ওয়া অালাইকুম আসসালাম।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আপনার মন অশান্তিতে আছে।এ জন্য আপনি নিয়মিত ধারাবাহিক আল্লাহর যিকির করতে থাকুন-দেখবেন মন শান্ত হবে।
الَّذِينَ آمَنُواْ وَتَطْمَئِنُّ قُلُوبُهُم بِذِكْرِ اللّهِ أَلاَ بِذِكْرِ اللّهِ تَطْمَئِنُّ الْقُلُوبُ
যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং তাদের অন্তর আল্লাহর যিকির দ্বারা শান্তি লাভ করে; জেনে রাখ, আল্লাহর যিকির দ্বারাই অন্তর সমূহ শান্তি পায়।(সূরা রা'দ-২৮)
সব নেতিবাচক ধারণাকে পরিহার করুন।এবং একজন আল্লাহ ওয়ালা বুজুর্গের সহচরী হোন।মাদানি সিলসিলা বা থানভী সিলসিলার কারো খেদমতে হাজির হওয়ার চেষ্টা করুন।এবং সেখানে দীর্ঘদিন থাকার চেষ্টা করুন।বুজুর্গের কাছে সবকিছু খুলে বলবেন।তাবলীগে কমপক্ষে এক চিল্লা দেওয়ার চেষ্টা করুন।
জাযাকুমুল্লাহ।আল্লাহ আপনার সহায় হোক।আমীন।
যেহেতু প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য অা'মলের সবগুলোই কুরআন-হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। এবং পূর্ণ মানুষত্ব্য অর্জনের জন্য সবগুলোরই অত্যাবশ্যকীয় প্রয়োজনিয়তা রয়েছে।বিশেষ করে অপ্রকাশ্য অা'মল গুলো অবহেলিত হওয়ায় সেটার প্রয়োজনীয়তা অত্যাবশ্যকীয়।
এই অপ্রকাশ্য আ'মলগুলোর শিক্ষা গ্রহণ এবং প্রকাশ্য আ'মলগুলোকে ব্যবহারিক ভাবে নিজের জীবনের সাথে ঘনিষ্টকরণের জন্য যে শিক্ষার প্রয়োজন পড়ে সেটার নামই হল তাসাউফ বা আত্ম-সংশোধন।
এই তাসাউফ বা আত্ম-সংশোধনের জন্য একজন মুসলিহ বা আত্মসংশোধনকারীর প্রয়োজন পড়ে।যার সাথে সার্বক্ষণিক ভাবে উৎপেতে থেকে শিক্ষা অর্জন করতে হয়।কেননা সার্বক্ষণিক সাথে না থাকলে ব্যবহারিক জ্ঞান অর্জন করা সম্ভব হয় না।
মোটকথাঃ
শিক্ষাগ্রহণ-ই তাসাউফ বা সুফীবাদের মূল হাকিকত।মুরিদ করা বা হওয়া মূল উদ্দেশ্য নয়,বরং সংশোধন করা বা হওয়াই মূল উদ্দেশ্য।মুরিদ হওয়াকে প্রাতিষ্টানিক ভর্তির সাথে তুলনা করা যেতে পারে।কেউ প্রাতিষ্টানিক ভর্তির মাধ্যমে জ্ঞানার্জন করে।আবার কেউবা প্রাতিষ্ঠানিক ভর্তি ছাড়াই জ্ঞানার্জন করতে সক্ষম হয়।বিস্তারিত জানতে দেখুন-(আহসানুল ফাতাওয়া-১/৫৪৬)
তাসাউফ বা সুফীবাদের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ তথা বুজুর্গানে কেরামগণ সাধারণত কুরআন-হাদীসের আলোকেই লোকদেরকে শিক্ষা প্রদান করে গেছেন।তবে এর মধ্যেও কারো কাছ থেকে কিছু অতিরঞ্জন শোনা যায়।
সেজন্য এটাই বলা যায় যে,কুরআন-হাদীসের সাথে সাংঘর্ষিক কোনো মতবাদ বা পদ্ধতি গ্রহণযোগ্য হবে না।আল্লাহ-ই ভালো জানেন।
সু্প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!
আপনি হয়তো তারাতারি বিয়ে করুন,নতুবা রোযা রাখুন,কিংবা আল্লাহ ওয়ালার সংস্পর্শে যান বা তাবলীগের চিল্লায় যান।