বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(ثُمَّ الْأَصْلُ) فِي التَّسْمِيَةِ أَنَّهَا إنْ صَحَّتْ وَتَقَرَّرَتْ يَجِبُ الْمُسَمَّى ثُمَّ يُنْظَرُ إنْ كَانَ الْمُسَمَّى عَشَرَةً فَصَاعِدًا؛ فَلَيْسَ لَهَا إلَّا ذَلِكَ، وَإِنْ كَانَ دُونَ الْعَشَرَةِ يُكْمِلُ عَشَرَةً عِنْدَ أَصْحَابِنَا الثَّلَاثَةِ وَإِذَا فَسَدَتْ التَّسْمِيَةُ أَوْ تَزَلْزَلَتْ يَجِبُ مَهْرُ الْمِثْلِ
মহরের মধ্যে মূল বিষয় হল,যদি তা সু-নির্দিষ্ট থাকে এবং কার্যকরী করা বিশুদ্ধ হয়(তথা হারাম কোনো জিনিষ না হয়)তাহলে সেটাই হুবহু কার্যকরী হবে।যদি দশ দিরহামের বেশী হয়,তাহলে হুবহু সেটাই কার্যকরী হবে।আর দশ দিরহামের কম হয়,দশ দিরহাম পর্যন্ত বাড়ানো হবে।হানাফি বড় তিন ইমামের মতে।আর যদি উল্লেখকৃত মহর শরীয়তের দৃষ্টিতে ফাসিদ বলে গণ্য হয়,অথবা অস্পষ্ট ও বাতিল বলে গণ্য হয়,তাহলে মহরে মিছিল ওয়াজিব হবে।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩০৩)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার স্ত্রী যদি মহর ফাতেমী দাবী করার পর সেটা থেকে কম তথা ১০ হাজার টাকার উপর সন্তুষ্ট হয়ে যায়, তাহলে আপনি এই ১০ হাজার টাকাই তাকে মহর হিসেবে দিবেন।তবে যদি ১০ হাজারের কম টাকার উপর রাজী না হয়, তাহলে আপনাকে মহরে ফাতেমীই দিতে হবে। এখন সবটা দিতে না পারেন, কিস্তিতে পরিশোধ করে দিবেন।মহরে ফাতেমীর পরিমাণ হল,১৩১ তুলা রূপা।কেউ কেউ ১৩৩ বা ১৪৭ তুলা রূপার কথাও বলেন।