আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
158 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (5 points)
edited by
১. উস্তায রসূল সলল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পক্ষ থেকে / মৃত বা জীবিত নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তি (আত্নীয়/অনাত্মীয়/মাহরাম/নন মাহরাম) /কোনো দেশ বা স্থানের নির্যাতিত মুসলিমদের পক্ষ থেকে/যে কোনো মুসলিমের পক্ষ থেকে তিনি যেই হোন তাকে জানিয়ে বা না জানিয়ে তার অজ্ঞাতে ইসালে সওয়াবের জন্য কুরবানী দিতে চাইলে নিজের ওয়াজিব কুরবানীর সাথে একই নিয়তে একসাথে দেয়া যাবে? নাকি এর জন্য নিজের ওয়াজিব কুরবানী দেয়ার পর সামর্থ্য থাকলে পৃথক নিয়তে ভিন্ন ভাগে বা আলাদা পশু কুরবানী দিতে হবে? নিজের ওয়াজিব কুরবানী ছাড়া রসূলুল্লহ সলল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পক্ষ থেকে করা কুরবানী বা অন্য কারো জন্য ইসালে সওয়াবের উদ্দেশ্যে করা কুরবানীর গোশত বন্টনের নিয়ম কি সাধারণ ওয়াজিব কুরবানীর মত একই হবে? আমি কি ওয়াজিব কুরবানী এবং ইসালে সওয়াবের জন্য করা নফল কুরবানীর পুরো গোশত চাইলে সদাকা করতে পারব?

২. যাকাত আবশ্যক হওয়ার জন্য নিসাব পরিমাণ সম্পদের সময়কাল এক বছর হতে এখনও প্রায় এক মাস আছে। আশা করা যায় ইন শা আল্লাহ এক মাস পরও নিসাব পরিমাণ সম্পদ হাতে থাকবে। এমতাবস্থায় এক মাস বাকি থাকতেই কাউকে সহযোগিতার জন্যে যাকাতের খাত হিসেবে আমি কি উক্ত সম্পদ থেকে সহযোগিতা করতে পারব? নাকি তা সাধারণ সাদাকা হিসেবে গণ্য হবে? আর এক মাস পর নিসাব পরিমাণ সম্পদ থাকলে তখন এই সম্পদের ওপর যত টাকা যাকাত আসবে সেই পরিমাণের বেশি কি যাকাত হিসেবে দেয়া যাবে? "নিসাব পরিমাণ সম্পদের এক বছর পূর্ণ হলে যাকাত আদায়ের পরও নিসাব পরিমাণ সম্পদ থাকলে তার ওপর যাকাত আবশ্যক হওয়ার জন্য পরবর্তী এক বছর পূর্ণ হওয়া শর্ত।" -আমি কি এটা সঠিক জানি উস্তায?

৩. উক্ত নিসাব পরিমাণ সম্পদ আমার বিয়ের মোহরের টাকা। এই টাকাটা বিয়ের পর ব্যয়ের মাধ্যম হিসেবে নিয়তে ছিলো ওমরা করা। বিচ্ছেদের পর শরীয়া অনুযায়ী মোহরের অর্ধেক আমার স্বামীর এবং অর্ধেক আমার। কিন্তু আমার স্বামী অর্ধেকও নিতে চাননা পুরো অর্থটা আমাকে ওমরার জন্য রাখতে বলেন। কিন্তু আমার পক্ষে বর্তমানে বিভিন্ন কারণে ওমরা করা সম্ভব নয়। ভবিষ্যতেও এই টাকাটা দিয়ে ওমরা করা হবে কিনা অনিশ্চিত। আমি পুরো টাকাটা আমার স্বামীকে তাই দিতে চেয়েছি কিন্তু এখনও দেয়া সম্ভব হয়নি। আমি জানি, যদি টাকাগুলো আমার স্বামীকে দিতে পারি তাহলে কুরবানী আর যাকাত আমার জন্য আবশ্যক হবে না। আর টাকাগুলো আমার কাছে থাকলে আমার জন্য কুরবানী ও যাকাত আবশ্যক হবে সেটা উনি যে জন্যই আমাকে দেন বা আমি যে জন্য উনাকে দিতে চাই না কেন। আলাদাভাবে ওমরা বা হজের নিয়তে নিসাব পরিমাণ সম্পদ রাখলে তা থেকে অন্য কোনো ব্যয় বা কুরবানী/যাকাত আদায় অনুত্তম বা উচিত না এমন কোনো বিষয় কি আছে? আমার জানামতে যতক্ষণ পর্যন্ত নিসাব পরিমাণ সম্পদ আমার আওতায় থাকবে (কুরবানির ১০,১১,১২ জিলহজ্জ আর যাকাতের জন্য পূর্ণ এক বছর) ততক্ষণ আমার জন্য কুরবানী আর যাকাত আবশ্যক হবে। এবছর যদি কুরবানী আর যাকাত ইন শা আল্লাহ আদায় করি তাহলে বাকি অর্থ আমি আমার স্বামীকে কি দিতে পারব? অথবা ওমরা ছাড়াও অন্য যে কোনো কাজে কি ব্যয় করতে পারব ? অথবা বাকি অর্থ অন্য কাউকে ওমরা করতে সহযোগিতা করার জন্য কি দিতে পারব?

৪. কসমের কাফফারার জন্য দশ জন মিসকিনকে দুই বেলা খাওয়ানোর পরিবর্তে বিশ জনকে কি এক বেলা খাওয়ানো যাবে? আমি যদি একসাথে একই দিনে দশ জনকে না পারি দুবেলা খাওয়াতে এবং পর পর দশ দিন দশ জনকেও দুবেলা খাওয়াতে না পারি এমতাবস্থায় বিভিন্ন সময়ে দশজনকে খুঁজে  দুই বেলা খাবার কি কিনে খাওয়াতে পারব/সম পরিমাণ অর্থ কি দিতে পারব? অথবা দশজন যদি না পাই তাহলে একজনকে/দশের কম সংখ্যক জনকে পর পর দশ দিন / দশ দিন পর পর না হয়ে যে কোনো দশদিন কি দুবেলা খাওয়াতে পারব বা সমপরিমাণ অর্থ কি দিতে পারব?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
মৃত বা জীবিত নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তি (আত্নীয়/অনাত্মীয়/মাহরাম/নন মাহরাম) কোনো দেশ বা স্থানের নির্যাতিত মুসলিমদের পক্ষ থেকে/যে কোনো মুসলিমের পক্ষ থেকে তিনি যেই হোন তাকে জানিয়ে বা না জানিয়ে তার অজ্ঞাতে ইসালে সওয়াবের জন্য কুরবানী দিতে চাইলে নিজের ওয়াজিব কুরবানীর সাথে একই নিয়তে একসাথে দেয়া যাবে।তবে কারো ওয়াজিব কুরবানি তার অনুমতি ব্যতিত তার পক্ষ থেকে দেয়া যাবে না।

(২) 
যাকাত আবশ্যক হওয়ার জন্য নিসাব পরিমাণ সম্পদের সময়কাল এক বছর হতে যদি মাস খানেক বাকী থাকে।  এমতাবস্থায় এক মাস বাকি থাকতেই কাউকে সহযোগিতার জন্যে যাকাতের খাত হিসেবে  উক্ত সম্পদ থেকে সহযোগিতা করা যাবে। বৎসে যাকাত পূর্বেও দেওয়া যাবে।
 

(৩) 
যেহেতু আপনার স্বামী মহরের অর্ধেক টাকা নিজে নিতে রাজী না।তাই এই টাকার মালিক সম্পূর্ণ মালিক আপনি।আপনি যেকোনো কাজে ব্যবহার করতে পারবেন। এবং আপনার উপর কুরবানি ও যাকাত ওয়াজিব হবে।


(৪)
কসমের কাফফারার জন্য দশ জন মিসকিনকে দুই বেলা খাওয়ানোর পরিবর্তে বিশ জনকে এক বেলা খাওয়ানো যাবে। কেউ যদি একসাথে একই দিনে দশ জনকে দুবেলা খাওয়াতে না পারে এবং পর পর দশ দিন দশ জনকেও দুবেলা খাওয়াতে না পারে, এমতাবস্থায় বিভিন্ন সময়ে দশজনকে খুঁজে দুই বেলা খাবার  কিনে খাওয়াতে পারবে বা সমপরিমাণ অর্থ দিয়ে দিতে পারব। যদি কেউ দশজন না পায় তাহলে একজনকে/দশের কম সংখ্যক জনকে পর পর দশ দিন বা দশ দিন পর পর না হয়ে যে কোনো দশদিন  দুবেলা খাওয়ালেই হবে। অথবা সমপরিমাণ অর্থ দিয়ে দিলেও হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...