আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
490 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (45 points)
১।ওয়াদা করার সময় কি ইন শা আল্লাহ বলা যায়?

বললে কি সমস্যা হবে?

২। যদি নামাজে সালাম ফেরানোর সময় আসসালামু আলাইকুম বলে ফেলি একবার, পরে আবার আসসালামু আলাইকুম বলি, মানে ২ বার পড়ি। আমার কি সাহু দেয়া ওয়াজিব হবে?

পূর্বে এই ভুলের জন্য সাহু সিজদা দিয়েছিলাম, ওই নামাজ কি আবার পড়তে হবে? নাকি হয়ে যাবে?

1 Answer

0 votes
by (710,360 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
মুমিন তার জীবনের প্রতিটি কাজে আল্লাহকে স্মরণ করবে। সে নির্ভর করবে একমাত্র আল্লাহর উপর, নিজের শক্তি সামর্থর্ ও উপায় উপকরণের উপর নয়। তাইতো মুমিন ভবিষ্যতের কোনো কাজের কথা বলতে ‘‘ইনশাআল্লাহ’’ বলে। ‘‘ইনশাআল্লাহ’’  অর্থ ‘‘যদি আল্লাহ চান’’। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ আদব, যা আল্লাহ কুরআনে শিখিয়েছেন। আল্লাহ কুরআনে বলেছেন (অর্থ) ‘‘তোমরা ইচ্ছা করবে না (তোমাদের ইচ্ছা বাস্তবে রূপ নিবে না) যদি না আল্লাহ ইচ্ছা করেন যিনি জগতসমূহের প্রতিপালক।’’-সূরা তাকভীর : ২৯

সূরা কাহাফের ২৩ ও ২৪ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তাআলা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে সম্বোধন করে বলেছেন, (অর্থ) (হে নবী) কোনো কাজ সম্পর্কে কখনও বলো না ‘‘আমি এ কাজ আগামীকাল করব।  তবে বল ‘‘ইনশাআল্লাহ’’  (আল্লাহ যদি চান তবে করব) এই আয়াত নাযিল হওয়ার প্রেক্ষাপট অনেকেরই জানা আছে। একবার কাফেররা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আসহাবে কাহাফ ও যুল কারনাইন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করল। তখন নবীজী বললেন; আগামীকাল বলব (কিন্তু ইনশাআল্লাহ বলতে ভুলে গেলেন) ফলে পনের দিন ওহী আসা বন্ধ থাকল। তারপর ওহী এলো এবং উপরের আয়াতটি অবতীর্ণ হল।


আল্লাহ আমাদের পূর্ণ অনুভূতির সাথে ‘‘ইনশাআল্লাহ’’ বলার এবং ইসলামের অন্যান্য আদবও অভ্যাসে পরিণত করার তাওফীক দান করুন। আমীন।(সংগৃহিত)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
জ্বী, ওয়াদার সাথে ইনশা আল্লাহ বলা যাবে।

(২)
নামাজে সালাম ফেরানোর সময় যদি কেউ একবার আসসালামু আলাইকুম বলে ফেলারর পর আবার আসসালামু আলাইকুম বলে, তথা দুই বার সালাম বলে ফেলে,তাহলে সাহু সিজদা আসবে না।




(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...