আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
243 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (10 points)
আসসালামু আলাইকুম, আমার জানা ছিল না যে ছবি তোলা হারাম।তাই অনেক ছবি তোলা হয়েছে। এখন এই ছবি গুলো কি রেখে দিলে গুনাহগার হব নাকি ডিলেট করতেই হবে?
২-আচ্ছা জিলহজ্জ মাসের দশদিন তো পশম নখ চুল কিছুই কাটা যাবে না।কিন্তু যারা হায়েজ থেকে পবিত্র হবে তার জন্য ও কি একি বিধান?? মানে সে কি দশদিনের পর ই নখ পশম কাটবে?? আর অনেক সময় কাজের কারনে নখের কোনা বের হয়ে যায়, সেটা না কাটলে অনেক অসুবিধা হয়, সেটাও কি কাটা যাবে না
৩-আমি আইওএম এ পরি।আর ১ বছর আছে।এখন আমি বুঝতে পারতেছি না যে আমি ১ বছর পর অফলাইন মাদরাসায় কি নিয়ে পরবো?  আমি আরো ইসলামিক নিয়ে পরতে চাই।আবার হিফজ ও করতে চাই কিন্তু আমি বুঝতে পারতেছি না আমি কি করব কোন বিষয় নিয়ে মাদরাসায় পরলে আমার জন্য উত্তম হবে। আমার বয়স ১৮-২০.

1 Answer

0 votes
by (590,760 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ছবি ভিডিও শরীয়তের দৃষ্টিতে হারাম।হযরত ইবনে আব্বাস রাযি থেকে বর্ণিত,
عن ﺍﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﻤﺎ ﻗﺎﻝ : ﺳﻤﻌﺖ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻳﻘﻮﻝ :( ﻣﻦ ﺻَﻮَّﺭ ﺻﻮﺭﺓ ﻓﻲ ﺍﻟﺪﻧﻴﺎ ﻛُﻠِّﻒ ﺃﻥ ﻳَﻨْﻔُﺦ ﻓﻴﻬﺎ ﺍﻟﺮُّﻭﺡ ﻳﻮﻡ ﺍﻟﻘﻴﺎﻣﺔ ﻭﻟﻴﺲ ﺑﻨﺎﻓﺦ )
তরজমাঃ- ইবনে আব্বাস রাঃ বলেন, আমি নবী কারীম সাঃ কে বলতে শুনেছি, যে তিনি বলেছেন,
যে ব্যক্তি পৃথিবীতে কোন(জানোয়ারের) ছবি আকবে,কিয়ামতের দিন তাকে দায়িত্ব দেয়া হবে,সে যেন উক্ত ছবির ভিতরে রূহ প্রদান করে, অথচ রূহ প্রদান করা তার জন্য কস্মিনকালে ও সম্ভব হবে না(অতঃপর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করে আযাব প্রদান করা হবে)(সহীহ বুখারী -৫৬১৮)

ﻭَﻗَﺎﻝَ : ﺇﻥْ ﻛُﻨْﺖَ ﻻَ ﺑُﺪَّ ﻓَﺎﻋِﻼً ﻓَﺎﺻْﻨَﻊِ ﺍﻟﺸَّﺠَﺮَ ، ﻭَﻣَﺎ ﻻَ ﻧَﻔْﺲَ ﻟَﻪ 
হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ কে এক ব্যক্তি ছবি আকার অনুমতি প্রার্থনা করলে তিনি উত্তরে বললেনঃযদি তোমার ছবি একে উপার্জন করতেই হয় তাহলে তুমি গাছের ছবি আকো বা এমন ছবি আকো যাতে কোনো প্রাণীর ছবি নেই।(সহীহ বুখারী- ২২২৫) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/2253



সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ছবি তোলা বিষয়টি মতবিরোধ পূর্ণ থাকলেও হানাফি ফিকহ অনুযায়ী ছবি তুলা বা পোষ্ট করা হারাম ও নাজায়েয। সুতরাং হানাফি ফিকহের অনুসারী কারো জন্য তুলা তুলা,ছবি পোষ্ট করা কোনোটাই জায়েয হবে না।

(২)

চার মাযহাব সম্বলীত সর্ব বৃহৎ ফেক্বাহী গ্রন্থ 
"আল-মাওসু'আতুল ফেক্বহিয়্যায় "(৫/১৭০) এ বর্ণিত রয়েছে,
ذهب بعض الحنابلة وبعض الشافعية: إلى أن من أراد أن يضحي فدخل العشر من ذي الحجة يجب عليه أن يمسك عن قص الشعر والأظفار، وهو قول إسحاق وسعيد بن المسيب. وقال الحنفية، والمالكية، وهو قول بعض الشافعية والحنابلة: يسن له أن يمسك عن قص الشعر والأظفار.
হাম্বলী মাযহাবের কিছু সংখ্যক উলামায়ে কেরাম এবং শাফেয়ী মাযহাবের কিছু সংখ্যক উলামায়ে কেরাম বলেন যে, যে ব্যক্তি কুরবানি করতে ইচ্ছুক,তার জন্য জিলহজ্ব মাসের এক তারিখ থেকে নিয়ে কুরবানির পূর্ব পর্যন্ত চুল,নক,মুছ ইত্যাদি না কাটা ওয়াজিব।ইমাম ইসহাক রাহ,ও সাঈদ ইবনে মুসাঈয়্যিব রাহ এরও মাযহাব এটাই।অন্যদিকে হানাফি ও মালিকী মাযহাব এবং হাম্বলী ও শাফেয়ী মাযহাবদ্বয়ের কিছু সংখ্যক উলামায়ে মনে করেন,চুল নক ইত্যাদি না কাটা সুন্নত।(আল মাওসুআকুল ফেকহিয়্যাহ-৫/১৭০)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/2192


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
জিলহজ্জ মাসের প্রথম দশদিন শরীর পশম, নখ, চুল না কাটা সুন্নত। যারা হায়েজ থেকে পবিত্র হবেন, তার জন্য ও একই বিধান।
যদি কাজের কারনে কারো নখের কোনা বের হয়ে যায়, সেটা না কাটলে অনেক অসুবিধা হয়,তাহলে সেটা কাটা যাবে।

(৩)
আপনি অফলাইনে মহিলা মাদরাসায় ভর্তি হবেন। iom এর আলিম কোর্স সম্পন্ন করে নিলে আপনি মিশকাত জামাতে ভর্তি হতে পারেন।আর হ্যা, আপনি হিফজেও ভর্তি হতে পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (590,760 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।
by
reshown
আমি ছবি গুলো পোস্ট করি নি আমি সেগুলো নিজের কাছেই রেখেছি আমি জানতে চেয়েছি যে,এই ছবি গুলো এখন নিজের কাছে রাখা কি হারাম হবে, ডিলেট করতেই হবে?? 
by (590,760 points)
এগুলো নিজের কাছে রাখাও জায়েয হবে না। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...