নামাজের ভিতর নড়াচড়া করা যাবেনা।
এক রুকন সমপরিমাণ এমনটি করলে আমলে কাসির হওয়ায় নামাজ ভেঙ্গে যাবে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
সাহাবি হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের নবীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যেন সাতটি (অঙ্গের) ওপর সিজদা করে এবং নামাজে চুল বা কাপড় না গুটায়। -সুনানে আবু দাউদ: ২/১৪
নির্ভরযোগ্য বর্ণনায় এসেছে, বিখ্যাত তাবেয়ি মুজাহিদ (রহ.) বলেন, হজরত আবু বকর সিদ্দিক (রা.) ও হজরত আবদুল্লাহ ইবনে যুবাইর (রা.) যখন নামাজে দাঁড়াতেন তখন মনে হত একটি কাঠ মাটিতে গেড়ে দেওয়া হয়েছে। -মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবা: ৭৩২২
প্রখ্যাত তাবেয়ি আমাশ (রহ.) থেকে নির্ভরযোগ্য সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) যখন নামাজে দাঁড়াতেন তাকে দেখে মনে হত যেন একটি পড়ে থাকা কাপড়। -মুসান্নাফ আবদুর রাজ্জাক: ৩৩০৩।
বিস্তারিত জানুনঃ-
আমলে কাসীরের অনেক সংজ্ঞা রয়েছে,তার মধ্যে একটি হলোঃ-
ধারাবাহিক তিনবার হারকাত (নড়াচড়া, চুলকানো,কাপড় বা অঙ্গ নিয়ে খেলায় মত্ত হওয়া) অর্থাৎ এই তিন হারকাত ধারাবাহিক ভাবে কোনো এক রুকুনের মধ্যে না হওয়া।যদি এমন হয় তাহলে এটা 'আ'মলে কাছির'।নতুবা সেটা আ'মলে ক্বালীল।
আমলে কাছির সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নের বিবরণ মতে উক্ত ইমাম সাহেব যদি এক রুকনের মাঝেই এভাবে তিনবার নড়াচড়া করে,সেক্ষেত্রে তার পিছনে নামাজ হবেনা।
আরো জানুনঃ-
★প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছেঃ-
"ইয়্যাকা'নাবুদু তে আঈন টা উনার শোনা যায়না"
এক্ষেত্রে আপনি তার কাছে গিয়ে বা কাহারো মাধ্যমে বিষয়টি তার কাছে বলবেন,তিনি যদি দাবী করেন যে আমি তো আঈন উচ্চারণ করছি,সেক্ষেত্রে নামাজ হয়ে যাবে।
তবে আরো স্পষ্ট করনের জন্য তাকে আহবান করবেন।
(০৪)
এসব কেনায়া বাক্য নয়।