আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
123 views
in সালাত(Prayer) by (27 points)

আমাদের এলাকার জামে মসজিদে খতিব আছেন, কিন্তু পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করার ইমাম নেই। খতিব সাহেব মাঝে মাঝে এসে অন্যান্য সালাতের ইমামতি করেন, অন্য সময় মুয়াজ্জিন সাহেব ইমামতি করেন। মুয়াজ্জিন সাহেবের কেরাত অশুদ্ধ। প্রায়ই টানে উচ্চারনে ভুল করেব কিন্তু তা লাহনে জলি কিনা তা আমি বুঝতে পারি না, তবে বুঝতে পারি এটা ভুল। তার থেকে আমি আল্লাহর ইচ্ছায় ভালো তেলওয়াত করতে পারি। এখন, যখন মুয়াজ্জিন সাহেব ইমামতি করাবেন তখন আমি যদি জামাতের নিয়ত না করা একা সালাতের নিয়ত করি এবং তার রুকু সিজদার সাথে মিলিয়ে রুকু সেজদা এবং অন্য সবকিছু করি তবে কি আমার সালাত হয়ে যাবে? আমি সবকিছু নিঃশব্দে পড়ব, ফজর থেকে এশা সব সালাতে।

উল্লেখ্য, আমি সব মুসল্লির থেকে বয়সে ছোটো, বিশ বছর। আমি কথা ঠিকভাবে গুছিয়ে বলতে পারি না। কাউকে একটা বুঝাকে বুঝে আরেকটা। কথা বলতে ভয় পাই আর বুক কাপে। তখন আমার সবকিছু এলোমেলো হয়ে যায় আর পথ হারিয়ে। ভেবেছিলাম খতিব সাহেব না থাকলে একদিন মাগরিব বা এশার সালাতে আমি ইমামতি করার কথা বলবো, যাতে সবাই আমার কেরাত শুনে আমাকেই ইমামতি করতে বল। কিন্তু কয়েকদিন যাবৎ খতিব সাহেব মাগরিব ও এশার সালাতে আসছিলেন নিয়মিত। আমি তাই একদিন আসরের সালাতে ইমামতি করার কথা বলি। আমাকে মুয়াজ্জিন সাহেব অনুমতি দেন। আমি আবার দ্বিতীয় আর শেষ রাকাতে যেভাবে পা ভেঙে বসে সেভাবে বসতে পারি না। সালাতের পর মুয়াজ্জিন সাহেব আমাকে বললেন, "তোমার নামাজ হয়ঞ্জ, কারন তুমি মেয়েদের মত বসছ।" সবাই তার সুরে সুর মেলালো (আমাদের মসজিদের পাঁচ ওয়াক্তের গড় মুসল্লি ৬-৭ জন)। আমি তাদের বুঝানোর চেষ্টা করলাম এটা তো ফরজ-ওয়াজিব না তাই সমস্যা হবে না। কিন্তু ঐ যে বলেছিলাম আমি কথা গুছিয়ে বলতে পারি না, তাই তারা ভাবলেন অন্য কথা। আমাকে বুঝাতে লাগলেন যে নিজের ভুল সবসময় স্বীকার করে নিতে হয়। আসলে এনাদের মাঝে দ্বীনি ইলম মারাত্মকভাবে কম (উদাহরণস্বরূপ,  মুয়াজ্জিন সাহেব আমাকে 'তোমার নামাজ হয়নি' বললেও কাউকে নামাজ দোহরাতে বলেননি)। এমনকি খতিব সাহেবের শিক্ষাগত যোগ্যতা ফাজিল পাশ। খতিব সাহেবকে আমি কৌশলে (যেমন জানা প্রশ্ন জিজ্ঞেস করে এবং তার জবাবের উপর মন্তব্য করে) ঐদিন জোহরের নামাজের পর (তিনি এসেছিলেন) বলেছিলাম আপনি বাদে বাকি সবার থেকে আমার কেরাত ভালো। তিনি এমন কিছু বলেননি যা থেকে আমি বুঝতে পারব যে তিনি এই বিষয়টা নিয়ে ভাববেন বা ভেবেছেন বা এই ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবেন। আমি যদি নিজে নিজে সবাইকে বুঝাতে যাই তবে হিতে বিপরীত হওয়ার আশংকা আছে। তাই জামাতত্যাগী হওয়ার তকমা থেকে বাঁচতে উপরের প্রশ্নটি করা। ফজরের সালাতের পর নামাজ দোহরানোর সময় থাকে না, আর আছরের নামাজের পর বাড়ি এসে নামাজ পড়লে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে, সত্য বললে আমার মসজিদে যাওয়ার উপায়ও বন্ধ হয়ে যাবে। বাড়ির সবাই আমাকে সবসময় বাড়িতে বসে আমার বাবার সাথে জামাতে (আমি ও বাবা দুই জন) সালাত আদায় করতে বলেন। কিন্তু মসজিদে না গেলে আমি জামাতত্যাগী হওয়ার অপবাদ পাবো। আমি যদি কাউকে বিবাহের প্রস্তাব দিই তবে তিনি তো সবার আগে আমার এলাকার মসজিদের ইমামের কাছে আমার ব্যপারে জানতে চাইবেন।

উল্লেখ্য, আমি প্রায়ই ইচ্ছা থাকা সত্বেও ফজরে উঠতে পারি না। যদিও আমি জানি না এটা জবাব প্রস্তুতে প্রয়োজনীয় কি না।

আল্লাহর ওয়াস্তে আমাকে উত্তম নসিহত করুন যা আমার উপর কষ্ট বয়ে আনবে না। আপনার যতটা সময় প্রয়োজন নিন। কিন্তু আল্লাহর ওয়াস্তে আমার প্রশ্নের বিবরন মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
যার তেলাওয়াত সবচেয়ে বেশী বিশুদ্ধ, তিনিই ইমামতি করবেন।যদি এমন কেউ ইমামতি করেন,যার তেলাওয়াতে লাহনে জ্বালী থাকে অর্থাৎ এমন ভূল যার কারণে অর্থ পরিবর্তন হয়ে যায়,এবং সেই নামাযে বিশুদ্ধ তেলাওয়াতকারীও উপস্থিত থাকেন, তাহলে বিশুদ্ধ তেলাওয়াতকারীর নামায হবে না।উনাকে এ'আদাহ তথা আবার নতুন করে ঐ নামায পড়তে হবে।। কোথাও যদি এক পর্যায়ের এমন কিছু লোক থাকে যাদের সবারই ক্বেরাতে ভূল থাকে,তাহলে তাদের মধ্যে যে কেউ নামায পড়াতে পারবে।এবং তখন সবার নামাযই বিশুদ্ধ হবে।

لما في الدرالمختار ،ج:١ ص:٥٨٢ (نسخة شاملة)
فَلَا يَؤُمُّ إلَّامِثْلَهُ،
وفي ردالمحتار تحت قَوْله
(فَلَا يَؤُمُّ إلَّا مِثْلَهُ) يَحْتَمِلُ أَنْ يُرَادَ الْمِثْلِيَّةُ فِي مُطْلَقِ اللَّثَغِ فَيَصِحُّ اقْتِدَاءُ مَنْ يُبَدَّلُ الرَّاءَ الْمُهْمَلَةَ غَيْنًا مُعْجَمَةً بِمَنْ يُبَدِّلُهَا لَامًا، وَأَنْ يُرَادَ مِثْلِيَّةٌ فِي خُصُوصِ اللَّثَغِ، فَلَا يَقْتَدِي مَنْ يُبَدِّلُهَا غَيْنًا إلَّا بِمَنْ يُبَدِّلُهَا غَيْنًا، وَهَذَا هُوَ الظَّاهِرُ كَاخْتِلَافِ الْعُذْرِ، فَلْيُرَاجَعْ ح.
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1245

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি বাড়িতে বাবার সাথে জামাতে নামায পড়বেন।বাবার তিলাওয়াত আপনার থেকে বিশুদ্ধ না হলে আপনি নিজেই ইমামতি করবেন।মসজিদে অযথা আপনি নিজে ফিতনার কারণ হবেন না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...