আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
85 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (14 points)
আসসালামু আলাইকুম উস্তাদ।

যারা জেনারেল লাইনে পড়ুয়া, বিশেষ করে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে তাদের ভার্সিটিতে উঠার পর সবারই কিছু না কিছু বিষয়ে গবেষণা করার, গবেষণা পত্র প্রকাশ করার প্রয়োজন হয়। ইঞ্জিনিয়ারিং, ডাক্তারি লাইনে এটা বলা যায় বাধ্যতামূলক একটা পর্যায় পর্যন্ত। আর যারা পাশ করার পরে শিক্ষকতা পেশায় ঢুকতে চায় তাদের এই কাজটি করা আবশ্যক হয় ওই পেশায় নিয়োজিত থাকার জন্য।

তো এই গবেষণার জন্য, গবেষণা পত্র প্রকাশের জন্য পূর্বের প্রকাশিত গবেষণা পত্রসমূহ পড়তে হয়, সেখান থেকে নিজের বিষয়, লেখার ধরন ইত্যাদি ঠিক করতে হয়।  যে প্রকাশনীসমূহ এই গবেষণা পত্রগুলো প্রকাশ করে সেগুলোর মূল্য বলা চলে আমাদের জন্য আকাশচুম্বী, যেমন প্রতি মাসে বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১ লক্ষ।
আমাদের জন্য তো বটেই, পৃথিবীর অন্যান্য অনেক দেশের শিক্ষার্থীদের জন্যও এটা অনেক বায়বহুল। এরই মধ্যে এমন একটা ওয়েবসাইট আছে যেটা এই গবেষণা পত্রগুলো মূল্যদান ছাড়াই ক্র্যাক করে বের করে দিতে পারে, আর আমরা এবং আমাদের মত পৃথিবীর অন্যান্য দেশে একই অর্থনৈতিক অবস্থায় আছে এমন শিক্ষার্থীরা এই ওয়েবসাইটটি ব্যাবহার করেই গবেষণার কাজ চালায়।

হরবি কাফি।রদের সম্পত্তি, সফটওয়্যার ইত্যাদি নিজেদের জন্য ক্র্যাক করে ব্যাবহার করার ব্যাপারে উস্তাদ আব্দুল্লাহ আল মামুন হাফি. এর একটি মাসআলা নিচের সাওয়াল-জাওয়াব অডিওটায় আছেঃ https://www.facebook.com/abdullah.almamun.35175633/videos/3775786862542489/?idorvanity=757387151756271

২১ঃ১০ মিনিট থেকে উস্তাদ উত্তর দিচ্ছেন।
 
উপরের প্রকাশনীগুলো মূলত পশ্চিমা হরবি কাফিরদেরই প্রকাশনী। যদি গবেষনাপত্র গুলো হরবিদেরই হত তাহলে হয়ত এখানে বাড়তি আলোচনা থাকতো না, কিন্তু এসব জায়গায় আমাদের মত অন্যান্য মুসলিমরাও তাদের গবেষণা প্রকাশ করে থাকে। এখন ওই ক্র্যাক করা পত্র মুসলিমদের পত্র হলে সেটা কি জায়েজ হবে? যেখানে তারাও নিজ নিজ পত্রগুলো তৈরি করতে ওই ওয়েবসাইটটার সহয়তাই নিয়ে থাকে সাধারনত? যেমন আমার নিজের একটি গবেষণা পত্রও সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে, এবং কোন মুসলিম যদি আমার পত্রটা ক্র্যাক করেও ব্যাবহার করে আমার কোন সমস্যা নেই। এখন যাদের যাদেরটা এভাবে ব্যাবহার হচ্ছে তাদের সবার থেকে অনুমতি নেওয়া তো অনেক দুরহ ব্যাপার হয়ে যাবে মুসলিমদের জন্য। এই সার্বিক পরিস্থিতিতে এমনভাবে কাজে আগানো কি জায়েজ হবে কিনা

1 Answer

0 votes
by (719,040 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
এসাইন্টমেন্ট যা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ছাত্রদের জন্য নির্ধারিত থাকে,তা ছাত্রদের মেধা যাচাই ইত্যাদির জন্য নির্ধারণ করা হয়,বিষয়টা যখন এমন তাই উক্ত এসাইন্টমেন্টকে ছাত্ররা নিজেরাই করবে।
অন্যকোথাও থেকে তা লেখিয়ে আনা যাবে না।কোথাও থেকে কপি করা যাবে না।

সুতরাং যদি কেউ গোগল থেকে কপি করে নেয় তাহলে তা ধোকা হবে।এবং কারো নিকট থেকে লেখিয়ে আনাও যাবে না।চায় টাকার বিনিময়ে হোক বা এমনিতেই হোক।উক্ত পদ্ধতি সম্পর্কে অবগত ব্যক্তির জন্য তা লিখে দেওয়া কখনো বৈধ হবে না। আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻭَﺗَﻌَﺎﻭَﻧُﻮﺍْ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟْﺒﺮِّ ﻭَﺍﻟﺘَّﻘْﻮَﻯ ﻭَﻻَ ﺗَﻌَﺎﻭَﻧُﻮﺍْ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻹِﺛْﻢِ ﻭَﺍﻟْﻌُﺪْﻭَﺍﻥِ ﻭَﺍﺗَّﻘُﻮﺍْ ﺍﻟﻠّﻪَ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﺷَﺪِﻳﺪُ ﺍﻟْﻌِﻘَﺎﺏِ
তরজমাঃসৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা।(সূরা মায়েদা-২)

সুতরাং প্রত্যেক মুসলমানকে নেকীর কাজে সাহায্য- সহযোগিতা করা হবে।অন্যায়-ধোকা তথা গোনাহের কোনো কাজে কাউকে সহযোগিতা করা যাবে না।তবে যদি এমন না হয়,তথা বিষয়টা উন্মোক্ত থাকে,তাহলে আপনি গোগল থেকে আংশিক বা সম্পূর্ণ কপি করে নিতে পারবেন। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/9695

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই বোন!
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক নিয়ম যদি থাকে যে, কোথাও থেকে কপি করে নিয়ে আসা যাবে না।তাহলে আপনি কোথাও থেকে কপি করে নিয়ে আসতে পারবেন না। কিন্তু যদি এমন কোনো নিয়ম না থাকে,তাহলে অন্য যে কোনো কিছুর সাহায্য গ্রহণ করা যেতে পারে। স্বত্ব সংরক্ষিত কোনো লেখাকে নকল বা কপি করা যাবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (719,040 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...