রয়োজনীয় আসবাব সহজলভ্য নয়। এমন সুবিধাবঞ্চিত এলাকাকে মূলত গ্রাম বলা হয়।
সুতরাং আমাদের বাংলাদেশের প্রচলিত গ্রাম যেখানে রাষ্ট্র প্রতিনিধিসহ আবশ্যকীয় সুবিধা বিদ্যমান, সেটাকে গ্রাম বলা যাবে না। বরং তা উপশহরের স্থলাভিষিক্ত হবে।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
যেখানে রাষ্ট্রীয় কোন প্রতিনিধি আছে যেমন মেম্বর চেয়ারম্যান ইত্যাদি,সেটি শরীয়তের পরিভাষায় গ্রাম নয়।
তাই আমাদের দেশের প্রায় সকল গ্রাম বাসীদের উপরেই জুম'আর নামাজ ওয়াজিব।
(০২)
গ্রামের সকল মুছল্লিদের এক মসজিদেই জুম'আর নামাজ আদায়ের জন্য জায়গা সংকুলান হলে সেক্ষেত্রে বিশেষ কোনো সমস্যা না থাকলে পরবর্তীতে নতুন ভাবে গড়ে উঠা অন্যান্য মসজিদে জুম'আর নামাজের ব্যবস্থা না করাই উচিত।
জুম'আর নামাজের ক্ষেত্রে শরীয়ত এমন শিক্ষাই দেয়।
তদুপরি এক মসজিদেই জায়গার সংকুলান হওয়া সত্ত্বেও উক্ত গ্রামের অন্যান্য মসজিদে জুম'আর নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা করাতে গুনাহ নেই।
এটি নাজায়েজ নয়।
(০৩)
সেই ব্যাক্তির আরো উন্নতি লাভের জন্য দোয়া করবে,তাহলেই ইনশাআল্লাহ সমাধান মিলবে।
পাশাপাশি নিম্নোক্ত দোয়াটিও করতে পারেনঃ-
رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا وَلِإِخْوَانِنَا الَّذِينَ سَبَقُونَا بِالْإِيمَانِ وَلَا تَجْعَلْ فِىْ قُلُوبِنَا غِلًّا لِّلَّذِينَ آمَنُوا رَبَّنَا إِنَّكَ رَءُوفٌ رَّحِيمٌ
অর্থ : ‘হে আমাদের রব! আমাদেরকে ও আমাদের পূর্ববর্তী ভাইয়েরা যারা ঈমান এনেছে তাদের ক্ষমা কর, ঈমানদারদের বিরুদ্ধে আমাদের অন্তরে কোন বিদ্বেষ রেখো না। হে আমাদের রব্! নিশ্চয় আপনি দয়ালু পরম করুণাময়’। (সূরা আল হাশর, আয়াত ১০)