আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
180 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম।

আমার প্রশ্ন-

১) নন-মাহরাম আত্মীয়ের বাড়িতে রাত কাটানোর হুকুম কি? (মাহরাম ব্যতীত) (৪৮ মাইলের মধ্যেই নন মাহরামের বাসা)

অনেক সময় দুনিয়াবি কারনে নন-মাহরাম আত্মীয়ের বাড়িতে রাতে থাকতে হয়।কতটুকু ওযর থাকলে নন-মাহরামের বাড়িতে (আন্টি, ফুফু) রাতে থাকা যাবে??
২) আর আপন ছোট ভাই বালেগ হলেই তাকে নিয়ে আমি সফর করতে পারবো? এখানে কি মাহরাম হলেই হবে নাকি যে আমার নিরাপত্তা দিতে সক্ষম হবে এমন মাহরাম নিয়ে আমার সফর করতে হবে?

৩) হাসব্যান্ড দূরে জব করে এমন অবস্থায় ভাড়াবাসায় তার স্ত্রী, বোন এবং প্রাপ্তবয়স্ক অবিবাহিত দেবর  তাদের সাথে একই বাড়িতে থাকতে পারবে ??
(হাসব্যান্ডের অনুপস্থিতিতে স্ত্রীর কোনো মাহরাম থাকছেনা বাসায়, প্রতিসপ্তাহে সে বাসায়  আসে। আর  স্ত্রী পর্দা মেইনটেইন করে চলে বিধায় দেবরও তার সামনে আসেনা। দেবরের দ্বীনের বুঝ মোটামুটি)
৪) এমন অনেক জায়গায় থাকে যেখানে জামাই দেশের বাইরে থাকে কিন্তু শশুরবাড়িতে শাশুড়ি আর প্রাপ্তবয়স্ক  অবিবাহিত দেবর থাকে এমন অবস্থায় কি তার স্ত্রী অই বাড়িতে পর্দা মেইনটেইন করে থাকতে পারবে যেখানে সবার দ্বীনের বুঝ আছে?

উত্তরগুলো পেলে অনেক উপকৃত হবো ইন শা আল্লাহ।
জাঝাকাল্লাহ খইরন।

1 Answer

0 votes
by (671,200 points)

জবাব

وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 

بسم الله الرحمن الرحيم 




(০১)

পরিপূর্ণ পর্দা মেনে ফিতনার আশংকা না থাকার শর্তে নন মাহরামের বাসায় থাকা যাবে।


বৈধ প্রয়োজনীয় কথা হলে পর্দার আড়ালে থেকে কথা বলতে হবে।

অপ্রয়োজনীয় কথা পর্দার আড়ালে থেকেও বলা যাবেনা।  



(০২)


বিশুদ্ধ মতানুযায়ী মাহরাম না থাকলে মহিলার উপর হজ্বও ফরয হবে না। 


হাদীস শরীফে এসেছে-


وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: لَا يَخْلُوَنَّ رَجُلٌ بِاِمْرَأَةٍ وَلَا تُسَافِرَنَّ امْرَأَةٌ إِلَّا وَمَعَهَا مَحْرَمٌ. فَقَالَ رَجُلٌ: يَا رَسُوْلَ اللّٰهِ اكْتُتِبْتُ فِىْ غَزْوَةِ كَذَا وَكَذَا وَخَرَجَتِ امْرَأَتِىْ حَاجَّةً قَالَ: اِذْهَبْ فَاحْجُجْ مَعَ اِمْرَأَتِكَ. (مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ)

 

 [‘আব্দুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেনরাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন পুরুষ যেন কক্ষনো কোন স্ত্রীলোকের সাথে এক জায়গায় নির্জনে একত্র না হয়আর কোন স্ত্রীলোক যেন কক্ষনো আপন কোন মাহরাম ব্যতীত একাকিনী সফর না করে। তখন এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করলোহে আল্লাহর রসূল! অমুক অমুক যুদ্ধে আমার নাম লেখানো হয়েছে। আর আমার স্ত্রী একাকিনী হজের উদ্দেশে বের হয়েছে। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনযাও তুমি তোমার স্ত্রীর সাথে হজ্জ/হজ করো।

সহীহ : বুখারী ৩০০৬মুসলিম ১৩৪১আহমাদ ১৯৩৪সহীহ ইবনু খুযায়মাহ্ ২৫২৯সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ১০১৩৪সহীহ ইবনু হিব্বান ৩৭৫৭।


ইমাম নববী রাহ বলেন,


"فَالْحَاصِل أَنَّ كُلّ مَا يُسَمَّى سَفَرًا تُنْهَى عَنْهُ الْمَرْأَة بِغَيْرِ زَوْج أَوْ مَحْرَم " انتهى

মোটকথাঃ স্বামী বা মাহরাম পুরুষ ব্যতীত যেকোনো প্রকার সফর থেকে মহিলাকে বাধা প্রদান করা হবে।


★★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি তাকে নিয়ে সফর করতে পারবেন। 

নিরাপত্তা দিতে সক্ষম হবে এমন মাহরাম পুরুষকে  নিয়ে সফর করা শর্ত নয়।

বালেগ মাহরাম পুরুষ হলেই হবে।


(০৩)

ফিতনার আশংকা না থাকলে এভাবে থাকা যাবে, সমস্যা নেই।

,

(০৪)

হ্যাঁ স্ত্রী সেই বাড়িতে পরিপূর্ণ পর্দা মেইনটেইন করে থাকতে পারবে।



(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...