বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
মুমিন তার জীবনের প্রতিটি কাজে আল্লাহকে স্মরণ করবে। সে নির্ভর করবে একমাত্র আল্লাহর উপর, নিজের শক্তি সামর্থর্ ও উপায় উপকরণের উপর নয়। তাইতো মুমিন ভবিষ্যতের কোনো কাজের কথা বলতে ‘‘ইনশাআল্লাহ’’ বলে। ‘‘ইনশাআল্লাহ’’ অর্থ ‘‘যদি আল্লাহ চান’’। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ আদব, যা আল্লাহ কুরআনে শিখিয়েছেন। আল্লাহ কুরআনে বলেছেন (অর্থ) ‘‘তোমরা ইচ্ছা করবে না (তোমাদের ইচ্ছা বাস্তবে রূপ নিবে না) যদি না আল্লাহ ইচ্ছা করেন যিনি জগতসমূহের প্রতিপালক।’’-সূরা তাকভীর : ২৯
সূরা কাহাফের ২৩ ও ২৪ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তাআলা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে সম্বোধন করে বলেছেন, (অর্থ) (হে নবী) কোনো কাজ সম্পর্কে কখনও বলো না ‘‘আমি এ কাজ আগামীকাল করব। তবে বল ‘‘ইনশাআল্লাহ’’ (আল্লাহ যদি চান তবে করব) এই আয়াত নাযিল হওয়ার প্রেক্ষাপট অনেকেরই জানা আছে। একবার কাফেররা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আসহাবে কাহাফ ও যুল কারনাইন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করল। তখন নবীজী বললেন; আগামীকাল বলব (কিন্তু ইনশাআল্লাহ বলতে ভুলে গেলেন) ফলে পনের দিন ওহী আসা বন্ধ থাকল। তারপর ওহী এলো এবং উপরের আয়াতটি অবতীর্ণ হল।
আল্লাহ আমাদের পূর্ণ অনুভূতির সাথে ‘‘ইনশাআল্লাহ’’ বলার এবং ইসলামের অন্যান্য আদবও অভ্যাসে পরিণত করার তাওফীক দান করুন। আমীন।(সংগৃহিত)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
জ্বী, ওয়াদার সাথে ইনশা আল্লাহ বলা যাবে।
(২)
নামাজে সালাম ফেরানোর সময় যদি কেউ একবার আসসালামু আলাইকুম বলে ফেলারর পর আবার আসসালামু আলাইকুম বলে, তথা দুই বার সালাম বলে ফেলে,তাহলে সাহু সিজদা আসবে না।