আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
116 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (31 points)
(১) একটা জিনিস খেয়াল করলাম কেউ যদি মুসলমান হতে যায়, তখন তাকে অন্য কালিমা না পড়িয়ে কালিমা শাহাদাত পড়ানো হয়। এর কারন কি?
(১.১) তখন যদি কালিমা শাহাদাত না পড়ে কালিমা তায়্যিবা পড়ে তাহলেও কি হবে?
(১.২) আর যদি কোন কালিমা না পড়েই মনে মনে আল্লাহকে বিশ্বাস করে তাহলে হবে? নাকি কালিমা পড়া জরুরী? অথবা কালিমার বাংলা অর্থ পড়লেও হবে?

(২) বাংলাদেশ থেকে কিবলা কি একদম সম্পুর্ন সোজা পশ্চিমমুখী? নাকি কিছুটা ডানে বামে?
(কারন অনেক সময় ফোনের থেকে কম্পাস এর এপ নামিয়ে পশ্চিম দিক করে পরে নামাজ পড়ি। তাই জানতে চাচ্ছি যে আমাদের দেশ থেকে কিবলা একদম সোজা পশ্চিম নাকি?)

(৩) সম্পুর্ন প্রশ্নটা পড়ে উত্তর দিলে উপকার হতো।
এভাবে বইলেন না যে, এটা ওয়াসওয়াসা। এইসব বিষয় গুরুত্ব দিতে না।
আমি জানি যে, ওয়াস ওয়াসা কে গুরুত্ব দেওয়া লাগে না। কিন্তু আমি পারতেছি না। অনেক সমস্যা হচ্ছে।
এই প্রশ্নে আসলে আমি পদ্ধতিটা জানতে চাচ্ছি।

প্রস্রাবের পর একটা সমস্যা হচ্ছে। আমি প্রস্রাবের পর প্রস্রাবের নলে পানি ঢালি। প্রস্রাবের নল ধরে সেইখানের ফুটা টা বাম হত দিয়ে হাল্কা ফাকা করে এর ভিতরে পানি ঢালি। তখন সেই পানি হাতে লাগে। পায়ের আশেপাশে লাগে।সেই পানি তো নাপাক ই?  তখন মনে হয় কই না কই লাগলো। তখন হাতে বদনা দিয়ে কয়েকবার পানি দেই। ১ বার দিলে মনে হয় যদি প্রস্রাব না যেয়ে থাকে। তাই অনেকবার পানি দেই হাতে। আর পায়ে প্রস্রাব ধোয়ার যেই পানি লাগে সেই পানি মগ দিয়ে ধুই না। কারন ধুইতে গেলে যদি সেই ধোয়ার পানি অন্য জায়গায় লাগে। তাই গোসল করি। যতবার প্রস্রাব করি ততোবার গোসল করা লাগে।
এছাড়াও আমি পানি ব্যবহারের পর টিস্যু ব্যবহার করি।
আমার অনেক গুলো টিস্যু লাগে। প্রথমে প্রস্রাবের পর একটা টিস্যু দিয়ে প্রস্রাবের নলের উপরের অংশ মুছি। (কিন্তু এখনো প্রস্রাবের নলের ভিতরের অংশে কিছু প্রস্রাব কিন্তু আছেই) পরে প্রস্রাবের নলে আবার পানি ঢালি। এইবার প্রস্রাবের নলের ভিতরে ফাকা করে পানি ঢালি। তারপর আবার একটা টিস্যু দিয়ে প্রস্রাবের নলের উপর অংশ মুছি। এরপর টিস্যু ভাজ করে শক্ত করি এবং সেই টিস্যুর কোনা দিয়ে নলে ভিতরে চাপ দেই। এখানে একটা টিস্যু দিয়ে চাপ দিলেই সব পানি তো শুষে নেয় না। তাই কয়েকটা টিস্যু লাগে। তারপর টিস্যু ব্যবহার শেষ করে গোসল করি। (কারন আমি যখন প্রস্রাবের পর পানি ঢেলেছি, তখন তো পায়ে হাতে লেগেছে। শরীরের কোথাও লেগেছে কিনা সেইটা হয়তো খেয়াল করি নি। বা অনেক সময় বুঝা যায় না। তাই গোসল করি।
এরকম প্রত্যেকবার প্রস্রাবের জন্য আমার প্রায় ৩০ মিনিটের মত সময় লাগে। তাই প্রস্রাবের ভয়ে পানিও খাই না। পানি পিপাসা লাগলেও পানি খাই না।
আমি এখন কি করবো কিছুই বুঝতেছি না।

প্রস্রাবের পর প্রথম পানি ব্যবহার করার কারনে সেই পানি তো নাপাক মনে হচ্ছে। আর যত আস্তেই পানি ঢালি সেই পানি হাতে পায়ে লাগেই। হাত পা ধুতে গেলে মনে হয় সেই পানি ছিটে অন্য জায়গায় লাগলো। তাই গোসল করা লাগে।

এখন প্রস্রাবের পর আমি কিভাবে কি করবো? এখন প্রস্রাবের পর তো পানি ঢালা লাগবেই। এখন সেই পানি হাতে পায়ে লাগেই।

আমি জানি এইটা ওয়াসা ওয়াসা। এখন আমাকে একটা পদ্ধতি বলেন যেন সেই পদ্ধতি ব্যবহার করে প্রস্রাবের পর নিজেকে পবিত্র করতে পারি। (যেমনঃ প্রথমে টিস্যু ব্যবহার করে পানি ব্যবহার করবো? নাকি পানি ব্যবহার করে টিস্যু ব্যবহার করবো? কিভাবে ব্যবহার করবো? কয়টা টিস্যু লাগবে? কিভাবে ভাজ করবো?)
অথবা আপনি (যিনি উত্তর দিবেন) কিভাবে পবিত্রতা অর্জন করেন? কিভাবে টিস্যুটা ভাজ করতে হয় ও ব্যবহার করতে হয়?

1 Answer

0 votes
by (710,360 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
কালেমায়ে শাহাদত অর্থ হচ্ছে, আল্লাহকে এক বলে সাক্ষ্য দেয়া এবং হযরত মুহাম্মদ সাঃ কে আল্লাহর নবী বলে সাক্ষ্য দেয়া। যেহেতু এই দুইটি বিষয় ঈমানের জন্য জরুরী, তাই ঈমান ইনয়নের জন্য কালিমায়ে শাহাদত পাঠ করা হয়ে থাকে। আর কালিমায়ে তাইয়্যিবাহ অর্থ হল, শুধুমাত্র আল্লাহকে এক বলে মানা তার সাথে অন্য কেউ শরীক নেই, সেই কথা ঘোষণা করা। তাই ঈমান আনয়নের জন্য কালিমায়ে তাইয়্যিবাহ পাঠ করা হয় না।

(১.১) তখন যদি কালিমা শাহাদাত না পড়ে কালিমা তায়্যিবা পড়া হয়, তাহলে কিন্তু হবে না।

(১.২) আর যদি কোনো কালিমাই না পড়া হয়,তবে মনে মনে আল্লাহকে বিশ্বাস করা হয়, তাহলে কিন্তু হবে না।কেননা ঈমান তিনটি জিনিষের নাম, অন্তর দিয়ে এক আল্লাহকে বিশ্বাস করা, মুখ দিয়ে প্রকাশ করা, আ'মলে প্রমাণিত করা।

(২)
বাংলাদেশ থেকে কিবলা দক্ষিণ দিকে বাকানো। তবে নামায পড়তে সোজা পশ্চিম দিকে দাড়াতে হবে। কেননা কিবলা যে দিকে অবস্থিত, সেই দিকের প্রতি মুখ করে নামায পড়তে নির্দেশ প্রদাণ করা হয়েছে।

(৩)
আপনি এগুলো অযথাই করছেন।প্রস্রাবের পর সাধারণ ঢেলা কুলুপ ব্যবহার করার পর পানি খরচ করে তারপর সামান্য পারি কাপড়ে ছিটিয়ে দিবেন।তাহলেই আপনি পবিত্র হয়ে যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...