ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
মৃত বা জীবিত নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তি (আত্নীয়/অনাত্মীয়/মাহরাম/নন মাহরাম) কোনো দেশ বা স্থানের নির্যাতিত মুসলিমদের পক্ষ থেকে/যে কোনো মুসলিমের পক্ষ থেকে তিনি যেই হোন তাকে জানিয়ে বা না জানিয়ে তার অজ্ঞাতে ইসালে সওয়াবের জন্য কুরবানী দিতে চাইলে নিজের ওয়াজিব কুরবানীর সাথে একই নিয়তে একসাথে দেয়া যাবে।তবে কারো ওয়াজিব কুরবানি তার অনুমতি ব্যতিত তার পক্ষ থেকে দেয়া যাবে না।
(২)
যাকাত আবশ্যক হওয়ার জন্য নিসাব পরিমাণ সম্পদের সময়কাল এক বছর হতে যদি মাস খানেক বাকী থাকে। এমতাবস্থায় এক মাস বাকি থাকতেই কাউকে সহযোগিতার জন্যে যাকাতের খাত হিসেবে উক্ত সম্পদ থেকে সহযোগিতা করা যাবে। বৎসে যাকাত পূর্বেও দেওয়া যাবে।
(৩)
যেহেতু আপনার স্বামী মহরের অর্ধেক টাকা নিজে নিতে রাজী না।তাই এই টাকার মালিক সম্পূর্ণ মালিক আপনি।আপনি যেকোনো কাজে ব্যবহার করতে পারবেন। এবং আপনার উপর কুরবানি ও যাকাত ওয়াজিব হবে।
(৪)
কসমের কাফফারার জন্য দশ জন মিসকিনকে দুই বেলা খাওয়ানোর পরিবর্তে বিশ জনকে এক বেলা খাওয়ানো যাবে। কেউ যদি একসাথে একই দিনে দশ জনকে দুবেলা খাওয়াতে না পারে এবং পর পর দশ দিন দশ জনকেও দুবেলা খাওয়াতে না পারে, এমতাবস্থায় বিভিন্ন সময়ে দশজনকে খুঁজে দুই বেলা খাবার কিনে খাওয়াতে পারবে বা সমপরিমাণ অর্থ দিয়ে দিতে পারব। যদি কেউ দশজন না পায় তাহলে একজনকে/দশের কম সংখ্যক জনকে পর পর দশ দিন বা দশ দিন পর পর না হয়ে যে কোনো দশদিন দুবেলা খাওয়ালেই হবে। অথবা সমপরিমাণ অর্থ দিয়ে দিলেও হবে।