আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
448 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (50 points)
edited by

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ 

 

১। মসজিদে নিচ তলায় জায়গা না পেয়ে দ্বিতীয় তলায় ১ম কাতারে দাড়ালে কি ১ম কাতারে দাড়ানোর সাওয়াব পাওয়া যাবে?

২। ডাকাতের সাথে ওয়াদা করলে সেটা রক্ষা করা কি ওয়াজিব? 

৩। হজ্জ করলে কি জ্বিনার গুণাহও মাফ হয়ে যায়? 

৪। শারিরীক প্রতিবন্ধী এমন দুজন মেয়ে যাদের শরীর একটাই কিন্তু মাথা দুইটা এমন জোড়া বোনের বিয়ের সময় কি হবে? দুই বোন এক পাত্রের সাথে বিয়ে করতে পারবে?

৫। এই ফাতওয়ার  ২য় প্রশ্নের ব্যাপারে ক্লিয়ার হতে চাচ্ছিলাম। দারুল কুফরেও কি একই বিধান? 
ইবনে তাইমিয়্যাহ রহ থেকে ভিন্ন মত দেখেছিলামঃ 

৬। বর্তমান সময়ে আহলুল হাল্লি ওয়াল আকদ কারা?    

৭। হঠাৎ কখনো মনের ভিতরে কোন কুফরী কথা/ চিন্তা আসলে করণীয় কি?

৮। পশ্চিমা কোন দেশে সাময়িক সময়ের জন্য পড়াশোনা করতে যাওয়ার বিধান কি? 

৯। পশ্চিমা দেশে অবস্থানকারী নারীদের জন্য শুধু সেই দেশগুলোতে অবস্থানের কারণে মুখ খুলে রাখার রুখসত থাকবে?  

১০। মানসূর হাল্লাজকে (লানতুল্লাহ) তখনকার মালিকী আলিমরা তাকফির করেছিলেন? 

১১। সুন্নাত/নফল নামাজে সিজদাতে বাংলায় দুয়া করা যাবে?

 
১২। জিনার/চুরির কারণে কারোর উপর হুদুদ কায়েম করা হলো। এরপর কি তার সেই গুনাহটা মাফ হয়ে যাবে নাকি তাওবা না করলে মাফ হবে না?

১৩। হিদায়াতের পর অবিচল থাকার উপায় কি? 

১৪। পশুকামিতার শাস্তি হচ্ছে- ওই ব্যাক্তি এবং ওই পশু উভয়কে হত্যা করা। এখানে পশুকে হত্যা বলতে কি জবাই করা বুঝানো হয়েছে? হত্যার পরে ওই পশুর মাংস কি খাওয়া যাবে?

১৫। কুফফারদের ধর্মগুলার তো কোন রীতিনীতি-ই  শুদ্ধ না। তাহলে যে পদ্ধতিতে ওদের বিয়ে হয় সেটাও শুদ্ধ না। বিয়ে যখন শুদ্ধ না তখন যেসব সন্তান জন্ম হয় তারাও কি জারজ? অনেক নবী-রাসূলের পিতা-মাতা তো কাফির ছিলেন। ব্যাপারটা যদি একটু ক্লিয়ার করতেন। 

১৬। জামাআতে দাড়ানোর সঠিক পদ্ধতি কি? একজনের পা আরেকজনের পায়ের সাথে লাগিয়ে দাঁড়াবে নাকি কিছুটা ফাক রাখবে? 

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ- 
(১)
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত,
ٍعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَوْ يَعْلَمُ النَّاسُ مَا فِي النِّدَاءِ وَالصَّفِّ الأَوَّلِ، ثُمَّ لَمْ يَجِدُوا إِلَّا أَنْ يَسْتَهِمُوا عَلَيْهِ لاَسْتَهَمُوا، وَلَوْ يَعْلَمُونَ مَا فِي التَّهْجِيرِ لاَسْتَبَقُوا إِلَيْهِ، وَلَوْ يَعْلَمُونَ مَا فِي العَتَمَةِ وَالصُّبْحِ، لَأَتَوْهُمَا وَلَوْ حَبْوًا»
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আযানে ও প্রথম কাতারে কী (ফযীলত) রয়েছে, তা যদি লোকেরা জানত, কুরআহর মাধ্যমে নির্বাচন ব্যতীত এ সুযোগ লাভ করা যদি সম্ভব না হত, তাহলে অবশ্যই তারা কুরআহর মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিত। যুহরে সালাত (নামায/নামাজ) আউয়াল ওয়াক্তে আদায় করার মধ্যে কী (ফযীলত) রয়েছে, যদি তারা জানত, তাহলে তারা এর জন্য প্রতিযোগিতা করত। আর ইশা ও ফজরের সালাত (জামা’আতে) আদায়ের কী ফযীলত তা যদি তারা জানত, তাহলে নিঃসন্দেহে হামাগুঁড়ি দিয়ে হলেও তারা উপস্থিত হত।(সহীহ বোখারী-৬১৫,সহীহ মুসলিম-৪৩৭)

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রথম কাতারের সওয়াব মূলত নামাযের জন্য চেষ্টা প্রচেষ্টার উপর নির্ভর করে।যে ব্যক্তি নামাযের মুস্তাহাব ওয়াক্তের শুরুতে তথা আযানের পূর্বে বা আযানের সাথে সাথেই মসজিদে যাবে,সে দ্বিতীয় তৃতীয় কাতারে দাড়ালেও প্রথম কাতরের সওয়াব পাবে।
আর যে মসজিদে মুসল্লির সংখ্যা কম থাকে,সে মসজিদে দেড়ীতে উপস্থিত হয়ে বা নামায শুরু হওয়ার পরে উপস্থিত হয়ে প্রথম কাতারে দাড়ালেও প্রথম কাতারের সওয়াব পাওয়া যাবে না।

সে হিসেবে আমরা বলতে পারি যে,কেউ মসজিদের প্রথম তলায় জায়গা না পেয়ে যদি দ্বিতীয় তলার প্রথম কাতারে নামাযে দাড়ায়,এবং প্রথম তলায় জায়গা না পাওয়ার কারণ মসজিদে দেড়ীতে উপস্থিত হওয়া হয়,তাহলে ঐ ব্যক্তি প্রথম কাতারের সওয়াব পাবেনা।

আর যদি মসজিদের মুসল্লির সংখ্যা এত অধিক হয় যে,নামাযের মুস্তাহাব ওয়াক্তের সূচনায় তথা আযান হওয়ার পূর্বে বা আযানের সাথে সাথেই মসজিদে উপস্থিত হয়েও কেউ প্রথম তলায় স্থান না পায়,তাহলে এমতাবস্থায় দ্বিতীয় তলার প্রথম কাতারে দাড়ালেও হাদীসে বর্ণিত প্রথম কাতারের সওয়াব পাওয়া যাবে।

(২)
ডাকাতের সাথে ওয়াদা করলে সেটা রক্ষা করলে যদি নিজ বা অন্য কারো জানমালের ক্ষতার সম্ভাবনা থাকে,তাহলে ওয়াজিব হবে না।নতুবা ওয়াজিব হবে।


(৩)
হজ্জ হুকুকুল্লাহ সম্পর্কিত সকল প্রকার গোনাহ কে ক্ষমা বরে দেয়।যিনার গোনাহকেও ক্ষমা করে দেয়।তবে ধর্ষণের গোনাহকে ঐ ব্যক্তি ক্ষমা করলে হজ্বও ক্ষমা করে দিবে।

(৪)
শারিরীক প্রতিবন্ধী এমন দুজন মেয়ে যাদের শরীর একটাই কিন্তু মাথা দুইটা, এমন জোড়া বোনের মাথাকে যদি পৃথক না করা যায়,তাহলে বিয়ে না দেয়াই শ্রেয়।


(৫)
পরবর্তীতে ইডিট করে দেয়া হবে।


(৬)
যাদের নিকট নিম্নোক্ত আকিদা পাওয়া যাবে,তারাই আহলে সুন্নত ওয়াল জামাত


(৭)
সাথে সাথেই আউযু বিল্লাহ পড়া ও অজু করে দু' রাকাত নফল নামায পড়া।


(৮)
অমুসলিম দেশ বা এমন মুসলিম দেশ যেখানে প্রকাশ্যে গোনাহ সংগঠিত হয়ে থাকে,এমন দেশ সমূহে সফর করা বৈধ হবে কি না?
এমন প্রশ্নের জবাবে বলা যায় যে,এ সম্পর্কে বিন বায রাহ এর একটি ফাতাওয়া উল্লেখযোগ্য।
তিনি বলেনঃ 
মূলত অমুসলিম দেশ সমূহে না যাওয়াই ফিকহ সম্মত।তবে যদি প্রয়োজনবোধে যেতেই হয় তাহলে এক্ষেত্রে কিছু শর্ত রয়েছে।

তিনটি শর্ত সাপেক্ষে অমুসলিম দেশে ভ্রমণ করা বৈধঃ
(১) ভ্রমণকারীর কাছে প্রয়োজনীয় ইল্ম বিদ্যমান থাকা, যার মাধ্যমে সকল সন্দেহ থেকে বিরত থাকা সম্ভব।
(২) তার কাছে এমন দ্বীনদারী বিদ্যমান থাকা, যার মাধ্যমে সে নফসের প্রবৃত্তি দমনে সক্ষম হবে।
(৩) অমুসলিম দেশে ভ্রমণের প্রয়োজনীয়তা বিদ্যমান থাকা।
উপরের শর্তগুলো পাওয়া না গেলে অমুসলিম দেশে সফর করা বৈধ নয়। কেননা এতে ফিতনার ভয় রয়েছে।এবং তাতে প্রচুর সম্পদও বিনষ্ট হয়ে থাকে। 
তাছাড়া গোনাহের কাজ করা ও দেখা এবং তাতে যেকোনো প্রকার সাহায্য সহযোগিতা করা নাজায়েজ।


(১০)



ধারাবাহিক উত্তরের চেষ্টা করছি  ইনশা আল্লাহ।..................




(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
জাযাকাল্লাহু খাইর শাইখ। তবে ১ নং প্রশ্নে বলেছিলাম ইচ্ছাকৃতভাবে খালি রাখছি এমন না। বরং নিচ তলা মুসল্লিতে ভর্তি হয়ে গেছে তাই বাধ্য হয়ে ২য় তলায় যাওয়া লাগছে। এমন অবস্থায় ২য় তলার প্রথম কাতারে দাড়ালে ১ম কাতারে দাড়ানোর সাওয়াব পাওয়া যাবে কিনা? 

আর ৪ নং প্রশ্নের উক্ত মেয়েটাকে যদি বিয়ে দিতেই হয়; বাধ্য। তাহলে কিভাবে দিবে? 

আর ৬ নং প্রশ্নটা ছিলো 'আহলুল হাল্লি ওয়াল আকদ' কারা এই ব্যাপারে। 'আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআহ' না। 
by (597,330 points)
জ্বী,আপনার সবগুলোর জবাব প্রস্তুত হচ্ছে।পেয়ে যাবেন ইনশা আল্লাহ।প্রথমটি সহ।
by (-1 points)
জাযাকাল্লাহু খাইর
by (-1 points)
একটু দ্রুত উত্তরগুলা দিলে উপকৃত হই। জাযাকুমুল্লাহ 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...