আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
93 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (8 points)
আসসালামু আলাইকুম
স্ত্রীর লজ্জা স্থানে চুম্বন করা হয়েছে, স্তনে চুম্বন করা হয়েছে,  স্ত্রীর উপরে শয়ন অবস্থায় ছেলের নিজের পায়জামায় বীর্যপাত হয়, কিন্তু সহবাস হয় করা হয় নি। অর্থাৎ স্বামী স্ত্রীর যৌনাঙ্গ স্পর্শ কোনোক্রমেই হয়নি। এমন স্ত্রীকে তিন তালাক দেওয়া হয়েছে এক সাথে। তাহলে তালাক হয়ে গেছে।

হুযুর আপনার কাছে প্রশ্ন করছিলাম যে, এই মহিলাটিকে কি ইদ্দত পালন করতে হবে? আপনি রায় দিয়েছিলেন সহবাসের পুর্বে তালাক দিলে ইদ্দত পালন করতে হয় না। পরে মহিলাটি অন্য জায়গায় বিয়ে করে, এবং তার বর্তমান স্বামী, মহিলাটির যে আগে বিয়ে হইছে সেই ঘটনাটি জানার পর সেও বাসর করার পূর্বে (মহিলাটিকে কোনো স্পর্শ করেনি) সেও তিন তালাক দিয়ে দেয়। পরে সেই মহিলাটি তার পূর্বেকার স্বামীকে অর্থাৎ  যে প্রথমে তিন তালাক সেই পূর্বেকার স্বামিকে আবার লুকিয়ে বিয়ে করে।

হুযুরে কাছে প্রশ্ন : প্রথম স্বামী যার সাথে সহবাস হয়নি কিন্তু লজ্জা স্থানে চুম্বন স্তনে চুম্বন  হয়েছে এবং মেয়েটির উপরে শায়িত অবস্থায় ছেলের নিজের পায়জামায় বীর্যপাত হয়, কিন্তু তাদের যৌনাঙ্গ স্পর্শ হয়নি। এই স্বামীকে বিয়ে করা কী মহিলাটির শুদ্ধ হবে?

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


শরয়ী হালালাহ হলো, তিন তালাক প্রাপ্তা স্ত্রীর ইদ্দতকাল অতিবাহিত  হওয়ার পর অন্যত্র বিবাহ হতে হবে।

তারপর সেই ২য় স্বামীর সাথে স্বাভাবিক ঘর সংসার করতে হবে। এমন কি শারিরীক সম্পর্ক হতে হবে। 
,
তারপর উক্ত স্বামী যদি সেউ স্ত্রীকে তালাক দেয়, তারপর ইদ্দত শেষ হয়, তাহলেই কেবল ১ম স্বামী আবার উক্ত মহিলাকে বিবাহ করতে পারবেন। এবং আবার ঘর সংসার করতে পারবেন।

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

فَإِن طَلَّقَهَا فَلَا تَحِلُّ لَهُ مِن بَعْدُ حَتَّىٰ تَنكِحَ زَوْجًا غَيْرَهُ ۗ فَإِن طَلَّقَهَا فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِمَا أَن يَتَرَاجَعَا إِن ظَنَّا أَن يُقِيمَا حُدُودَ اللَّهِ ۗ وَتِلْكَ حُدُودُ اللَّهِ يُبَيِّنُهَا لِقَوْمٍ يَعْلَمُونَ [٢:٢٣٠] 

তারপর যদি সে স্ত্রীকে (তৃতীয়বার) তালাক দেয়া হয়, তবে সে স্ত্রী যে পর্যন্ত তাকে ছাড়া অপর কোন স্বামীর সাথে বিয়ে করে না নেবে,তার জন্য হালাল নয়। অতঃপর যদি দ্বিতীয় স্বামী তালাক দিয়ে দেয়,তাহলে তাদের উভয়ের জন্যই পরস্পরকে পুনরায় বিয়ে করাতে কোন পাপ নেই। যদি আল্লাহর হুকুম বজায় রাখার ইচ্ছা থাকে। আর এই হলো আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত সীমা;যারা উপলব্ধি করে তাদের জন্য এসব বর্ণনা করা হয়। [সূরা বাকারা-২৩০]

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ رَجُلاً طَلَّقَ امْرَأَتَه“ ثَلاَثًا فَتَزَوَّجَتْ فَطَلَّقَ فَسُئِلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَتَحِلُّ لِلأَوَّلِ قَالَ لاَ حَتّٰى يَذُوقَ عُسَيْلَتَهَا كَمَا ذَاقَ الأَوَّلُ.

আম্মাজান আয়েশা রা. থেকে বরণিত, রাফায়ার স্ত্রী বলল, হে আল্লাহর রাসুল, আমার স্বামী রাফায়া আমাকে এক সাথে তিন তালাক দিয়েছে? এরপর আমি আব্দুর রাহমানের সাথে বিবাহ করেছি। এখন রাফায়ার কাছে যেতে পারবো কিনা? নবীজী বললেন, আবদুর রহমান তোমার সাথে সহবাস করলে এরপর রাফায়ার নিকট যেতে পারবে। (সহীহ বুখারী ৫২৬১)

وقال الليث عن نافع كان ابن عمر إذا سئل عمن طلق ثلاثا قال لو طلقت مرة أو مرتين فأن النبي صلى الله عليه و سلم أمرني بهذا فإن طلقتها ثلاثا حرمت حتى تنكح زوجا غيرك

হযরত নাফে রহ. বলেন,যখন হযরত ইবনে উমর রাঃ এর কাছে ‘এক সাথে তিন তালাক দিলে তিন তালাক পতিত হওয়া না হওয়া’ (রুজু‘করা যাবে কিনা) বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলো,তখন তিনি বলেন-“যদি তুমি এক বা দুই তালাক দিয়ে থাকো তাহলে ‘রুজু’ [তথা স্ত্রীকে বিবাহ করা ছাড়াই ফিরিয়ে আনা] করতে পার। কারণ,রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে এরকম অবস্থায় ‘রুজু’ করার আদেশ দিয়েছিলেন। যদি তিন তালাক দিয়ে দাও তাহলে স্ত্রী হারাম হয়ে যাবে, সে তোমাকে ছাড়া অন্য স্বামী গ্রহণ করা পর্যন্ত। {সহীহ বুখারী-২/৭৯২, ২/৮০৩}

আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নের বিবরন মতে যেহেতু ২য় স্বামীর সাথে সহবাস হয়নি,তাই এখন ১ম স্বামীকে বিয়ে করা  মহিলাটির শুদ্ধ হবেনা।

এক্ষেত্রে মহিলাটির (খালয়াতে সহীহাহ হলে ইদ্দত পালন শেষে আর খালওয়াতে সহীহাহ না হলে এখনই) আবারো অন্যত্রে বিবাহ হতে হবে।

এই ৩য় স্বামী তাকে সহবাসের পর তালাক দিলে সেক্ষেত্রে ইদ্দত পালন শেষে ১ম স্বামীর সাথে বিয়ে বসতে পারবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...