আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
134 views
in সাওম (Fasting) by (6 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম।

আমার এক পরিচিত অন্য এক ব্যাক্তির অজান্তে দান সদাকার মতো তার জন্য রোজা রাখবে ভাবতেছে।

আমার প্রশ্ন হচ্ছে  অন্য কারো জন্য যেমন দান সদাকা , দুআ করা যায়। তেমনি কারো অজান্তে কারো জন্য রোজা রাখা জায়েজ আছে কি?

1 Answer

0 votes
by (57,270 points)
edited by

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

আবূ রযীন আল ’উক্বায়লী (রাঃ) হতে বর্ণিত।

وَعَنْ أَبِي رَزِينٍ الْعُقَيْلِيِّ أَنَّهُ أَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ أَبِي شَيْخٌ كَبِيرٌ لَا يَسْتَطِيعُ الْحَجَّ وَلَا الْعُمْرَةَ وَلَا الظَّعْنَ قَالَ: «حُجَّ عَنْ أَبِيكَ وَاعْتَمِرْ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُدَ وَالنَّسَائِيُّ وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ

তিনি একবার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আমার পিতা অতিশয় বৃদ্ধ, হজ্জ/হজ ও ’উমরা করার সামর্থ্য রাখে, না বাহনে বসতে পারেন না। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, তুমি তোমার পিতার পক্ষ হতে হজ্জ/হজ ও ’উমরা করে দাও। [তিরমিযী, আবূ দাঊদ ও নাসায়ী; ইমাম তিরমিযী (রহঃ) বলেন, হাদীসটি হাসান সহীহ (আবূ দাঊদ ১৮১০, নাসায়ী ২৬২১, তিরমিযী ৯৩০, ইবনু মাজাহ ২৯০৬, ইবনু আবী শায়বাহ্ ১৫০০৭, আহমাদ ১৬১৮৪, সহীহ ইবনু খুযায়মাহ্ ৩০৪০)

বদলি রোজা রাখা যাবে না। কারণ, ইসলামে বদলি রোজার কোনো বিধান নেই। রমজানে যাদের সামর্থ্য রয়েছে, সকলের ওপরই রোজা ফরজ। নিজের রোজা নিজেকেই রাখতে হবে। যে অসুস্থ, তাকে আল্লাহ তাআলা সহজ করে দিয়েছেন।

অসুস্থ ব্যক্তি সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা যারা অসুস্থ, অথবা সফরে রয়েছো, তোমরা রমজানের রোজা না রাখতে পারলেও পরবর্তীতে যখন যখন সুস্থ হবে বা সফর থেকে ফিরে আসবে তখন তোমরা রোজাগুলোকে আদায় করতে পারবে।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৮৪)

এই কারণে কেউ যদি রোজা রাখতে অক্ষম হন তাহলে তারা অন্যদের দিয়ে রোজা রাখাবেন না। এটি জায়েয হবে না, আর শরিয়তে এর কোনো সুযোগও নেই। কেউ যদি এমনটা করে তাহলে সম্পূর্ণ বেঠিক একটা কাজ হবে। তবে অক্ষম ব্যক্তি রমজানের পরে যখন সুস্থ হবেন বা দিন ছোট হয়ে আসবে তখন রোজাগুলো আদায় করে নেবেন।

কোনো ধরনের ভুলভ্রান্তি হলে শরিয়তের পক্ষ থেকে যে বিনিময় বাধ্যতামূলক করে দেওয়া হয় তাকে ফিদিয়া বলে। অপারগতার কারণে কোনো শারীরিক ইবাদত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ওই বিনিময়কে শরিয়তের পক্ষ থেকে বাধ্যতামূলক করা হয়।

পবিত্র কোরআনে এ বিষয়ে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর যাদের জন্য তা কষ্টকর হবে, তাদের কর্তব্য ফিদিয়া একজন দরিদ্রকে খাবার খাওয়ানো।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৮৫)

এ আয়াতের ব্যাখ্যায় ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘যারা সওম পালনে সক্ষম নয়, তাদের জন্য একজন মিসকিনকে খানা খাওয়ানোই ফিদিয়া।’ তিনি আরও বলেন, ‘এ আয়াত রহিত হয়নি। এ বিধান ওই অতিবৃদ্ধ পুরুষ ও স্ত্রীলোকের জন্য, যারা সওম পালনে অক্ষম। এরা প্রতিদিনের সওমের পরিবর্তে একজন মিসকিনকে পেট পুরে আহার করাবে।

 হাফেজ ইবন আব্দুল বার (রহ.) বলেছেন, সালাতের ব্যাপারে সবাই একমত যে, কেউ কারো পক্ষ থেকে সালাত আদায় করবে না, না ফরজ, না সুন্নত, না নফল, না জীবিত ব্যক্তির পক্ষ থেকে, না মৃত ব্যক্তির। অনুরূপ কোন ব্যক্তির পক্ষ থেকে সিয়াম, একের সওম অপরের পক্ষ থেকে আদায় হবে না। এতে ইজমা রয়েছে, কারো দ্বিমত নেই।

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে অন্য কারো উদ্দেশ্যে রোজা বা নামাজ রাখা যাবে না। কারণ, আর্থিক ইবাদত যেমন দান সদাকা ইত্যাদী একে অপরের জন্য করা জায়েয আছে। তবে শারীরিক ইবাদত যেমন নামাজ, রোজা, দুআ ইত্যাদী একজন অপরজনের পক্ষ থেকে বা তার উদ্দশ্যে আদায় করা জায়েয নেই। তবে হ্জ্জ একজনের পক্ষ থেকে পরজন বদলী হিসেবে আদায় করা জায়েয আছে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...