আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
139 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (6 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম। আমার প্রশ্নটা ঈমান নিয়ে।

  আমি একবার জানতে পারি যে একটা আইএস নামক একটা সংগঠন আছে জারা নিজেদের জিহাদি দাবি করে।আবার অনেকের কাছে শুনেছি এরা প্রকৃত জিহাদি না। একবার শুনলাম যে এই দলের অনুসারীরা যুদ্ধে অনেক মহিলা দের যৌন দাসি হিসেবে বন্দী করে। তাদের এই কাজকে হঠাৎই খারাপ মনে হল এবং এ নিয়ে আমার মনে তাদের জন্য ঘৃণা জন্মে আর মুখে হেসেও ফেলি। কিন্তু কিছুক্ষণ পর মনে হল দাসী হিসেবে বন্দী করা ত জায়েয। হুযুর (স) এর জামানা তেও হয়েছিল। এটা নিয়ে এখন ভয় ঢুকে যায় যে আমি ইমান হারা হয়ে গেলাম কিনা। আমি শরীয়তে যে বিধান আছে ঐ বিধান কে নিয়ে হাসি নাই এবং ঐ শরীয়তের বিরোধিতা করা আমার কল্পনাতেও ছিল না, বরং আমার ভয় চলে আসছে মনে যে ইসলাম বিরোধী কিছু করে ফেললাম কিনা? উপোরক্ত ঘটনার সময় আমার মনেও ছিল না যে ইসলামে যুদ্ধে বন্দী হওয়া মহিলাদের দাসী বানানো যায় । এমতাবস্থায় কি আমার ঈমান আছে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
যুদ্ধবন্দীদেরকে দাসে পরিণত করার বিধান কেবল বৈধতা পর্যন্ত সীমিত।অর্থাৎ ইসলামী র্রাষ্ট যদি উপযুক্ত বিবেচনা করে,তবে তাদেরকে দাসে পরিণত করতে পারে।এরূপ করা মোস্তাহাব বা ওয়াজিব নয়।বরং কোরআন ও হাদীসের সমষ্টিগত বাণী থেকে মুক্ত করাই উত্তম বোঝা যায়।দাসে পরিণত করার অনুমতিও ততক্ষণ যতক্ষণ শত্রুপক্ষের সাথে এর বিপরীত কোন চুক্তি না থাকে।যদি শত্রুপক্ষের সাথে চুক্তি হয়ে যায় যে,তারা আমাদের বন্দীদেরকে দাসে পরিণত করবে না এবং আমরাও তাদের বন্দীদেরকে দাসে পরিণত করব না,তবে এই চুক্তি মেনে চলা অপরিহার্য হবে।বর্তমান যুগে বিশ্বের অনেক দেশ এরূপ চুক্তিতে আবদ্ধ আছে।কাজেই যেসব মুসলিম দেশ এই চুক্তিতে সাক্ষর করেছে তাদের জন্য চুক্তি বিদ্যমান থাকা পর্যন্ত কোন বন্দীকে দাসে পরিণত করা বৈধ হবে না। (তাফসীর মা'রেফুল কোরআন -পৃষ্টা১২৫৪-বাংলা বার্সন-মুহাউদ্দিন খান অনূদিত - সউদী সরকার কর্তৃক প্রকাশিত)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/5229

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু ইসলাম বা ইসলামের কোনো বিধি-বিধানকে তুচ্ছ করার ইচ্ছা আপনাই ছিলনা। তাই আপনার ঈমান চলে যাবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...