আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
106 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (63 points)
১. বিবাহিত কেও যদি বলে আমার বিয়ে দেরি আছে এখনো এতে কি সমস্যা হবে?

 ২.একটা ঘটনার প্রেক্ষিতে আমার বউ আমাকে বলে, "তুমি ওর বাসায় যাইয়া ওই দিন  দেবতার রুমে ঘুমাইছিলায়" আমি বলি "দেবতা না বলো মূর্তি বলো" তখন সে বলে মূর্তি না দেবতা ওই। তার এই কথায় কি গুনাহ বা কুফর  হবে?

৩. "আমরা সচরাচর যা করি, তা হঠাত গুনাহ  জানলে মেনে নিতে কষ্ট হয়" এমন বললে কি কুফর হবে?

৪. আল্লাহর নামে কোরবানি হয়, কেও যদি "আল্লহু আকবার " বলে কোরবানি দেওয়া পশুর পাশে দাড়িয়ে বলে৷ "অমুকের নামে" (অমুকের পক্ষে বুঝানো উদ্দেশ্য)  এতে কি কুরবানি হবে?

৫. অল্প বয়সো বিয়ে একটি ভালো কাজ, কিন্তু কেও যদি অল্প বয়সে বিয়ে অপছন্দ করে, এবং যারা তাদের মেয়েদের অল্প বয়সে বিয়ে দিতে চায়, তাদের প্রতি বিরক্তি প্রকাশ করে। বলে "অশিক্ষিতের মতো জলদি বিয়ে দিয়ে দেয়" /"এতো পাগল হয়ে বিয়ে দেয় কেনো,"/ "এরার সমস্যা কি" এরকম কথা বললে কি কুফর হয়ে যাবে?

৬..সভ্যতার ইতিহাস নামে একটা বই আছে যেখানে ইতিহাসের বিভিন্ন সভ্যতা সংক্রান্ত অনেক তথ্য আছে,  কিন্তু এই বই এর প্রথম দিকে  বিবর্তন এর কথা আছে বলেছে এভাবে নাকি মানুষ এসেছে (নাউজুবিল্লাহ)  এখন এসব তথ্য ছাড়া বাকি ইতিহাস বুঝার জন্য কেও যদি অন্যকে বইটা সাজেস্ট করে এতে কি কুফর হবে?(মূলত ইতিহাস জানার জন্য সাজেস্ট করা সে এমনিতেও বিবর্তন বিশ্বাস করে না) আর বইটা দেওয়ার সময় এখানে বিবর্তন এর কথা আছে তা মনে থাকার কথা না থাকলে হয়তো সাজেস্ট  করতোও না করলেও বলে দিতো।

৭.কেও যদি সেকুলার দলের পক্ষে পোস্ট করে  "অমুক মার্কায় ভোট দিন" "তাদের জিতাতে কাজ করুন" "অমুক ভাই এর জন্য কাজ করুন" এসব পোস্ট করলে কি কুফর হবে?

৮.কোনে দম্পতি যদি কার্টুনের দুটি স্বামী স্ত্রীর চরিত্র দেখে বলে ছেলেটা আমি আর মেয়েটা তুৃমি।পরে ওই কার্টুনে ছেলেটা মেয়েটাকে যদি এমন কিছু বলে যা দ্বারা বিচ্ছেদ হয়ে যায়,এতে কি ওই স্বামী স্ত্রীর কোনো সমস্যা হবে?

৯.কেও যদি অচেনা ভাষায় অর্থ না বুঝে, এমন কথা বলে যা দ্বারা তালা* পতিত হয়। তার অর্থ না জেনে বলার দরুন ও কি তা পতিত হয়ে যাবে?

১০. রাগ করলে/অভিমান হলে/মনখারাপ হলে/ ক্ষতিকর অপ্রত্যাশিত কিছু হলে সাধারণত মানুষেরা একটি ইমেজি /স্টিকার ইউজ করে। এর নাম সেন্টি ইমোজি। আজকে আমার বউ তার নানুর বাবার কথা বলতে গিয়ে ম্যাসজে বলে " উনি সাতটা বিবাহ করেছেন"  বলে সেই সেন্টি ইমোজি পাঠায়। সে কি উদ্দেশ্যে দিছে তা না জিগ্যেস ৃরে আমি রিপ্লাই দেই উনি তো ভালো কাজ করেছেন বিয়ে করেছেন মেয়েদের দায়িত্ব নিশেছেন, খারাপ কাজের সুযোগ থাকলেও তা করেন নি। সে আমার কথা গুলোর উপর সহমত জানায়, মানে উনার বিয়ের কাজ যে ভালো হয়েছে তাতে সম্মতি দেয়।পরে আবার বলে উনি বিয়ে পাগল ছিলেন না হলে এতো বিয়ে কেও করে?
তার এসব কথার জন্য কি কুফর হতে পারে?

১১. খাসি মাংসের অনেক দাম দেখে কেও যদি বলে"কোরবানি না থাকলে বাংলাদেশিরা কেও খাসির মাংস খাইতায় নায় " (খেতে পারবে না উদ্দেশ্য)  এই কথায় কি কুফর হবে? কোরবানি তো আল্লাহর বিধান যা কেয়ামত পযন্ত থাকবে, এটা না থাকার তো প্রশ্ন থাকে না। যদিও সে এই উদ্দেশ্যই বলে নি। কোরবানি থাকায় মানুষ খেতে পারছে মন মতো তা উদ্দেশ্য

1 Answer

0 votes
by (573,870 points)
edited by
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
এক্ষেত্রে তার বৈবাহিক জীবনে সমস্যা হবেনা। 
তবে মিথ্যা বলার গুনাহ হবে। 

(০২)
প্রশ্নের বিবরন মতে তার এই কথায় গুনাহ বা কুফর হবেনা।

(০৩)
শুধু এতটুকু বলার দরুন কুফর হবেনা।

(০৪)
ইসলামী শরীয়ত সম্মত পন্থায় জবাই করার পদ্ধতি হলো হলোঃ 
মুসলিম অথবা আহলে কিতাব ব্যাক্তি বিসমিল্লাহ বলে জবাই করবে।
জবাই করার সময় চারটি রগ কাটতে হবে। সে চারটি রগ হচ্ছে, শ্বাস নালী, খাদ্যনালী এবং শ্বাস নালীর দুই পার্শ্বের দুটি মোটা রগ। কোনো কারণে চারটি রগ না কেটে তিনটি কাটলে গোশত খাওয়া বৈধ হবে। কিন্তু তিনটির কম কাটলে সেই পশু বা পাখি মৃত বলে গণ্য হবে এবং তা খাওয়া বৈধ হবে না।  (বেহেশতি জেওর, পৃষ্ঠা-৩৭৫)

যে কোন পশু জবাই করার সময় আল্লাহর নাম তথা বিসমিল্লাহ বা আল্লাহু আকবার বা আল্লাহ তাআলার সাথে খাস আল্লাহ তাআলার যে কোন নাম উচ্চারণ করা আবশ্যক। যদি ইচ্ছাকৃত ভাবে  আল্লাহর নাম না নেয়া হয়, তাহলে উক্ত পশু খাওয়া জায়েজ হবে না।

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

فَکُلُوۡا مِمَّا ذُکِرَ اسۡمُ اللّٰہِ عَلَیۡہِ اِنۡ کُنۡتُمۡ بِاٰیٰتِہٖ مُؤۡمِنِیۡنَ ﴿۱۱۸﴾ 
সুতরাং তোমরা তার আয়াতসমূহে ঈমানদার হলে, যাতে আল্লাহ্র নাম নেয়া হয়েছে তা থেকে খাও।
(সুরা আন'আম ১১৮)

وَ مَا لَکُمۡ اَلَّا تَاۡکُلُوۡا مِمَّا ذُکِرَ اسۡمُ اللّٰہِ عَلَیۡہِ وَ قَدۡ فَصَّلَ لَکُمۡ مَّا حَرَّمَ عَلَیۡکُمۡ اِلَّا مَا اضۡطُرِرۡتُمۡ اِلَیۡہِ ؕ وَ اِنَّ کَثِیۡرًا لَّیُضِلُّوۡنَ بِاَہۡوَآئِہِمۡ بِغَیۡرِ عِلۡمٍ ؕ اِنَّ رَبَّکَ ہُوَ اَعۡلَمُ بِالۡمُعۡتَدِیۡنَ ﴿۱۱۹﴾ 

আর তোমাদের কি হয়েছে যে, যাতে আল্লাহর নাম নেয়া হয়েছে তোমরা তা থেকে খাবে না? যা তোমাদের জন্য তিনি হারাম করেছেন তা তিনি বিশদভাবেই তোমাদের কাছে বিবৃত করেছেন, তবে তোমরা নিরুপায় হলে তা স্বতন্ত্র। আর নিশ্চয় অনেকে অজ্ঞতাবশত নিজেদের খেয়াল-খুশী দ্বারা অন্যকে বিপথগামী করে; নিশ্চয় আপনার রব সীমালংঘনকারীদের সম্বন্ধে অধিক জানেন।
(সুরা আন'আম ১১৯)

وَلَا تَأْكُلُوا مِمَّا لَمْ يُذْكَرِ اسْمُ اللَّهِ عَلَيْهِ وَإِنَّهُ لَفِسْقٌ ۗ وَإِنَّ الشَّيَاطِينَ لَيُوحُونَ إِلَىٰ أَوْلِيَائِهِمْ لِيُجَادِلُوكُمْ ۖ وَإِنْ أَطَعْتُمُوهُمْ إِنَّكُمْ لَمُشْرِكُونَ [٦:١٢١]

যেসব জন্তুর উপর আল্লাহর নাম উচ্চারিত হয় নি, সেগুলো থেকে ভক্ষণ করো না; এ ভক্ষণ করা গোনাহ। নিশ্চয় শয়তানরা তাদের বন্ধুদেরকে প্রত্যাদেশ করে-যেন তারা তোমাদের সাথে তর্ক করে। যদি তোমরা তাদের আনুগত্য কর, তোমরাও মুশরেক হয়ে যাবে। {সুরা আনআম-১২১}

عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، ” أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَقِيَ زَيْدَ بْنَ عَمْرِو بْنِ نُفَيْلٍ بِأَسْفَلِ بَلْدَحٍ، قَبْلَ أَنْ يَنْزِلَ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الوَحْيُ، فَقُدِّمَتْ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سُفْرَةٌ، فَأَبَى أَنْ يَأْكُلَ مِنْهَا، ثُمَّ قَالَ زَيْدٌ: إِنِّي لَسْتُ آكُلُ مِمَّا تَذْبَحُونَ عَلَى أَنْصَابِكُمْ، وَلاَ آكُلُ إِلَّا مَا ذُكِرَ اسْمُ اللَّهِ عَلَيْهِ،

হযরত আব্দুল্লাহ বিন ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ এর কাছে ওহী নাজিল হবার আগে জায়েদ বিন নুফাইল এর সাথে আসফালি বালদাহ নামক স্থানে সাক্ষাৎ হয়। তখন রাসূল সাঃ এর সামনে দস্তরখান বিছানো হয়। [আর কিছু গোস্ত উপস্থিত করা হয়] রাসূল সাঃ তা খেতে অস্বিকৃতি জানালেন। তারপর জায়েদ বলেন, আমি সে প্রাণী খাই না, যা তোমরা মুর্তির নামে জবাই কর। আমি শুধু ঐ প্রাণীই ভক্ষণ করি যার উপর আল্লাহর নাম নেয়া হয়েছে। {বুখারী, হাদীস নং-৩৮২৬, ৩৬১৪}

আরো জানুনঃ 
,
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে কুরবানী হবে।

(০৫)
এরকম কথা বললে কুফর হয়ে যাবেনা।

(০৬)
এই বইয়ে বিবর্তন এর কথা আছে,যারা শরীয়তের সাথে সাংঘর্ষিক, এমনটি না বলে এই বই কাউকে সাজেস্ট করা যাবেনা।

(০৭)
এসব পোস্ট করলে কুফর হবেনা,তবে গুনাহ হবে।

(০৮)
প্রশ্নের বিবরন মতে এতে ঐ স্বামী স্ত্রীর কোনো সমস্যা হবেনা।

(০৯)
সে যদি না জানে যে এটি তালাকের বাক্য,আর তার তালাকের কোনো নিয়তও না থাকে,আর সেই বাক্য যদি বাংলা না হয়,সেক্ষেত্রে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তালাক হবেনা। 

(১০)
তার এসব কথার জন্য কুফর হবেনা।

(১১)
এই কথা বলার দরুন কুফর হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 255 views
...