হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
وَعَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سُئِلَ: مَاذَا يُتَّقَى مِنَ الضَّحَايَا؟ فَأَشَارَ بِيَدِهِ فَقَالَ: «أَرْبَعًا الْعَرْجَاءُ والبين ظلعها والعرواء الْبَيِّنُ عَوَرُهَا وَالْمَرِيضَةُ الْبَيِّنُ مَرَضُهَا وَالْعَجْفَاءُ الَّتِي لَا تَنْقَى» . رَوَاهُ مَالِكٌ وَأَحْمَدُ وَالتِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُدَ وَالنَّسَائِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ وَالدَّارِمِيُّ
বারা ইবনু ’আযিব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করা হলো, কোন্ ধরনের জানোয়ার কুরবানী করা হতে বেঁচে থাকা উচিত? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নিজ হাত দিয়ে ইঙ্গিত করে বললেন, চার ধরনের পশু (কুরবানী করা হত) বেঁচে থাকা উচিত। (১) যে পশু স্পষ্ট খোঁড়া। (২) যে পশু স্পষ্ট কানা। (৩) যে পশু সুস্পষ্ট রোগা ও দুর্বল। যে পশুর হাড়ের মজ্জা নেই তথা একেবারেই শুকিয়ে গেছে।
(আবূ দাঊদ ২৮০২, আত্ তিরমিযী ১৪৯৭, নাসায়ী ৪৩৬৯, ইবনু মাজাহ্ ৩১৪৪, মুয়াত্ত্বা মালিক ১৭৫৭, আহমাদ ১৮৫১০, ইবনু খুযায়মাহ্ ২৯১২, শারহু মা‘আনির আসার ৬১৮৭, ইবনু হিব্বান ৫৯২১, মুসতাদরাক লিল হাকিম ১৭১৮, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ১৯০৯৪, ইরওয়া ১১৪৮, সহীহ আল জামি‘ ৮৮৬।)
যে পশু তিন পায়ে চলে, এক পা মাটিতে রাখতে পারে না বা ভর করতে পারে না এমন পশুর কুরবানী জায়েয নয়।
(ফাতাওয়ায়ে শামী ৬/৩২৩, আলমগীরী ৫/২৯৭)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
শরীয়তের বিধান হলো, যদি পশুর নাক,ঠোট কাটা থাকে তাহলে সেটা দিয়ে কুরবানী হবে।
الفتاوى الهندية (5 / 299):
ومن المشايخ من يذكر لهذا الفصل أصلًا ويقول: كل عيب يزيل المنفعة على الكمال أو الجمال على الكمال يمنع الأضحية، وما لايكون بهذه الصفة لايمنع".
সারমর্মঃ-
প্রত্যেক ঐ দোষ যাহা পশু হতে উপকৃত হওয়াকে পূর্ণ ভাবে দূর করে দেয়,তাহা দ্বারা কুরবানী জায়েজ হবেনা।
★পশুর পা কাটা দ্বারা কি উদ্দেশ্য?
যদি পা কেটে যাওয়ার দরুন সেই পা মাটিতে রাখতে পারেনা বা ভর করতে পারে না এমন পশুর কুরবানী জায়েয নয়।
(০২)
স্বর্ণ, রুপা বা জমিন এর কিছু অংশ বিক্রি করেও কুরবানী দিতে পারে বা ঋণ করেও কুরবানী দিতে,সেটা তার ব্যপার।