আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
139 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (9 points)
আসসালামু আলাইকুম। যিনি উত্তর দিবেন আল্লাহ তাকে উত্তম প্রতিদান দিক।

আমার আশেক জিনের সমস্যা রয়েছে। ঘুমের ঘোরে আমি প্রায়ই গায়ের উপর চাপ অনুভব করি। মাঝে মাঝে গায়ে দাগ পাই। স্বপ্নে কখনো দেখি কোনো জন্তু আমাকে ধাওয়া করছে, কোনো পরিত্যক্ত বাড়িতে ঘুরছি, অর্ধেক মানুষ অর্ধেক জন্তু এমন কিছুর সাথে মিলিত হচ্ছি, পানিতে পড়ে যাচ্ছি ইত্যাদি। কবে শেষ শান্তিতে ঘুমিয়েছি মনে নেই। আগে রেগুলার তাহাজ্জুদ পড়তাম। এখন আমার সারাদিন এত ঘুম পায় যে আমার পক্ষে ফরজ নামাজ পড়াই কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। মূল সমস্যা হচ্ছে আমি দিনের বেশিরভাগ সময় উত্তেজিত (কাম সম্পর্কিত) থাকি। বাসায় আমি বিয়ের জন্য অনেক অনুরোধ করেছি। কোনোভাবেই রাজি হয়নি বাসায়। বলেছে ইনকাম করে বিয়ে করতে। মাঝে মাঝে এতটাই বেশি হয় যে আমি হস্তমৈথুন্যে বাধ্য হই। কিন্তু আমি মনে প্রানে বিষয়গুলো ঘৃণা করি। শারীরিক অবস্থা এতটা খারাপ যে সালাতে মনোনিবেশ করে দোয়া করতেও পারছি না পরিত্রানের। নিজ উদ্যোগে একজন রাকির শরণাপন্ন হয়েছি। উনি বলেছেন সমস্যা আছে। সেলফ রুকিয়াহ দিয়েছেন । সেগুলো করছি। এরপর থেকে অত্যাচার আরো বেড়ে গিয়েছে। আমার বাড়িতে সবাই নামাজ রোজা ঠিকমত করলেও এসকল বিষয়ে তারা দেখেও অন্ধ। তারা বলছে আমি নাকি পাগল হয়ে গিয়েছি। একের পর এক ডাক্তার দেখাচ্ছে। আর সেই ঔষধগুলো খেয়ে আমার অবস্থা আরও খারাপ হচ্ছে। ইদানিং আমার আত্মহত্যা করার প্রবল ইচ্ছা জাগে। সেদিন ফ্যানে কাপড় বাঁধতে যেয়ে নিজেকে ফিরিয়ে নিয়েছি। আল্লাহ হিফাজত করেছেন আমাকে। তবে আমি খুবই দুঃখিত। সবচেয়ে বড় দুঃখ আমার, আমার রবের সাথে আমার অন্য রকম একটা সম্পর্ক ছিল। নামাজে দাঁড়ালে যেমনটা আগে অনুভব করতাম তা আর এখন করতে পারছি না। ভেতরটা কেমন শূন্য হয়ে যায়। আমি জানিনা আমি এমতাবস্থায় কি করতে পারি। আশা করি বিজ্ঞ আলেমের পরামর্শের ওয়াসিলায় আল্লাহ আমাকে সাহায্য করবেন। বারাকাল্লাহু মিন্না ওয়া মীনকুম

1 Answer

0 votes
by (696,360 points)


ওয়া অালাইকুম আসসালাম।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আপনার মন অশান্তিতে আছে।এ জন্য আপনি নিয়মিত ধারাবাহিক আল্লাহর যিকির করতে থাকুন-দেখবেন মন শান্ত হবে।
الَّذِينَ آمَنُواْ وَتَطْمَئِنُّ قُلُوبُهُم بِذِكْرِ اللّهِ أَلاَ بِذِكْرِ اللّهِ تَطْمَئِنُّ الْقُلُوبُ
যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং তাদের অন্তর আল্লাহর যিকির দ্বারা শান্তি লাভ করে; জেনে রাখ, আল্লাহর যিকির দ্বারাই অন্তর সমূহ শান্তি পায়।(সূরা রা'দ-২৮)

সব নেতিবাচক ধারণাকে পরিহার করুন।এবং একজন আল্লাহ ওয়ালা বুজুর্গের সহচরী হোন।মাদানি সিলসিলা বা থানভী সিলসিলার কারো খেদমতে হাজির হওয়ার চেষ্টা করুন।এবং সেখানে দীর্ঘদিন থাকার চেষ্টা করুন।বুজুর্গের কাছে সবকিছু খুলে বলবেন।তাবলীগে কমপক্ষে এক চিল্লা দেওয়ার চেষ্টা করুন।

জাযাকুমুল্লাহ।আল্লাহ আপনার সহায় হোক।আমীন।


যেহেতু প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য অা'মলের সবগুলোই কুরআন-হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। এবং পূর্ণ মানুষত্ব্য অর্জনের জন্য সবগুলোরই অত্যাবশ্যকীয় প্রয়োজনিয়তা রয়েছে।বিশেষ করে অপ্রকাশ্য অা'মল গুলো অবহেলিত হওয়ায় সেটার প্রয়োজনীয়তা অত্যাবশ্যকীয়।

এই অপ্রকাশ্য আ'মলগুলোর শিক্ষা গ্রহণ এবং প্রকাশ্য আ'মলগুলোকে ব্যবহারিক ভাবে নিজের জীবনের সাথে ঘনিষ্টকরণের জন্য যে শিক্ষার প্রয়োজন পড়ে সেটার নামই হল তাসাউফ বা আত্ম-সংশোধন।
এই তাসাউফ বা আত্ম-সংশোধনের জন্য একজন মুসলিহ বা আত্মসংশোধনকারীর প্রয়োজন পড়ে।যার সাথে সার্বক্ষণিক ভাবে উৎপেতে থেকে শিক্ষা অর্জন করতে হয়।কেননা সার্বক্ষণিক সাথে না থাকলে ব্যবহারিক জ্ঞান অর্জন করা সম্ভব হয় না।


মোটকথাঃ 
শিক্ষাগ্রহণ-ই তাসাউফ বা সুফীবাদের মূল হাকিকত।মুরিদ করা বা হওয়া মূল উদ্দেশ্য নয়,বরং সংশোধন করা বা হওয়াই মূল উদ্দেশ্য।মুরিদ হওয়াকে প্রাতিষ্টানিক ভর্তির সাথে তুলনা করা যেতে পারে।কেউ প্রাতিষ্টানিক ভর্তির মাধ্যমে জ্ঞানার্জন করে।আবার কেউবা প্রাতিষ্ঠানিক ভর্তি ছাড়াই জ্ঞানার্জন করতে সক্ষম হয়।বিস্তারিত জানতে দেখুন-(আহসানুল ফাতাওয়া-১/৫৪৬)

তাসাউফ বা সুফীবাদের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ তথা বুজুর্গানে কেরামগণ সাধারণত কুরআন-হাদীসের আলোকেই লোকদেরকে শিক্ষা প্রদান করে গেছেন।তবে এর মধ্যেও কারো কাছ থেকে কিছু অতিরঞ্জন শোনা যায়।
সেজন্য এটাই বলা যায় যে,কুরআন-হাদীসের সাথে সাংঘর্ষিক কোনো মতবাদ বা পদ্ধতি গ্রহণযোগ্য হবে না।আল্লাহ-ই ভালো জানেন।


সু্প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!
আপনি হয়তো তারাতারি বিয়ে করুন,নতুবা রোযা রাখুন,কিংবা আল্লাহ ওয়ালার সংস্পর্শে যান বা তাবলীগের চিল্লায় যান।



(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...