ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
বালেগ হওয়ার পূর্বে কৃত গুনাহের ক্ষেত্রে যেহেতু সে মুকাল্লাফ হয়নি,তাই এক্ষেত্রে তার গুনাহ হবেনা। তার উপর কোনো শাস্তিও আরোপ করা হবেনা।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
وَعَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: رُفِعَ الْقَلَمُ عَنْ ثَلَاثَةٍ: عَنِ النَّائِمِ حَتَّى يَسْتَيْقِظَ وَعَنِ الصَّبِيِّ حَتَّى يَبْلُغَ وَعَنِ الْمَعْتُوهِ حَتَّى يعقل
‘আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তিন ব্যক্তি (কিয়ামত দিবসে) দায়-দায়িত্বমুক্ত। ঘুমন্ত ব্যক্তি জেগে না ওঠা পর্যন্ত, অপ্রাপ্তবয়স্ক বালেগ না হওয়া পর্যন্ত এবং নির্বোধ ব্যক্তি (বুদ্ধি-বিবেচনার) জ্ঞান ফিরে না আসা পর্যন্ত।
(সহীহ : তিরমিযী ১৪২৩, আবূ দাঊদ ৪৪০৩।)
وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا, عَنْ النَّبِيِّ - صلى الله عليه وسلم - قَالَ: «رُفِعَ الْقَلَمُ عَنْ ثَلَاثَةٍ: عَنِ النَّائِمِ حَتَّى يَسْتَيْقِظَ, وَعَنِ الصَّغِيرِ حَتَّى يَكْبُرَ, وَعَنِ الْمَجْنُونِ حَتَّى يَعْقِلَ, أَوْ يَفِيقَ».
‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- তিন ব্যক্তি থেকে কলম উঠিয়ে রাখা হয়েছেঃ ঘুমন্ত ব্যক্তি যতক্ষণ না সে জাগ্রত হয়, নাবালেগ, যতক্ষণ না সে বালেগ হয় এবং পাগল, যতক্ষণ না সে জ্ঞান ফিরে পায় বা সুস্থ হয়।
(আবূ দাউদ ৪৩৯৮, নাসায়ী ৩৪৩২, ইবনু মাজাহ ২০৪১, আহমাদ ২৪১৭৩, ২৪১৮২, দারেমী ২২৯৬।)
আরো জানুনঃ-
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
বালেগ হওয়ার পূর্বে কৃত গুনাহের ক্ষেত্রে যেহেতু সে মুকাল্লাফ হয়নি,তাই এক্ষেত্রে তার গুনাহ হবেনা। তার উপর কোনো শাস্তিও আরোপ করা হবেনা।
তবে কেউ কেউ বলেছেন যে বালেগ হওয়ার পূর্বে কোনো গুনাহ করলে তার উপর কোনো শাস্তি আরোপ করা না হলেও সেই গুনাহ আমলনামায় লেখা হয়।
(১.১)
এর জন্য ক্ষমা চাইতে হবেনা।
তবে আর্থিক ভাবে কোনো বান্দার হক নষ্ট করলে
সেক্ষেত্রে তার অভিভাবক সেটি আদায় করবে,অথবা সে বা তার অভিভাবক ক্ষমা চাইবে।
(১.২)
তাদের গুনাহ হবেনা।
তবে সন্তান আর্থিক ভাবে কোনো বান্দার হক নষ্ট করলে সেক্ষেত্রে তার অভিভাবক সেটি আদায় করবে।
(০২)
এভাবে না করলে দোয়া কবুলই হবেনা,এমনটি বলা ঠিক নয়।
তবে এটি দোয়ার আদব।
এভাবে দোয়া করলে জানা মতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দোয়া কবুল হয়।
(০৩)
এক্ষেত্রে দোয়াটি কবুল হবে,এমন আকীদা রাখতে হবে।
ইনশাআল্লাহ দুয়া কবুল হবে,এভাবে নিজেকে বলতে পারবে।