আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
214 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (29 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম।
আমাদের ঘরে আমার ছোট বোন চাচাত বোন ১০ মাসের ওকে নিয়ে আসছে এবং আসার সাথে সাথে ঝপ ঝপ করে প্রসাব করে দেয় ফ্লোরে, আমার জানামতে আমার ছোট বোন ভালো ভাবে মুছে নি তিনবার মুছতে হয় সে একবার মুছে সেই কাপড়টাজে বেসিন এ ধোয়,বেসিন ছোট এত গুলা প্রসাব ও ভালোভাবে ধোয় ও নি আমার ধারনা তারপর  আর একবার মুছে মুলত দুইবার,

পরে আম্মুকে বললাম খুব আস্তে যে আম্মু তুমি ভালো ভাবে আর একবার কাপড় দিয়ে মুছে ঘর মুছার য্র ডান্ডি সেটা দিয়ে আরেক বার দিও,সে আমার কথা শুনে নাই শুধু ডান্ডি টা দিয়েই মুছল তাও প্রসাব এর জায়গা মুছে সেটা দিয়ে আবার বাকি জায়গাও মুছল।আমি বললাম এইগুলাও মুসতেস কেন,?
এইরকম করে বললেও আমার উপর চড়াও হয়ে যায় অথচ আমি তাকে বলসি ৩ বার মুছতে হয় প্রসাব এর জায়গাআমাকে বলে যে আমাদের এই দিকে এক মহিলা এমন করত এখন পাগল হয়ে গেসে তুই ও পাগল হবি আমি কি ১০ বার মুছব।

তারপর আমি বলসি যে ফাউল কথা বইল বা, ১০ বার ই মুছো তাইলে আমি এইগুলা জোরে বলসি।

এখন এসে বলতেসে এম্নে জোড়ে চিল্লাইলে জীবনে বিয়েও হবে না,কোন প্রস্তাব ও আশব না। (এইদিকে কয়েক বছর আগে থেকেই বিয়ের জন্য দুয়া করা আমি)।

আল্লাহ তো ন্যায়বিচারক ইনসাফকারি। আমি তো সবসময়ই তাদের প্রতি অনুগত, তারা কখনও আমারটা বুঝে না অথচ একটু চিল্লালেই,রাগ করলেই আমাকে অভিশাপ দেয়, অথচ প্রতিদিন তারা আমার মুনাজতে থাকে।

এখন বিয়ে হোক না হোক আল্লাহর ইচ্ছাতেই ত সব, কিন্তু তাদের উপর বোঝা হয়েও আমি অন্তত থাকতে চাই না তার এইসব কথা কি আমার উপর আসবে? আমি তাদের এইটা বলতেও চাই না যে আমার জন্য যে দুয়া করসো সেটা ফিরিয়ে নাও উলটা তার এই অভিশাপ এর পর পর খুব ইচ্ছ্র করতেসিল যে আল্লাহ আমার দোশ থাক আর না থাক ওনার এই দুয়া কবুল কর।কেননা, আমার বেলায়ই এইসব উল্টাপালটা অভিশাপ দিবে অথচ সবসময়ই আমার বেস্ট টা ট্রাই করি।

আমি জোরে বলসি এই কারনে যে এই নাপাকির কারনে আমার সালাত ও হিবে না বাকি জায়গা গুলাও নাপাক হবে ইত্যাদি সব ভেবে। তার এইসব অভিশাপ কি আমার উপর আশবে?

বি:দ্র: তারা মানে আব্বা -আম্মা বোোনেরা সবাই আমাকে পাগল, উলটাপালটা অনেক কথা বলে আর আমি একটু চিল্লাল্লেই আমাকে অভিশাপ দেয়া শিরু জাহান্নামে যাব, জীবনে শান্তি পাব না ইত্যাদি।(অথচ তাদেরক্র বলে দিলেও আমার কথা শুনে না যে এইটা এমনে পাক করত্ব হয় আমি করলেও আমাকে কটু কথা শুনাবে)

1 Answer

0 votes
by (574,170 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


পিতামাতার জন্য রাগের অবস্থায় সন্তানদের বদ দুয়া,অভিশাপ দেওয়া উচিত নয়। 
কারন কোন সময় যে আল্লাহ তায়ালা সেসব বদ দুয়া কবুল করে নিবেন,তাহা কেহই বলতে পারেনা।
এমনও হতে পারে যে পিতা মাতা বুঝে না বুঝে অযথাই সন্তানের জন্য বদ দুয়া করলো, আল্লাহ তায়ালা তা পুরোপুরি ভাবে কবুল করে নিলো,তখন এটা সন্তানের জন্য শাস্তির কারন হয়ে দাড়াবে।
বিষয়টি পিতামাতাকে বুঝানো দরকার।

উভয় পক্ষ থেকেই চেষ্টা করা দরকার,যে এই অবস্থায় যেনো পৌছাতে না হয়।

পিতা মাতা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে এহেন কথা না বলার,আর সন্তান চেষ্টা করবে,এমন কোনো কাজ না করার,যাতে পিতা মাতা কষ্ট পায়।
(কিতাবুল ফাতওয়া ৬/২১৪)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

وَقَالَ اللَّيْثُ حَدَّثَنِي جَعْفَرٌ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ هُرْمُزَ، قَالَ قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " نَادَتِ امْرَأَةٌ ابْنَهَا، وَهْوَ فِي صَوْمَعَةٍ قَالَتْ يَا جُرَيْجُ. قَالَ اللَّهُمَّ أُمِّي وَصَلاَتِي. قَالَتْ يَا جُرَيْجُ. قَالَ اللَّهُمَّ أُمِّي وَصَلاَتِي. قَالَتْ يَا جُرَيْجُ. قَالَ اللَّهُمَّ أُمِّي وَصَلاَتِي. قَالَتِ اللَّهُمَّ لاَ يَمُوتُ جُرَيْجٌ حَتَّى يَنْظُرَ فِي وَجْهِ الْمَيَامِيسِ. وَكَانَتْ تَأْوِي إِلَى صَوْمَعَتِهِ رَاعِيَةٌ تَرْعَى الْغَنَمَ فَوَلَدَتْ فَقِيلَ لَهَا مِمَّنْ هَذَا الْوَلَدُ قَالَتْ مِنْ جُرَيْجٍ نَزَلَ مِنْ صَوْمَعَتِهِ. قَالَ جُرَيْجٌ أَيْنَ هَذِهِ الَّتِي تَزْعُمُ أَنَّ وَلَدَهَا لِي قَالَ يَا بَابُوسُ مَنْ أَبُوكَ قَالَ رَاعِي الْغَنَمِ ".

আবূ হুরাইরাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ এক মহিলা তার ছেলেকে ডাকল। তখন তার ছেলে গীর্জায় ছিল। বলল, হে জুরায়জ! ছেলে মনে মনে বলল, হে আল্লাহ্! (এক দিকে) আমার মা (এর ডাক) আর (অন্য দিকে) আমার সালাত! মা আবার ডাকলেন, হে জুরাইজ! ছেলে বলল, হে আল্লাহ্! আমার মা আর আমার সালাত! মা আবার ডাকলেন, হে জুরায়জ! ছেলে বলল, হে আল্লাহ্! আমার মা ও আমার সালাত। মা বললেন, হে আল্লাহ্! পতিতাদের সামনে দেখা না যাওয়া পর্যন্ত যেন জুরায়জের মৃত্যু না হয়। এক রাখালিনী যে বকরী চরাতো, সে জুরায়জের গীর্জায় আসা যাওয়া করত। সে একটি সন্তান প্রসব করল। তাকে জিজ্ঞেস করা হল- এ সন্তান কার ঔরসজাত? সে জবাব দিল, জুরায়জের ঔরসের। জুরায়জ তাঁর গীর্জা হতে নেমে এসে জিজ্ঞেস করলো, কোথায় সে মেয়েটি, যে বলে যে, তার সন্তানটি আমার? (সন্তানসহ মেয়েটিকে উপস্থিত করা হলে) জুরায়জ বলেন, হে বাবূস! তোমার পিতা কে? সে বলল, বকরীর অমুক রাখাল। (বুখারী ১২০৬.২৪৮২, ৩৪৩৬, ৩৪৬৬; মুসলিম ৪৫/২, হাঃ ২৫৫০) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১১২৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১১৩৩)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এভাবে জোড় গলায় মায়ের সাথে কথা বলা বা এভাবে তাকে আদেশ করা ঠিক হয়নি।

পরামর্শ থাকবে, এক্ষেত্রে আপনি আপনার মায়ের কাছে মাফ চেয়ে নিবেন। 

আপনার মাকে বলবেন, তিনি যেনো আপনার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে ও প্রশ্নে উল্লেখিত অভিশাপ,বদ দুয়া যেনো কবুল না হয়,সে জন্য যেনো দোয়া করে।

আরো জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
মা যদি সন্তান কে মাফ করে দেয় তাও কি বদ দুয়া কবুল হবে
by (574,170 points)
মাফ করে দিয়ে উক্ত বদ দুয়া যেনো কবুল না হয়,সে জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করতে হবে।

সেক্ষেত্রে আর সমস্যা থাকবেনা।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...