ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
বান্দার হক সম্পর্কিত গোনাহ থাকলে, উক্ত বান্দা থেকেই ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে।
আবূ সা’ঈদ আল খুদরী ও জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত।
وَعَن أبي سعيدٍ وجابرٍ قَالَا: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْغِيبَةُ أَشَدُّ مِنَ الزِّنَا» . قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ وَكَيْفَ الْغِيبَةُ أَشَدُّ مِنَ الزِّنَا؟ قَالَ: «إِنَّ الرَّجُلَ لَيَزْنِي فَيَتُوبُ فَيَتُوبُ اللَّهُ عَلَيْهِ» - وَفِي رِوَايَةٍ: «فَيَتُوبُ فَيَغْفِرُ اللَّهُ لَهُ وَإِنَّ صَاحِبَ الْغِيبَةِ لَا يُغْفَرُ لَهُ حَتَّى يغفِرَها لَهُ صَاحبه»
তাঁরা বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ’’গীবত’’ ব্যভিচারের চেয়েও ভয়ঙ্কর। সাহাবায়ে কিরাম জিজ্ঞেস করলেনঃ হে আল্লাহর রসূল! গীবত ব্যভিচার হতে ভয়ঙ্কর কিভাবে হতে পারে? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ মানুষ ব্যভিচার করে, অতঃপর তওবা্ করে এবং আল্লাহ তা’আলা অনুগ্রহ করে তওবা্ কবুল করেন। অপর এক বর্ণনায় আছে যে, অতঃপর ব্যভিচারী তওবা্ করে, আল্লাহ তা’আলা তাকে ক্ষমা করেন; কিন্তু পরোক্ষ নিন্দাকারীকে আল্লাহ তা’আলা ক্ষমা করেন না, যতক্ষণ না যার নিন্দা করা হলো সে ক্ষমা করে।(শু‘আবুল ঈমান ৬৭৪১, য‘ঈফুল জামি‘ ২২০৪, য‘ঈফ আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব ১৬৯০)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার দ্বারা যাদের হক নষ্ট হয়েছে বলে মনে হচ্ছে,এবং যাদেরকে কষ্ট দিয়েছেন বলে আপনার মনে হচ্ছে,তাদের সবার কাছ থেকে আপনি ক্ষমা চেয়ে নিবেন। ক্ষমা চাওয়া সম্ভব না হলে, যে কোনো কৌশলে আপনি তাদের হক তাদের নিকট ফিরিয়ে দিবেন।