বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
কে যাকাত খেতে পারবে?
وَلَا يُشْتَرَطُ النَّمَاءُ إذْ هُوَ شَرْطُ وُجُوبِ الزَّكَاةِ لَا الْحِرْمَانِ كَذَا فِي الْكَافِي. وَيَجُوزُ دَفْعُهَا إلَى مَنْ يَمْلِكُ أَقَلَّ مِنْ النِّصَابِ، وَإِنْ كَانَ صَحِيحًا مُكْتَسَبًا كَذَا فِي الزَّاهِدِيِّ.
অর্থাৎ-নেসাব পরিমাণ মাল(নামী তথা বাড়ন্ত হোক বা না হোক,শরীয়তে নামী মাল চার প্রকার যথা-স্বর্ণ,রূপা বা টাকা,ব্যবসার মাল,গবাদি পশু)
এর মালিক না হলে যাকাত খাওয়া যাবে যদি প্রয়োজন থাকে।তাই গায়রে নামী বা অবাড়ন্ত মালের নেসাব পরিমাণ কেউ মালিক হলে যদিও তার উপর যাকাত আসবে না তথাপিও সে যাকাতের মাল খেতে পারবে না।আর কোনো প্রকার মালই যদি কারো কাছে নেসাব পরিমাণ না থাকে তাহলে সে সুস্থ উপার্জন স্বক্ষম হওয়া সত্তেও তার জন্য যাকাতের মাল খাওয়া জায়েয আছে।(ফাতাওয়া হিন্দিয়া-১/১৮৯)
والأولى أن يفسر الفقير بمن له ما دون النصاب كما في النقاية أخذا من قولهم يجوز دفع الزكاة إلى من يملك ما دون النصاب أو قدر نصاب غير تام، وهو مستغرق في الحاجة،
ফকিরের উত্তম ব্যখা হলো,যার নেসাব পরিমাণ মাল নেই।সুতরাং যার নেসাব পরিমাণ মালে নামী(ক্রমবর্ধমান) নাই বা যার নেসাব পরিমাণ মালে গায়রে নামী(ক্রমবর্ধমান নয়)আছে, তবে সে হাজতে লিপ্ত, এমন ব্যক্তিকে যাকাত দেয়া যাবে।
(বাহরুর রায়েক্ব-২/২৫৮)বিস্তারিত জানুন-
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যাকাতের টাকা দিয়ে শীতবস্র করতে পারবেন।তবে শুধুমাত্র যাকাতের হকদারদেরকেই দিতে পারবেন।তথা যাদের নেসাব পরিমাণ ক্রমবর্ধমান মাল নাই।তবে অক্রমবর্ধমান নেসাব পরিমাণ মালের মালিক হওয়ার পরও প্রয়োজনগ্রস্থ হলে তাকে উক্ত শীতবস্ত্র দিতে পারবেন। উলামায়ে কেরাম রুখসত দিয়ে থাকেন।আরো জানুন-
https://www.ifatwa.info/5814
সুতরাং
কোনো সংস্থা থেকে জ্যাকেট এর সম্মানি যদি ৫০০ টাকা ধরা হয়। যার মধ্যে জ্যাকেট এর মুল্য হবে ২৫০ টাকা আর বাকি ২৫০ টাকা দিয়ে একজন গরীব কে একটি কম্বল দেওয়া হবে।
এখন ৫০০ টাকার মধ্যে ২৫০ টাকা কি সদকা/জাকাতের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ থেকে ব্যয় করা যাবে।তবে এই ২৫০টাকা শুধুমাত্র গরীবকেই দিতে হবে।নতুবা যাকাত আদায় হবে না।এবং যাকাত থেকে কোনো ধনী মানুষকে দেওয়াও জায়েয হবে না।