بسم
الله الرحمن الرحيم
জবাব,
আবূ রযীন আল ’উক্বায়লী
(রাঃ) হতে বর্ণিত।
وَعَنْ أَبِي
رَزِينٍ الْعُقَيْلِيِّ أَنَّهُ أَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ أَبِي شَيْخٌ كَبِيرٌ لَا
يَسْتَطِيعُ الْحَجَّ وَلَا الْعُمْرَةَ وَلَا الظَّعْنَ قَالَ: «حُجَّ عَنْ
أَبِيكَ وَاعْتَمِرْ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُدَ وَالنَّسَائِيُّ
وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ
তিনি একবার নবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আমার পিতা অতিশয় বৃদ্ধ,
হজ্জ/হজ ও ’উমরা করার সামর্থ্য রাখে,
না বাহনে বসতে পারেন না। তিনি (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, তুমি
তোমার পিতার পক্ষ হতে হজ্জ/হজ ও ’উমরা করে দাও। [তিরমিযী,
আবূ দাঊদ ও নাসায়ী;
ইমাম তিরমিযী (রহঃ) বলেন,
হাদীসটি হাসান সহীহ (আবূ দাঊদ ১৮১০,
নাসায়ী ২৬২১,
তিরমিযী ৯৩০,
ইবনু মাজাহ ২৯০৬,
ইবনু আবী শায়বাহ্ ১৫০০৭,
আহমাদ ১৬১৮৪,
সহীহ ইবনু খুযায়মাহ্ ৩০৪০)
বদলি রোজা রাখা
যাবে না। কারণ, ইসলামে
বদলি রোজার কোনো বিধান নেই। রমজানে যাদের সামর্থ্য রয়েছে,
সকলের ওপরই রোজা ফরজ। নিজের রোজা নিজেকেই
রাখতে হবে। যে অসুস্থ, তাকে
আল্লাহ তাআলা সহজ করে দিয়েছেন।
অসুস্থ ব্যক্তি
সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা যারা অসুস্থ, অথবা সফরে রয়েছো, তোমরা রমজানের রোজা না রাখতে পারলেও পরবর্তীতে যখন যখন
সুস্থ হবে বা সফর থেকে ফিরে আসবে— তখন তোমরা রোজাগুলোকে
আদায় করতে পারবে।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৮৪)
এই কারণে কেউ যদি
রোজা রাখতে অক্ষম হন— তাহলে তারা অন্যদের দিয়ে
রোজা রাখাবেন না। এটি জায়েয হবে না, আর শরিয়তে এর কোনো সুযোগও নেই। কেউ যদি এমনটা করে— তাহলে সম্পূর্ণ বেঠিক একটা কাজ হবে। তবে অক্ষম ব্যক্তি রমজানের
পরে যখন সুস্থ হবেন বা দিন ছোট হয়ে আসবে— তখন রোজাগুলো
আদায় করে নেবেন।
কোনো ধরনের ভুলভ্রান্তি
হলে শরিয়তের পক্ষ থেকে যে বিনিময় বাধ্যতামূলক করে দেওয়া হয়— তাকে ফিদিয়া বলে। অপারগতার কারণে কোনো শারীরিক ইবাদত থেকে মুক্তি
পাওয়ার জন্য ওই বিনিময়কে শরিয়তের পক্ষ থেকে বাধ্যতামূলক করা হয়।
পবিত্র কোরআনে
এ বিষয়ে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর যাদের জন্য তা কষ্টকর হবে, তাদের কর্তব্য ফিদিয়া— একজন দরিদ্রকে খাবার খাওয়ানো।’ (সুরা বাকারা,
আয়াত : ১৮৫)
এ আয়াতের ব্যাখ্যায়
ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘যারা সওম পালনে সক্ষম নয়, তাদের জন্য একজন মিসকিনকে খানা খাওয়ানোই ফিদিয়া।’ তিনি আরও বলেন,
‘এ আয়াত রহিত হয়নি। এ বিধান
ওই অতিবৃদ্ধ পুরুষ ও স্ত্রীলোকের জন্য, যারা সওম পালনে অক্ষম। এরা প্রতিদিনের সওমের পরিবর্তে
একজন মিসকিনকে পেট পুরে আহার করাবে।
হাফেজ ইবন আব্দুল বার (রহ.) বলেছেন,
সালাতের ব্যাপারে সবাই একমত যে,
কেউ কারো পক্ষ থেকে সালাত আদায় করবে না,
না ফরজ, না সুন্নত, না নফল, না জীবিত ব্যক্তির পক্ষ থেকে,
না মৃত ব্যক্তির। অনুরূপ কোন ব্যক্তির পক্ষ থেকে সিয়াম, একের সওম অপরের পক্ষ থেকে আদায় হবে না। এতে ইজমা রয়েছে,
কারো দ্বিমত নেই।
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
প্রশ্নে উল্লেখিত
ছুরতে অন্য কারো উদ্দেশ্যে রোজা বা নামাজ
রাখা যাবে না। কারণ, আর্থিক ইবাদত যেমন দান সদাকা ইত্যাদী একে অপরের জন্য করা জায়েয
আছে। তবে শারীরিক ইবাদত যেমন নামাজ, রোজা, দুআ ইত্যাদী একজন অপরজনের পক্ষ থেকে বা তার
উদ্দশ্যে আদায় করা জায়েয নেই। তবে হ্জ্জ একজনের পক্ষ থেকে পরজন বদলী হিসেবে আদায় করা
জায়েয আছে।