ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে দম আবশ্যক হবেনা।
তবে এটি যদি হারাম এলাকার মধ্যের কোনো জীবিত গাছ হয়,সেক্ষেত্রে সমপরিমাণ মূল্য সদকাহ করে দিতে হবে।
لباب المناسك مع شرحه إرشاد الساري:
"إذا جنی علی نبات الحرم أي بقطعه أو بقلعه أو رعيه فعليه قيمته كبيرا كان الشجر أو صغيرا فيشتري بها أي بقيمتها طعاماً من الحبوب الذي يؤكل منها، يتصدق به علی الفقراء أي فقراء الحرم أو غيره". ( باب جزاء الجنايات و كفارتها، فصل في جزاء اشجار الحرم و نباته، ص: ٥٤٥، ط: الامدادية، مكة المكرمة)
সারমর্মঃ-
যদি কেহ হারাম এলাকার কোনো উদ্ভিদ,গাছের ক্ষতি করে,কাটার মাধ্যমে হোক বা উপরে ফেলার মাধ্যমে হোক,সেক্ষেত্রে তার মূল্য ফকির দেরকে সদকাহ করা আবশ্যক।
(০২)
যদি কোনো ব্যাক্তি বাহিরের দেশ থেকে মক্কায় ওমরাহ পালনের জন্য যায়,এবং মিকাত থেকে ইহরাম না বাধে,বরং মক্কায় গিয়ে মসজিদে আয়েশায় পৌছে ইহরাম বেধে থাকে।
তাহলে যতক্ষন পর্যন্ত সে ওমরাহ এর কাজ সম্পন্ন না করবে,তার উপর জরুরি হলো মদিনা মুনাওয়ারা অথবা তায়েফের মিকাতে গিয়ে সেখানে ইহরামের নিয়ত করে তালবিয়াহ পড়তে পড়তে ফিরে আসবে।
যদি সে এমনটি না করে,আর ওমরাহ এর কাজ সম্পাদন করে,তাহলে তার উপর একটি দম আবশ্যক হবে।
বিস্তারিত জানুনঃ-
(০৩)
হালাল হওয়ার আগে তথা হজ্বের যাবতীয় কাজ শেষ করার পর মাথা মুন্ডানো/চুল খাটো করার পূর্বে ইহরামের কাপড় খুলে ফেললে সাথে সাথে মাথা মুন্ডাতে হবে/চুল খাটো করতে হবে।
এক্ষেত্রে কোনো কিছুই আবশ্যক হবেনা।
যদি মাথা মুন্ডানো/চুল খাটো করার পূর্বে ইহরামের কাপড় খুলে ইহরামের নিষিদ্ধ কাজ গুলি করে,যেমন খুশবু লাগায়,বা নখ কাটে বা স্ত্রী সহবাস করে,সেক্ষেত্রে দম আবশ্যক হবে।
(০৪)
এতে দম বা সদকাহ আবশ্যক হবেনা।
তবে এটি যেনো অন্য কোনো হাজো সাহেবের কষ্টের কারন না হয়,এর দরুন যেনো কেউ কষ্ট না পায়।
(০৫)
হজ্জ্বের ভুল ভ্রান্তির জন্য দম আবশ্যক হলে তাহা হারাম এলাকাতেই আদায় করতে হবে।
এক্ষেত্রে নিজ দেশে চলে আসলে পরবর্তীতে আপনি যদি আবারো হারাম শরীফের সীমানায় আসেন,তাহলে আপনি নিজে আদায় করবেন।
অথবা এখানে আপনার কোনো পরিচিত কেউ থাকলে বা আপনার এলাকা থেকে বা অন্য কোথাও থেকে পরিচিত কেউ এখানে আসলে তার হাতে দম দেয়ার টাকা দিবেন।
তিনি হারাম শরীফের সীমানায় সেই টাকা দিয়ে দম আদায় করবে।
এতে আপনার পক্ষ থেকে আবশ্যকীয় সেই দম আদায় হয়ে যাবে।
★হজ্জ্বের ভুল ভ্রান্তির জন্য সদকাহ আবশ্যক হলে উক্ত সদকাহ হারাম এলাকার মধ্যেই কাউকে দিতে হবে,এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।
নিজ দেশে ফিরে এসে এলাকার গরিব মিসকিনকে দিলেও তাহা আদায় হবে।
তবে এটি গরিব মিসকিনকেই দিতে হবে।
চাই বাংলাদেশের গরিব মিসকিন হোক বা অন্য দেশের হোক।
۔ ویجوز لہ التصدق في غیر الحرم․ (غنیة الناسک، جدید، ص: ۲۶۶)
সারমর্মঃ-
হারামের এলাকা ব্যাতিত অন্য এলাকাতেও সদকা দেয়া জায়েজ আছে।
(০৬)
হ্যাঁ,যাবে।
অন্যকে ছওয়াব পৌছানোর নিয়তে (চাই সে জীবিত হোক বা মৃত হোক) অন্যের নামে কাবাঘর তওয়াফ করা যাবে।