আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
2,412 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (11 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম সম্মানিত শাইখ। অনেক স্থানে একটি ফাতওয়া দেখতে পাই, যেখানে ইবনে বায রহ: এবং ইবনে উসাইমিন রহ: এর বরাতে প্রচার করা হয়, লাভ রিয়্যাক্ট (❤️) ব্যবহার করা হারাম। কেননা, এটি হারাম প্রেম ও গ্রীক দেবতার প্রতীক। এক্ষেত্রে যে ফাতওয়াটি প্রচার করা হয়, সেটি এরূপ:

{ শায়খ আব্দুল আজিজ বিন বায রহঃ, শায়খ সালেহ উসাইমিন রহঃ সহ সৌদিয়ার সর্বোচ্চ ফতওয়া বোর্ড লাভ (❤️) চিহ্নটি ব্যবহার করাকে জায়েজ নয়" বলে ফতওয়া দিয়েছেন ।
তারা বলেছেন এই চিহ্নটি বিজাতীয় সংস্কৃতির অংশবিশেষ এবং তাঁদের বানানো । ইসলামী শরিয়তে মহব্বত প্রকাশ করার আলামত এটা নয় । সুতরাং এই চিহ্ন ব্যবহার করা মোটেই জায়েজ নয় ।
শাইখ ইবনে বাজ (রহীমাহুল্লাহ) বলেনঃ এটি নিষিদ্ধ প্রেমের প্রতীক এবং গ্রীক দেবতাদের প্রতীক।

ফতোয়া স্থায়ী কমিটি [20950] ⭕ প্রোগ্রামে ব্যবহৃত কিছু প্রতীক সম্পর্কে একটি স্মরণচিহ্ন। }  (ফাতওয়া সমাপ্ত)

এখন, ফেসবুকে ভাইয়েরা অন্যান্য দ্বীনি ভাইদের বিভিন্ন পোস্ট ও মেসেজে রিয়্যাক্ট দেওয়ার ক্ষেত্রে এই (❤️) ইমুজী  ব্যবহার করে থাকেন। আবার বোনেরাও অন্যান্য দ্বীনি বোনদের পোস্ট ও মেসেজে সহমত জানাতে বা একাত্মতা ও খুশি প্রকাশে এটি ব্যবহার করে থাকেন। এক্ষেত্রে তাদের উদ্দেশ্য থাকে নিখাদ আল্লাহর জন্য ভালোবাসা বা মুহাব্বাত। অন্য হারাম উদ্দেশ্য থাকে না৷ আমার জানার বিষয় হলো, এভাবে পরস্পর আল্লাহর জন্য মুহাব্বাত প্রকাশে কিংবা একাত্মতা জানাতে পোস্ট বা মেসেজের রিয়্যাক্টে এটি ব্যবহার করা যাবে কী? নাকি হারাম হবে?

(উল্লেখ্য, ইবনে বায রহ: এবং ইবনে উসাইমীন রহ: যেসময় এই ফাতওয়া দিয়েছিলেন, তখন তো ফেসবুক বা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ার জন্ম হয়নি। সুতরাং তাদের ফাতওয়া এখানে প্রযোজ্য হবে কী না, এই বিষয়টিও খোলাসা করার অনুরোধ রইলো)

1 Answer

0 votes
by (715,680 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হাদীস শরীফে এসেছে.....
ﻋَﻦْ ﺍﺑْﻦِ ﻋُﻤَﺮَ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻣَﻦْ ﺗَﺸَﺒَّﻪَ ﺑِﻘَﻮْﻡٍ ﻓَﻬُﻮَ ﻣِﻨْﻬُﻢْ ) ﺭﻭﺍﻩ ﺃﺑﻮ ﺩﺍﻭﺩ ( ﺍﻟﻠﺒﺎﺱ / 3512 ) ﻗﺎﻝ ﺍﻷﻟﺒﺎﻧﻲ ﻓﻲ ﺻﺤﻴﺢ ﺃﺑﻲ ﺩﺍﻭﺩ : ﺣﺴﻦ ﺻﺤﻴﺢ . ﺑﺮﻗﻢ ( 3401
হযরত ইবনে উমর রাঃ থেকে বর্ণিত,রাসুলুল্লাহ বলেন যে ব্যক্তি অন্য গোত্রে (অমুসলিম)-র অনুসরণ করবে সে তাদের-ই অন্তর্ভুক্ত হবে।
(আবু-দাউদ-৩৫১২)ইমদাদুল ফাতাওয়া,৪/২৬৬।

সাদৃশ্য গ্রহণ তিন ভাবে হতে পারে।
(১)ফিতরী তথা জন্মগত বিষয়ে সাদৃশ্য গ্রহণ। এটা হারাম হবে না।
(২)পদ্ধতির অনুসরণ।যেমন তারা যেভাবে খাবার গ্রহণ করে বা হাটাচলা করে,তাদের এগুলোর অনুসরণ।এগুলো হারাম হবে তখন,যদি পূর্ব থেকেই মুসলমানদের আলাদা কোনো পদ্ধতি থাকে।
(৩)কাফিরদের ধর্মীয় বিষয়ের অনুসরণ। এটা সর্বাবস্থায় হারাম।(ইমদাদুল আহকাম-১/২৮৫)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/11420

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কোনো লিখার প্রতি সহমত জানানোর আরো অনেক মাধ্যম রয়েছে।বিশেষ করে কমেন্ট করেও তো বাহবা দেয়া যায়, সুতরাং এই লাভ প্রতিক ব্যবহার করা জায়েয হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (1 point)
Assalamu 'alaikum wa rahmatullahi wa barakatuh 
শুধু ভালোবাসা প্রকাশের উদ্দেশ্যে কি এটা ইউজ করা যাবে? 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...