ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
মুসলিম দেশের হোটেল-রেস্তোরাঁ গুলোতে গোশত খাওয়া জায়েয রয়েছে।এক্ষেত্রে সন্দেহ প্রবণতা পরিহার করা উচিত।মুসলমানকে এবং মুসলিম সমাজের মানুষকে বিশ্বাস করাই স্বাভাবিকতা। অবশ্য কোনো অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেলে নিশ্চয়ই এসব থেকে দূরে থাকতে হবে।
অন্যদিকে অমুসলিম রেস্তোরাঁ থেকে গোস্ত ভক্ষণ করতে হলে মালিককে জিজ্ঞাসা করতে হবে।সে যদি বলে ইসলামি ত্বরিকায় হালালভাবে যবেহ করা হয় নাই,তাহলে এমতাবস্থায় উক্ত গোশতকে ভক্ষণ করা যাবে না। কিন্তু যদি সে বলে যে এটাকে হালাল ত্বরিকায় যবেহ করা হয়েছে,তাহলে এমতাবস্থায় করণীয় কি?
সে সম্পর্কে বর্ণিত রয়েছে
যদি কোনো মুশরিক দাবী করে যে তার কাছে হালাল যবেহ করা গোস্ত রয়েছে। তাহলে সেটা খাওয়া জায়েয রয়েছে।(কিতাবুল ফাতাওয়া ৪/১৯৯)আরো বর্ণিত রয়েছে,(আবকে মাসাঈল-৭/২৯২জা'মেউল ফাতাওয়া-৩/১৩৭) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-৬৮৬
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মুসলমান মালিকানাধীন রেস্টুরেন্টের বার্গার,চিকেন ফ্রাই এগুলো হালাল।সুতরাং মুসলমান হিসেবে আমাদেরকে প্রথমেই মালিক সম্পর্কে সুষ্পষ্ট ধারণা নিতে হবে।কোনো রেষ্টুরেন্ট খাওয়ার পূর্বে তার মালিক সম্পর্কে ধারণা নিতে হবে।মালিকের ধর্ম সম্পর্কে যাচাই বাচাই করা ওয়াজিব।যদি মালিকের ধর্ম সম্পর্কে কিছুই জানা না যায়,তাহলে সেই হোটেলকে পরিত্যাগ করতে হবে। রেস্টুরেন্টের মাংসের বিভিন্ন আইটেম সম্পর্কে মালিক পক্ষ্যকে জিজ্ঞাসা করে সুষ্পষ্ট ধারণা নিতে হবে যে,তারা প্রাণীর কোন অঙ্গ এই আইটেমে ব্যবহার করেছে।যদি হালাল অঙ্গ দ্বারা তৈরী করা হয়ে থাকে,তাহলে হালালই হবে।যদি এ সম্পর্কে সুষ্পষ্ট ধারণা না পাওয়া যায়,তাহলে এমন খাদ্যকে পরিত্যাগ করতে হবে।