রোজা,পরীক্ষার খাতায় লেখা,ঈমান নিয়ে প্রশ্ন।

Question

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ।
আমার প্রথম প্রশ্ন হচ্ছে:


১) পর্দা নিয়ে আমার মাথায় খারাপ চিন্তা আসছে কারণ আমাদের ঘর হচ্ছে খোলামেলা মানে বাইরে থেকে ঘরের ভেতর বুঝা যাবে এরকম।ঘনবসতি হওয়ার জন্যই সেইফটি নেই।তাই পর্দা করতে গেলে আমার কষ্ট হয় আমার অতিরিক্ত ভয় সন্দেহ তাই কষ্ট বেশি হয়। তাছাড়া পর্দার পোশাক এখনো বানাই নি মানে খিমার।তো সব মিলিয়ে আমাকে এই যে স্ট্রাগল করতে হচ্ছে তার কারণে মাথায় অনেক বাজে চিন্তা আসে।আমার মেজাজ অনেক খিটখিটে।তাই সবর কম হয়তো।এরজন্য রাগে আমার চিন্তা আসে পর্দার বিধান কঠিন,পর্দা বিধান টা এভাবে না দিয়ে একটু ছাড় যদি দেয়া যেত।এরকম চিন্তা অতিরিক্ত চিন্তা করি আমি তাই এখন ভয় লাগছে আমার কি ঈমান চলে গেছে?আমার অনেক ভয় করছে। আমার শুধুই খারাপ চিন্তা আসছে ওয়াসওয়াসাই বলা যায়।ইসলামকে কঠিন লাগা এরকম এসব চিন্তার জন্য কি ঈমান চলে যাবে? অনেক বাজে চিন্তা আসছে।দেখেছিলাম ওয়াসওয়াসার প্রশ্ন না করতে কিন্তু আফওয়ান জানাটা অনেক জরুরি।ঈমান চলে গেলে কীভাবে আবার কালিমা পড়তে হয়?


২) আমার সামনে এইচএসসি পরীক্ষা।তো আমি মানবিক বিভাগের। তাই জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধ বা ইসলামের ইতিহাস বইয়ের অনেক কিছুই পরীক্ষার প্রশ্নে থাকে। শিরকি প্রশ্নও থাকে মনে হয়।এভাবে ভয় লাগে উত্তর লিখতে।তো এখন আমি কি করবো?পরীক্ষার খাতায় এই বিষয়গুলো নিয়ে লিখলে অথবা MCQ দাগালে আমার কি গুনাহ হবে?বা ইসলাম নিয়ে অথবা অন্য বিষয়ে যদি বানিয়ে লিখি সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরে তাহলে কী গুনাহ হবে?


৩) ফরজ রোজা যেগুলো বা নফল রোজা।আমি মনে মনে রোজার নিয়ত করছি এরকম কথা মনে মনে বলে রোজা রাখিনি।রোজা যখন আসে তখন কাল রোজা রাখবো এটা মাথায় চিন্তা থাকে সেই চিন্তা থেকেই রোজা রেখেছি।এখন মনে মনে আলাদা করে নিয়ত না করার জন্য কি রোজা হয়নি?


৪) দ্বীন থেকে ছিটকে পড়ছি মনে হচ্ছে,আমি যিকির তিলাওয়াত কিচ্ছু করতে পারছিনা। আমাকে কিছু নাসীহা করুন।

Answer 1

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-

আলহামদুলিল্লাহ!

হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,

ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৬১,সহীহ মুসলিম-১২৭)

 তালাকের ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-  https://www.ifatwa.info/835

ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন-  https://www.ifatwa.info/1379

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

(১)

প্রশ্নের বিবরণ অনুযায়ী এরকম ওয়াসওয়াসার কারণে আপনার ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।

(২)

শিরকি বা বিদ'আতি বিষয়কে এড়িয়ে চলবেন।সৃজনশীল লিখা আপনি লিখতে পারবেন।এতেকরে আপনার ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।

(৩)

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/11221

(৪)

আপনাকে নেককার লোকের সংস্পর্শ গ্রহণ করতে হবে।মসজিদের ইমাম মুওয়াজ্জিন সাহেবের সাথে সখ্যতা ও বন্ধুত্ব গ্রহণ করতে হবে। অথবা তাবলীগে তিনচিল্লা সময় লাগাতে হবে।