আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
57 views
in যাকাত ও সদকাহ (Zakat and Charity) by (43 points)

আসসালামু আলাইকুম 
 

১) যদি কেউ বালেগ এবং যুবক হয় কিন্তু তার নিজের কোন ইনকাম না থাকে এবং তার মা-বাবা তার খরচ চালায়, তাহলে সে কি যাকাত গ্রহণকারী শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায় ?

 

২) (১) নং এর উত্তর যদি হ্যাঁ হয় তাহলে কেউ যদি যুবক ও বালেগ হয় এবং তার ইনকাম না থাকায় সে হারাম পথে অর্থ উপার্জন করতে পারবে? কারণ এই https://ifatwa.info/79614/ মাসালায় দেখা যাচ্ছে বলেছেন, কেউ হারাম পথে অর্থ উপার্জন করে যাকাত গ্রহণকারীদের দিলে তা যাকাত গ্রহণকারী নিতে পারবে। যেহেতু যাকাত গ্রহণকারী অন্যদের হারাম উপার্জন থেকে কিছু গ্রহণ করতে পারবে, তাহলে সে নিজে হারাম উপার্জন করলে তা কি তার জন্য হালাল হবে নাকি হারাম? 

 

৩)  যদি কেউ বালেগ এবং যুবক হয় কিন্তু তার নিজের কোন ইনকাম না থাকে এবং তার মা-বাবা তার খরচ চালায় তাহলে হারাম উপার্জনকারী আত্মীয় কোন দাওয়াত দিলে তা গ্রহণ করা যাবে? 


 

৪) যদি কেউ বালেগ এবং যুবক হয় কিন্তু তার নিজের কোন ইনকাম না থাকে এবং তার হারাম উপার্জনকারী আত্মীয় তাকে কোন সালামি বা হাদিয়া দিলে তা গ্রহণ করা যাবে? এটা কি হালাল হবে?

 

৫) (২),(৩) ও (৪) নং প্রশ্ন অনুযায়ী যদি উত্তর গ্রহণ করা জায়েজ হয়। তাহলে এক্ষেত্রে, উত্তম কোনটা হবে গ্রহণ করা নাকি বর্জন করা?



 

জাযাকাল্লাহু খাইরান 



 

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
https://ifatwa.info/71830/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা বলছেন

إِنَّمَا الصَّدَقَاتُ لِلْفُقَرَاء وَالْمَسَاكِينِ وَالْعَامِلِينَ عَلَيْهَا وَالْمُؤَلَّفَةِ قُلُوبُهُمْ وَفِي الرِّقَابِ وَالْغَارِمِينَ وَفِي سَبِيلِ اللّهِ وَابْنِ السَّبِيلِ فَرِيضَةً مِّنَ اللّهِ وَاللّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٌ

যাকাত হল কেবল (১)ফকির, (২)মিসকীন, (৩)যাকাত উসূলকারী ও (৪)যাদের চিত্ত আকর্ষণ প্রয়োজন তাদের হক (৫)এবং তা দাস-মুক্তির জন্যে ও (৬)ঋণগ্রস্তদের জন্য, (৭)আল্লাহর পথে জেহাদকারীদের জন্যে এবং(৮) মুসাফিরদের জন্যে, এই হল আল্লাহর নির্ধারিত বিধান।আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।(সূরা আত-তাওবাহ-৬০)

কে যাকাত খেতে পারবে?

وَلَا يُشْتَرَطُ النَّمَاءُ إذْ هُوَ شَرْطُ وُجُوبِ الزَّكَاةِ لَا الْحِرْمَانِ كَذَا فِي الْكَافِي. وَيَجُوزُ دَفْعُهَا إلَى مَنْ يَمْلِكُ أَقَلَّ مِنْ النِّصَابِ، وَإِنْ كَانَ صَحِيحًا مُكْتَسَبًا كَذَا فِي الزَّاهِدِيِّ.

অর্থাৎ-নেসাব পরিমাণ মাল(নামী তথা বাড়ন্ত হোক বা না হোক,শরীয়তে নামী মাল চার প্রকার যথা-স্বর্ণ,রূপা বা টাকা,ব্যবসার মাল,গবাদি পশু)
এর মালিক না হলে যাকাত খাওয়া যাবে যদি প্রয়োজন থাকে।তাই গায়রে নামী বা অবাড়ন্ত মালের নেসাব পরিমাণ কেউ মালিক হলে যদিও তার উপর যাকাত আসবে না তথাপিও সে যাকাতের মাল খেতে পারবে না।আর কোনো প্রকার মালই যদি কারো কাছে নেসাব পরিমাণ না থাকে তাহলে সে সুস্থ উপার্জন স্বক্ষম হওয়া সত্তেও তার জন্য যাকাতের মাল খাওয়া জায়েয আছে।
(ফাতাওয়া হিন্দিয়া-১/১৮৯) 

★যে ব্যাক্তি কোনো দিক থেকেই নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক নন,সেই ব্যাক্তি শরীয়তের পরিভাষায় ধনী নয়,সে ফকির।
সুতরাং সেই ব্যাক্তি যাকাত গ্রহন করতে পারবে।

আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি কেউ বালেগ এবং যুবক হয় কিন্তু তার নিজের কোন ইনকাম না থাকে,তার মালিকানায় কোনো দিক হতেই যদি নেসাব সম্পদ না থাকে এবং তার মা-বাবা তার খরচ চালায়, তাহলে সে যাকাত গ্রহণকারী শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়।

(০২)
সে নিজে হারাম উপার্জন করলে তা তার জন্য হালাল হবেনা,সেটি হারামই হবে।

(৩.৪)
তার মালিকানায় কোনো দিক হতেই যদি নেসাব সম্পদ না থাকে, সেক্ষেত্রে সে যেহেতু শরীয়তের পরিভাষায় ধনী নয়,বরং সে ফকির।
সুতরাং সেই ব্যাক্তি যেমন যাকাত গ্রহন করতে পারবে,হারাম উপার্জনকারী আত্মীয় কোন দাওয়াত দিলে তা গ্রহণ করতে পারবে।
হারাম উপার্জনকারী আত্মীয় তাকে কোন সালামি বা হাদিয়া দিলে তা গ্রহণ করতে পারবে।

(০৫)
এক্ষেত্রে বর্জন করা উত্তম।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...