জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
অমুসলিমদের সাথে সুন্দর ও সৌজন্যপূর্ণ আচরণ রক্ষার শিক্ষাপ্রদানের পাশাপাশি ইসলাম তাকিদের সাথে বারবার এ নির্দেশও দিয়েছে- ‘কোনো মুসলমান যেন কাফেরদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ না করে।’ এবং এ তাকিদও করেছে, সৌজন্য ও উদারতার নামে যেন নিজেদের দ্বীনদারি আক্রান্ত না হয়।
,
দ্বীনের বিষয়ে আপোস করা কোনোক্রমেই বৈধ নয়। এমনিভাবে সদাচরণের ক্ষেত্রে কোনো অমুসলিমকে মুসলিম ভাই থেকে প্রাধান্য দেওয়াও বৈধ নয়।
অমুসলিমদের সাথে আচরণের ক্ষেত্রে সূরা মুমতাহিনার এই নির্দেশনাটি বিশেষভাবে প্রণিধানযোগ্য-
لَا يَنْهَاكُمُ اللَّهُ عَنِ الَّذِينَ لَمْ يُقَاتِلُوكُمْ فِي الدِّينِ وَلَمْ يُخْرِجُوكُمْ مِنْ دِيَارِكُمْ أَنْ تَبَرُّوهُمْ وَتُقْسِطُوا إِلَيْهِمْ إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الْمُقْسِطِينَ إِنَّمَا يَنْهَاكُمُ اللَّهُ عَنِ الَّذِينَ قَاتَلُوكُمْ فِي الدِّينِ وَأَخْرَجُوكُمْ مِنْ دِيَارِكُمْ وَظَاهَرُوا عَلَى إِخْرَاجِكُمْ أَنْ تَوَلَّوْهُمْ وَمَنْ يَتَوَلَّهُمْ فَأُولَئِكَ هُمُ الظَّالِمُونَ
যারা দ্বীনের ব্যাপারে তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেনি এবং তোমাদেরকে তোমাদের ঘর-বাড়ি থেকে বহিষ্কার করেনি, তাদের সঙ্গে সদাচরণ করতে ও তাদের প্রতি ইনসাফ করতে আল্লাহ তোমাদেরকে নিষেধ করেন না। নিশ্চয়ই আল্লাহ ইনসাফকারীদেরকে ভালোবাসেন। আল্লাহ তো তোমাদের তাদের সাথে বন্ধুত্ব করতে নিষেধ করেছেন, যারা দ্বীনের ব্যাপারে তোমাদের সাথে যুদ্ধ করেছে, তোমাদেরকে তোমাদের ঘর-বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে এবং তোমাদেরকে বের করার কাজে একে অন্যের সহযোগিতা করেছে। যারা তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে তারা জালিম। -সূরা মুমতাহিনা : ৮-৯
,
★সুতরাং যেহেতু কোনো অমুসলিমকে বন্ধু বানানো জায়েজ নেই,তাই প্রশ্নে উল্লেখিত কাজ থেকে বিরত থাকাই উচিত।
,
ইবনুল কাইয়িম রহ. বলেন,
ولا يجوز للمسلمين حضور أعياد المشركين باتفاق أهل العلم الذين هم أهله . وقد صرح به الفقهاء من أتباع المذاهب الأربعة في كتبهم . . . وروى البيهقي بإسناد صحيح عن عمر بن الخطاب رضي الله عنه أنه قال : (لا تدخلوا على المشركين في كنائسهم يوم عيدهم فإن السخطة تنزل عليهم) . وقال عمر أيضاً : (اجتنبوا أعداء الله في أعيادهم . )
যারা বাস্তবেই আলেম তাঁরা সকলেই এব্যাপারে একমত যে, মুসলিমদের জন্য মুশরিকদের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা মোটেই জায়েয নেই। এবিষয়ে চার মাযহাবের ফকিহগণই তাঁদের কিতাবাদিতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন। তাছাড়া ইমাম বাইহাকি রহ. সহিহ সনদে উমর রাযি. বর্ণনা করেছেন যে, ‘মুশরিকদের অনুষ্ঠানের দিন তাদের উপাসনালয়গুলোতে প্রবেশ করো না। কেননা, ওই সময় তাদের উপর আল্লাহর গজব নাযিল হয়।’ উমর রাযি. আরো বলেন, আল্লাহর দুশমনদের থেকে তাদের অনুষ্ঠানের দিন দূরে থাকবে। (আহকামুযযিম্মাহ ১/৭২৩)
,
হ্যাঁ যদি বিশেষ প্রয়োজনে হয়, নিজের ঈমান-আমলের ক্ষতি হবার আশঙ্কা না থাকে তাহলে এতে ইসলামের দিকে দাওয়াতের উদ্দেশ্য নিয়ে ঘটকালি করা জায়েয। আর ঈমান-আমলের ক্ষতি হবার আশঙ্কা থাকলে অংশগ্রহণ করা না-জায়েয।
এক্ষেত্রে আপনার পূর্ণ পর্দা মেইনটেইন করতে।
হিন্দু মহিলাকে দেখা জায়েজ হবেনা।
কারন তার সামনেও পর্দা করা ফরজ।
,
আপনি শুধু বিশেষ প্রয়োজনে খোজ দিবেন মাত্র,
বিবাহের কথা বার্তা হয়ে যাওয়ার পর অনুষ্ঠান,বিবাহ হওয়া ইত্যাদিতে আপনি শরীক হবেননা।
,
(7/ 27) قال ابن قدامة في المغني "وأما المسلم فلا ولاية له على الكافرة، غير السيد والسلطان وولي سيد الأمة الكافرة؛ وذلك لقول الله تعالى {وَالَّذِينَ كَفَرُوا بَعْضُهُمْ أَوْلِيَاءُ بَعْضٍ} [الأنفال: 73]،
সারমর্মঃ কাফেরের উপর মুসলিমের কোনো অভিভাবকত্ব নেই।
(০২)
হ্যাঁ তথ্য দেওয়া জায়েয আছে।