بسم
الله الرحمن الرحيم
জবাব,
https://ifatwa.info/26236/নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে,
হাদীস শরীফে এসেছে-
عَنْ عَبْدِ
اللَّهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «سِبَابُ
المُسْلِمِ فُسُوقٌ، وَقِتَالُهُ كُفْرٌ
হযরত আব্দুল্লাহ
বিন মাসঊদ রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, মুসলমানকে গালি দেয়া ফাসেকী। আর তাকে হত্যা করা কুফরী। {বুখারী, হাদীস নং-৬০৪৪]
অন্য এক হাদীসে
এসেছে-
عَنْ عَبْدِ
اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَرْبَعٌ
مَنْ كُنَّ فِيهِ كَانَ مُنَافِقًا خَالِصًا، وَمَنْ كَانَتْ فِيهِ خَصْلَةٌ
مِنْهُنَّ كَانَتْ فِيهِ خَصْلَةٌ مِنَ النِّفَاقِ حَتَّى يَدَعَهَا إِذَا
اؤْتُمِنَ خَانَ وَإِذَا حَدَّثَ كَذَبَ وَإِذَا عَاهَدَ غَدَرَ، وَإِذَا خَاصَمَ
فَجَرَ ". تَابَعَهُ شُعْبَةُ عَنِ الأَعْمَشِ.
‘আবদুল্লাহ ইব্নু
‘আম্র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ চারটি স্বভাব
যার মধ্যে বিদ্যমান সে হচ্ছে খাঁটি মুনাফিক। যার মধ্যে এর কোন একটি স্বভাব থাকবে, তা পরিত্যাগ না করা পর্যন্ত তার মধ্যে মুনাফিকের
একটি স্বভাব থেকে যায়। ১. আমানত রাখা হলে খিয়ানত করে; ২. কথা
বললে মিথ্যা বলে; ৩. অঙ্গীকার করলে ভঙ্গ করে; এবং ৪. বিবাদে লিপ্ত হলে অশ্লীলভাবে গালাগালি করে। বুখারী, হাদীস নং- ৩৪
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১. কারোর ব্যাপারে
অশ্লীল বাক্য বলাকে গালি বলে।
২. গালি দেয়ার
অভ্যাসের কারণে দুনিয়াতে তার শত্রু বৃদ্ধি
হয়ে যেতে পারে অর্থাৎ যাকে গালি দিবে সে তার শত্রুতে পরিণত হতে পারে।
৪. গালি দিলে গুনাহ
হয়। তাই গালি দেয়ার অভ্যাসের কারণে আখিরাতে শাস্তি হবে।
৫. হ্যাঁ, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে গুনা হবে।
৬. স্বামীর জন্য
স্ত্রীকে তুচ্ছার্থকভাবে তুই বলে সম্বোধন করা ঠিক নয়।
৭. স্ত্রীর জন্য
স্বামীর সাথে রাগান্বিত গলায় উচ্চস্বরে কথা বলা উচিৎ নয়।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী
দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নেল্লিখিত ছুরতে ইচ্ছাকৃত ভাবে কাউকে কষ্ট
দেওয়া একজন মুসলমানের জন্য কখনই জায়েয নেই। ইচ্ছাকৃত ভাবে অন্যকে কষ্ট দেওয়ার কারণে
আপনি গুনাহগার হবেন। তবে যে ব্যক্তি আপনার মা-বাবার নাম তুলে আপনাকে গালি দিয়েছে
সে গালি দেওয়ার কারণে গুনাহগার হবে এবং তার গালি দেওয়ার গুনাহ তারই উপর বর্তাবে। কিন্তু
অনিচ্ছাকৃত কাউকে কষ্ট দিলেও তার থেকে ক্ষমা চেয়ে নেওয়া ও ইস্তেগফার করা আপনার
জন্য উচিত, যেন পরবর্তিতে এমনটি না হয় সে ব্যাপারে সতর্ক থাকা।