بسم
الله الرحمن الرحيم
জবাব,
নামাযে কিরাত
পড়া ফরয। সূরা ফাতেহা ওয়াজিব
এবং সূরা মিলানো ওয়াজিব। বড় একটি আয়াত এবং ছোট্ট তিনটি আয়াত পরিমাণ মিলানো ওয়াজিব। যখন কেউ সূরা ফাতেহা পড়ার
পর বড় একটি আয়াত বা ছোট্ট তিনটি আয়াত পরিমাণ পড়ে নেবে,
তার নামায হয়ে যাবে। কিন্তু যদি বড়
একটি আয়াত বা ছোট্ট তিনটি আয়াত পরিমাণ না হয়,তাহলে তাকে সাহু সিজদা দিতে হবে।
সাহু সেজদার
উত্তম পদ্ধতি সম্পর্কে ফুকাহায়ে কেরামদের অনেক মতবিরোধ রয়েছে।তন্মধ্যে সর্বোত্তম পদ্ধতি
সম্পর্কে ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়াতে অত্যান্ত সারগর্ভ
আলোচনা করা হয়েছে।
নিম্নে তা
উল্লেখ করা হল......
وَالصَّوَابُ
أَنْ يُسَلِّمَ تَسْلِيمَةً وَاحِدَةً وَعَلَيْهِ الْجُمْهُورُ وَإِلَيْهِ أَشَارَ
فِي الْأَصْلِ، كَذَا فِي الْكَافِي وَيُسَلِّمُ عَنْ يَمِينِهِ، كَذَا فِي
الزَّاهِدِيِّ وَكَيْفِيَّتُهُ أَنْ يُكَبِّرَ بَعْدَ سَلَامِهِ الْأَوَّلِ
وَيَخِرَّ سَاجِدًا وَيُسَبِّحَ فِي سُجُودِهِ ثُمَّ يَفْعَلَ ثَانِيًا كَذَلِكَ
ثُمَّ يَتَشَهَّدَ ثَانِيًا ثُمَّ يُسَلِّمَ، كَذَا فِي الْمُحِيطِ.
وَيَأْتِي
بِالصَّلَاةِ عَلَى النَّبِيِّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -
অর্থাৎ-সেজদায়ে
সাহুর সর্বোত্তম পদ্ধতি হচ্ছে, শেষ বৈঠকে তাশাহুদ পড়ার পর এক সালাম ডানদিকে ফিরাবে,
অতঃপর আল্লাহু আকবর বলে সেজদায় চলে
যাবে, এবং সেথায় (নামাযের সেজদার তাসবীহের মত)তাসবীহ পাঠ করবে,এবং এভাবে দ্বিতীয় সেজদাও আদায় করবে,অতঃপর তাশাহুদ ও দরুদ শরীফ পড়ে সালাম ফিরাবে,।
ফাতাওয়ায়ে
হিন্দিয়াতে বর্ণিত রয়েছে
وَتَجِبُ
قِرَاءَةُ الْفَاتِحَةِ وَضَمُّ السُّورَةِ أَوْ مَا يَقُومُ مَقَامَهَا مِنْ
ثَلَاثِ آيَاتٍ قِصَارٍ أَوْ آيَةٍ طَوِيلَةٍ فِي الْأُولَيَيْنِ بَعْدَ
الْفَاتِحَةِ كَذَا فِي النَّهْرِ الْفَائِقِ وَفِي جَمِيعِ رَكَعَاتِ النَّفْلِ
وَالْوِتْرِ. هَكَذَا فِي الْبَحْرِ الرَّائِقِ.
সূরায়ে ফাতেহা
পড়া ওয়াজিব। (ফরয নামাযের) প্রথম দুই রাকা'তে সূরায়ে ফাতেহার সাথে অন্য একটি সূরা বা লাম্বা
এক আয়াত অথবা ছোট্ট তিন আয়াত পরিমাণ সূরার কোনো অংশকে মিলিয়ে পড়া ওয়াজিব।নফল এবং বিতিরের
সমস্ত রা'কাতে পড়া সূরায়ে ফাতেহার সাথে ভিন্ন সূরা মিলিয়ে পড়া ওয়াজিব। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া;১/৭১)
নামাযের মধ্যে
এক আয়াত পরিমাণ ক্বিরাত(কোরআনের যে কোনো অংশ থেকে) পড়া ফরয। আর প্রথম দুই রাকা'তে সূরায়ে ফাতেহা পড়া ওয়াজিব এবং সাথে সাথে সূরা
মিলানো ওয়াজিব। (ফাতাওয়ায়ে দারুল উলূম-৩/১৯১) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/334
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
১. সাধারণত চিনির সিরা থেকে যেই আবরণ পড়ে পানি লাগলে
তা গলে যায় এবং চামড়ায় পানি পৌঁছাতে প্রতিবন্ধকতা থাকে না। যদি প্রকৃতপক্ষে বিষয়টি
এমনি হয় তাহলে তাহলে অজু হয়ে যাবে। আর যদি উক্ত আবরণের কারণে চামড়ায় পানি পৌছানোর বিষয়ে
প্রবল আশংকা হয় যে, আবরণের কারণে উক্ত স্থান শুষ্ক ছিল তাহলে অজু সহিহ হবে না। সুতরাং
যদি উক্ত বিষয়ে সন্দেহ থাকে তাহলে আপনি সতর্কতামূলক উক্ত অজু দিয়ে আদায়কৃত নামাজ পুনরায়
আদায় করবেন ইনশাআল্লাহ।
২. প্রত্যেক সূরার শুরুতে বিসমিল্লাহ পড়া সুন্নাত।
সালাতে সূরা ফাতেহার পর একটি সূরা শুরু করে ইচ্ছাকৃত ভাবে তার পরিবর্তে ভিন্ন সূরা
শুরু করা মাকরুহ। তবে উক্ত সূরা যদি ভুলে যায় এবং অন্য সূরা শুরু করে তাহলে পূর্বের
বিসমিল্লাহ যতেষ্ট হবে। আর যদি পুনরায় বিসমিল্লাহ পড়া হয় এতেও সালাতের কোন ক্ষতি হবে
না।