আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
110 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (7 points)
আমি মেয়ে, ২০২২ সালে সহশিক্ষা হারাম এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারি।প্রথমদিকে আম্মু মেনে নিয়েছিল( উল্লেখ্য আম্মুও প্রাকটিসিং তবে কিছুটা মডারেট)। কিন্তু শেষপর্যন্ত  মানতে পারেনি।অনেক মারধর,অশ্লীল গালাগালি,নানাধরনের হুমকি এবং সবচেয়ে কষ্টের বিষয় ছিল আমার এই ধর্ম -পর্দা থাকবেনা, যেমন স্বামী সন্তান চাইব তার বিপরীতটাই পাব,সন্তানরাই নাকি আমাকে একদিন বেপর্দা করে ঘর থেকে টেনে বাইর করবে ইত্যাদি বদদুআ করেছে। আমি ভয় পেয়ে মাফ চেয়ে নিই প্রতিবার। তবে আম্মু ধরতে পেরেছে যে বদদুআয় আমি ভয় পাই এজন‍্য রাগের সময় দিনদিন অভিশাপের ব‍্যাপকতা তীব্রতা বাড়িয়ে যাচ্ছে! আম্মুকে পর্দা,সহশিক্ষার বিষয়গুলো আমি বলেছি। আম্মুও সব বুঝে এমনকি আমি যতটুকু না গুছিয়ে বলতে পেরেছি তার চাইতেও সুন্দরভাবে আম্মু বুঝেছে যখন আমার জন‍্য বিয়ের প্রস্তাব আসে,পাত্রপক্ষকে বর্ণনা দেয় তখন এটা বুঝতে পেরেছি। খুব খারাপ লাগে জেনেবুঝেও হঠাৎ করে এমন করে কেন। আমাকে বাধ‍্য করবেই ভার্সিটিতে যেতে। তার কথা সব বুঝলাম মানলাম কিন্তু তোমাকে ওই হারামের মধ্যেই বাধ‍্য হতে হবে কারণ বাধ‍্য হলে হারামও জায়েয হয়, আল্লাহ্ বলেছেন পিতামাতার আনুগত্য করতে যতক্ষণনা তারা তোমাকে শিরকের আদেশ দেয়,যতই বুযুর্গ হও মায়ের বদদুআ কবুল হবেই হবে ইত্যাদি ফতোয়া আরো শুনিয়ে দেন। আমি নিজেই সন্দেহে পড়ে যাই আসলে আমি ঠিক আছি কিনা।আল্লাহর কাছে দুআ করছি উনার সঠিক বুঝ আসার জন‍্য আর কি কি পদক্ষেপ নেয়া যায়?

1 Answer

0 votes
by (712,600 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
জেনারেল শিক্ষা অর্জন সম্পর্কে আমরা ইতি পূর্বে বলেছিলাম যে,
বলা যায় মুসলিম দেশের মুসলিম সরকারের জন্য ওয়াজিব যে,অচিরেই পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা।
প্রয়োজনে এ জন্য শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী পালন করা সমস্ত মুসলমানের ঈমানী দায়িত্ব ও কর্তব্য।
কিন্তু যতদিন পর্যন্ত এই পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু না হচ্ছে ,ততদিন প্রয়োজনের তাগিদে নিম্নোক্ত শর্তাদির সাথে কলেজ-ভার্সিটিতে শিক্ষা গ্রহণের পরামর্শ দেয়া যেতে পারে।

১/শিক্ষা অর্জন দেশ ও মুসলিম জাতীর খেদমতের উদ্দেশ্যে হতে হবে।
২/চোখকে সব সময় নিচু করে রাখতে হবে,প্রয়োজন ব্যতীত কোনো শিক্ষক/শিক্ষিকার দিকে তাকানো যাবে না।মহিলা/পুরুষ তথা অন্য লিঙ্গের  সহশিক্ষার্থীদের সাথে তো কোনো প্রকার সম্পর্ক রাখা যাবেই না।সর্বদা অন্য লিঙ্গর শিক্ষার্থী থেকে নিজেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখতে হবে।(ফাতাওয়া উসমানী ১/১৬০-১৭১)(শেষ)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/434

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাসী থাকলে, সহশিক্ষার রুখসত অবশ্যই রয়েছে।সুতরাং মায়ের পরামর্শ মেনে নিয়ে সহশিক্ষাতে যেতে পারবেন। তবে নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস না থাকলে এমনকি গোনাহে জড়িত হওয়ার প্রবল আশংকা থাকলে, তখন আপনার জন্য সহশিক্ষাতে যাওয়া জায়েয হবে না। এজন্য মা হাজার বদ'দুআ দিলেও সেই বদ দু'আ আপনার উপর পতিত হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (712,600 points)
 জাযাকিল্লাহ। উত্তর দেয়া হয়েছে।
by
জাযাকাল্লাহ্ খাইর।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...