ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ব্যাংকের সুদ সম্পর্কিত নয়, এমন সকল প্রকার চাকুরী আপনি করতে পারবেন। তবে যদি সুদি লেনদেন ব্যতিত আপনার কোনো চাকুরী না থাকে, তাহলে আপনি শুধুমাত্র বেঁচে থাকার জন্য ঐ চাকুরী করতে পারবেন।তবে কখনো আর্থিক অবস্থার উন্নতি লে তখন আর আপনার জন্য জায়েয হবে না।
(২) পরিবারের বাবা মৃত, মা ও দুই মেয়ে জীবিত। এক্ষেত্রে তাদের তিনজনের নামে কোনো ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রি করা হলে, মায়ের অবর্তমানে এই সম্পতির মালিক মায়ের ওয়ারিছরা হবে। দুই মেয়ে ছাড়াও মায়ের বাবা ভই ইত্যাদি মায়ের ওয়ারিছ হবে। মায়ের ভাই, তাদের স্ত্রী সন্তানরাো এই সম্পত্তি থেকে কিছুটা পাবে। মায়ের অংশকে অর্থাৎ ফ্ল্যাটের একতৃতীয়াংশ কে প্রথমে তিন ভাগ করে প্রথমে দুই ভাগ দুই মেয়ে পাবে। এবং বাকী এক অংশকে মায়ের ভাই বা ভাইয়ের সন্তানগণ পেয়ে যাবেন।
(৩) প্রশ্নের বিবরণ অনুযায়ী উনার সাথে সম্পর্ক বজায় না রাখারও রুখসত রয়েছে।
وَأَجْمَعَ الْعُلَمَاءُ عَلَى أَنَّ مَنْ خَافَ مِنْ مُكَالَمَةِ أَحَدٍ وَصِلَتِهِ مَا يُفْسِدُ عَلَيْهِ دِينَهُ أَوْ يُدْخِلَ مَضَرَّةً فِي دُنْيَاهُ يَجُوزُ لَهُ مُجَانَبَتُهُ وَبُعْدُهُ، وَرَبَّ صَرْمٍ جَمِيلٍ خَيْرٌ مِنْ مُخَالَطَةٍ تُؤْذِيهِ.
উলামাগণ একমত যে, কারো সাথে কথা বললে বা মিলিত হলে যদি তার দ্বীন নষ্ট হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা বা তার দুনিয়া তার জন্য কষ্টকর হবে বলে ধারণা হয়, তাহলে এমন মানুষ থেকে দূরে থাকার জায়েয রয়েছে।অনেক সম্পর্ক বর্জন বা দূরত্ব এমন রয়েছে যা মিলিত হওয়ার চেয়ে অনেক উত্তম।
(৪) কোনো বাসায় হালাল ও হারাম ইনকামের মিশ্রণ থাকলে সে বাসায় দাওয়াত খাওয়া যাবে না।
(৫) সুদ হারাম।কুরআনের আয়াতে এবং অসংখ্য হাদীসে সুদকে হারাম করা হয়েছে। জীবন বীমা, লোন,এগুলোও হারাম।