ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
যাকে স্পর্শ করা হবে,সেই নারীর সাথে সহবাসের কামভাব নিয়ে স্পর্শ করতে হবে।নতুবা হুরমত হবে না।
لما في ردالمحتار،ج:٣-ص:٣٣ (نسخة شاملة)
ويشترط وقوع الشهوة عليها لا على غيرها لما في الفيض لو نظر إلى فرج بنته بلا شهوة فتمنى جارية مثلها فوقعت له الشهوة على البنت تثبت الحرمة، وإن وقعت على من تمناها فلا
অর্থাৎ- যাকে স্পর্শ করা হচ্ছে,তাকে নিয়ে কামভাব থাকতে হবে।কেননা বর্ণিত রয়েছে,কেউ যদি তার মেয়ের লজ্জাস্থানের দিকে কামভাব ছাড়া দৃষ্টি দেয়,এবং কল্পনায় অন্য কোনো নারীকে সে সঙ্গী হিসেবে চায়,কিন্তু তৎক্ষণাৎ তার মেয়ের দিকে তার কামভাব জাগ্রত হয়ে যায়,তাহলে তখন হুরমতে মুসাহারা সাব্যস্ত হয়ে যাবে(তথা তার বিবি তার জন্য হারাম হয়ে যাবে)তবে যদি তার কামভাব কল্পিত সে নারীর উপরই থাকে তাহলে হুরমতে মুসাহারাহ সাব্যস্ত হবে না।ফাতাওয়ায়ে শামী-৩/৩৩(শামেলা)( কিতাবুন-নাওয়যিল-৮/২৮৮) (হুরমত আউর এহতিয়াতি তাদাবির-৪৮)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/1233
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
হুরমতের প্রথম শর্ত হল, সাবালক হওয়া,দ্বিতীয় শর্ত হল, যার সাথে স্পর্শ হবে, তার সাথে সহবাসের পূর্ণ ইচ্ছা থাকা।
সুতরাং প্রশ্নের বিবরণ অনুযায়ী হুরমত হবে না।
অর্থাৎ
স্বামী-স্ত্রী সহবাস বা উত্তেজনার সাথে মেলামেশার সময় যদি পাশে ঘুমন্ত নাবালেগ ছেলে শিশু থাকে (বয়স ১ বছর প্রায়) হঠাৎ তার মায়ের সাথে স্পর্শ হয় এবং ওই সময় স্বামী-স্ত্রী অর্থাৎ বাচ্চার বাবা মা উভয়ই উত্তেজিত অবস্থায় থাকে কিংবা উত্তেজনা বাড়ছে এমন পরিস্থিতি থাকে, এমতাবস্থায় হুরমতের বিধান প্রযোজ্য হবে না। হুরমত সাব্যস্ত হবে না।