আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
244 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (0 points)
দারুল হারবে থাকা কাফিরদের জান মাল কি নিরাপত্তা পায় মুসলিমদের থেকে?নাকি সেখানে কাফিরদের জান মালের কোনো নিরাপত্তা নেই মুসলিমের কাছে,তারা কাফিরদের যখন যেখানে পাবে কতল করে তার মাল নিয়ে নিতে পারবে?

1 Answer

0 votes
by (678,440 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 

রাসুলুল্লাহ সা. একটি সেনাভিযানকালে সেনাপতিকে উপদেশ দিতে গিয়ে বলতেন :

وَإِذَا لَقِيتَ عَدُوَّكَ مِنَ الْمُشْرِكِينَ، فَادْعُهُمْ إِلَى ثَلَاثِ خِصَالٍ – أَوْ خِلَالٍ – فَأَيَّتُهُنَّ مَا أَجَابُوكَ فَاقْبَلْ مِنْهُمْ، وَكُفَّ عَنْهُمْ، ثُمَّ ادْعُهُمْ إِلَى الْإِسْلَامِ، فَإِنْ أَجَابُوكَ، فَاقْبَلْ مِنْهُمْ، وَكُفَّ عَنْهُمْ، ثُمَّ ادْعُهُمْ إِلَى التَّحَوُّلِ مِنْ دَارِهِمْ إِلَى دَارِ الْمُهَاجِرِينَ

‘আর যখন তোমার শত্রু মুশরিকদের সাক্ষাৎ পাবে, তখন তাদের তিনটি বিষয়ের দিকে আহবান করবে। তারা এগুলো থেকে যেটাই গ্রহন করুক, তুমি তাদের পক্ষ থেকে তা মেনে নেবে এবং তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা থেকে বিরত থাকবে। (প্রথমে) তাদেরকে ইসলামের দিকে আহবান করবে। যদি তারা তোমার এ আহবানে সাড়া দেয়, তবে তুমি তাদের পক্ষ থেকে তা মেনে নেবে এবং তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা থেকে নিবৃত্ত থাকবে। এরপর তুমি তাদেরকে তাদের ‘দার’ (এলাকা বা দেশ) থেকে মুহাজিরদের ‘দার’-এর দিকে চলে যাওয়ার আহবান জানাবে।’ 
(সহিহু মুসলিম : ৩/১৩৫৭, হা. নং ১৭৩১, প্রকাশনী : দারু ইহইয়াইত তুরাসিল আরাবিয়্যি, বৈরুত)

ইমাম আবু হানীফা রহঃ দারুল ইসলাম ও দারুল হরবের সংজ্ঞা করতে গিয়ে লিখেছেনঃ

قَوْلِ أَبِي حَنِيفَةَ – رَحِمَهُ اللَّهُ – أَنَّ الْمَقْصُودَ مِنْ إضَافَةِ الدَّارِ إلَى الْإِسْلَامِ وَالْكُفْرِ لَيْسَ هُوَ عَيْنَ الْإِسْلَامِ وَالْكُفْرِ، وَإِنَّمَا الْمَقْصُودُ هُوَ الْأَمْنُ وَالْخَوْفُ.

وَمَعْنَاهُ أَنَّ الْأَمَانَ إنْ كَانَ لِلْمُسْلِمِينَ فِيهَا عَلَى الْإِطْلَاقِ، وَالْخَوْفُ لِلْكَفَرَةِ عَلَى الْإِطْلَاقِ، فَهِيَ دَارُ الْإِسْلَامِ، وَإِنْ كَانَ الْأَمَانُ فِيهَا لِلْكَفَرَةِ عَلَى الْإِطْلَاقِ، وَالْخَوْفُ لِلْمُسْلِمِينَ عَلَى الْإِطْلَاقِ، فَهِيَ دَارُ الْكُفْرِ

ইমাম আবু হানীফা রহঃ এর বক্তব্য অনুপাতে দারুল ইসলাম ও দারুল হরবের প্রতি নিসবতের মূল উদ্দেশ্য তা পরিপূর্ণ ইসলামও পরিপূর্ণ কুফর হওয়া নয়। বরং উদ্দেশ্য হল নিরাপত্তা ও ভয় বিষয়ে। অর্থাৎ যদি সর্বদিক থেকে নিরাপত্তা থাকে মুসলমানদের আর স্বাভাবিকভাবে আতংকিত থাকে কুফরী শক্তি, তাহলে সেটি দারুল ইসলাম।

পক্ষান্তরে সর্বদিক থেকে নিরাপদ থাকে কুফরী শক্তি আর ভীত থাকে মুসলিমগণ, তাহলে উক্ত রাষ্ট্র দারুল কুফর বা দারুল হরব। {বাদায়েউস সানায়ে-৭/১৩১}

আরো জানুনঃ 

★দারুল হরব বা দারুল কুফর হল ঐ সকল রাষ্ট্র, যেখানে মুসলমানদের বসবাস খুবই কম তথা মুসলমানগণ সংখ্যালঘু। সেই সাথে ইসলামের বিধান পালনে স্বাধীন নয়। নানাভিদ বাঁধা এবং বিপদের মাঝে দিন গোজরান হয় মুসলমানদের। কুফরী শক্তি সেখানে প্রবল এবং শাসক। তাহলে উক্ত রাষ্ট্রের নাম হবে দারুল হরব বা দারুল কুফর। যেমন বর্তমানে ইজরাঈল।
,
বুনিয়াদী ও মূলনীতিগতভাবে দারুল হরবের বাসিন্দার জান-মাল অরক্ষিত বলে সাব্যস্ত হবে। যদিও সে মুসলমান হোক না কেন। অর্থাৎ কোন কারণে মুসলমান কর্তৃক দারুল হরবের কেউ মারা গেলে এর রক্তপণ দেয়া মুসলমানের উপর আবশ্যক হবে না ইসলামী বিধান অনুপাতে।
,
দারুল হরবের বাসিন্দারা ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, যুদ্ধে লিপ্ত, তাই তাদের জান-মালের ক্ষতি সাধন করা মৌলিকভাবে জায়েজ।
,
★★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত দারুল হারবে থাকা কাফিরদের জান মালের নিরাপত্তা মুসলিমদের থেকে পাবেনা।
বরং তাদের জান-মালের ক্ষতি সাধন করা মৌলিকভাবে জায়েজ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...